alt

বেনাপোল বন্দরে খাদ্যপণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন

প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর) : শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বেনাপোল বন্দর -সংবাদ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বাড়লেও কমেছে গম, ডাল, পেঁয়াজ ও মরিচসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের আমদানি। এতে গেল অর্থবছর খাদ্যদ্রব্য জাতীয় ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল, রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি ও নানান শর্তের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ভারতের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় ৮টি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোটা চুক্তি ৩ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। এতে খাদ্য আমদানিতে ঘাটতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার প্রভাবে বছর জুড়ে নিত্যপণ্যের বাজার থাকছে চড়া। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা রয়েছে সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পণ্যের বড় অংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। তবে নানান কারণ জানিয়ে দেশটি হঠাৎ আমদানি বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি মূল্য ও কঠিন কঠিন শর্ত দেয়ায় দিন দিন বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সুযোগ নিচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০২২ সালের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কোটা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বার্ষিক ভারতের কাছে গম ৪৫ লাখ টন, চাল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৭ লাখ টন, চিনি ১৫ লাখ টন, আঁদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার টন ও ১০ হাজার টন রসুনের অনুরোধ করা হয়। শর্ত অনুযায়ী কোটা পাওয়া গেলে যখন-তখন ভারত এসব পণ্যের রপ্তানি বন্ধ বা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না। এতে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে থাকবে ও খাদ্য সংকট কমে আসবে। তবে আজ পর্যন্ত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে প্রতি বছর ঘাটতি বাড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, সরকার পরিবর্তন স্বাভাবিক। তবে আমরা আশা করবো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ভারত সরকার তাদের বাণিজ্যনীতির জায়গায় যেন অটুট থাকে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, সরকার পরিবর্তন আর আমদানি জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয় ২১ হাজার ৩৮৪ টন, ডাল ৭৮ হাজার ৯৪৭ টন, পেঁয়াজ ২০০ টন, আঁদা ৪৩১ টন, মরিচ ৭ হাজার ১৫২ টন, আলু ৪ হাজার ৯৬৩ টন, চিনি ও গম আমদানি হয়নি। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৫০ টন, ডাল এক হাজার টন, পেঁয়াজ ১৫ হাজার ২৯৫ টন, আঁদা ৬০ টন, মরিচ ৯ হাজার ৪৪৭ টন, আলু ৩ হাজার ৮৪ টন এবং চিনি ও গম আমদানি হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ এক লাখ ৮ হাজার ৫৯ মেট্রিক টন আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি ছিল ৩৪ হাজার ৮৬০ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ৭৩ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা মেটাতে বাকিটা আমদানি করতে হয়। চালের চাহিদা ৩ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। সেখানে উৎপাদন হয় ৪ কোটি ১৫ লাখ টন। চিনির চাহিদা ১৮-২০ লাখ টনের বিপরীতে উৎপাদন মাত্র ১ লাখ টন। গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন আর উৎপাদন ১২ লাখ টন। আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১২৯ লাখ টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ টন আর উৎপাদন ২ লাখ টনের মতো। রসুনের চাহিদা ৬ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৯ হাজার ৯০০ লাখ টন।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আবু তালহা জানান, ২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে বন্দরে। আমদানিকৃত পণ্য মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়।

ছবি

‘বৃষ্টিতে চড়া’ সবজির বাজার, মাছ-মাংস আগের দামেই

ছবি

প্রবাসী আয় বাড়াতে দরকার প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ

ছবি

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি

ছবি

ভারতে ১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি

ছবি

মালয়েশিয়ায় মিহাস মেলা, রিমার্কের হালাল পণ্যে ২১ দেশের ১১৮ প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ

ছবি

মাসব্যাপী শেল্টেক্ আবাসন মেলা চলছে

ছবি

হুন্দাই গাড়িতে ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা

ছবি

সিটি ব্যাংককে সাড়ে ৭ কোটি ডলার দিচ্ছে দুই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংক

ছবি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, করদাতাদের যা জানা দরকার

ছবি

স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায়

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হবে বর্ধিত ট্যারিফ

ছবি

টেকসই উন্নয়নে এনভয় টেক্সটাইলকে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার নিয়ম সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

ডিএসই পরিচালক বললেন, অর্থপাচার রোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

ছবি

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

ছবি

মার্কিন শাটডাউন: ডলারের দর ২২ বছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক পতনের পথে

ছবি

ব্যবসা মন্দা, রাজস্বে ঘাটতি চাপ বাড়াবে আইএমএফ

ছবি

পনের বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের রেকর্ড ও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু

ছবি

ডিসেম্বরে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, মতামত দিতে পারবেন নাগরিকেরা

ছবি

কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল

ছবি

ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক

ছবি

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল

ছবি

বাংলাদেশ সফরে টেলিনর সিইও

ছবি

ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা ব্যবসা-বিনিয়োগে

ছবি

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ বাড়লো

ছবি

২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

৬৩ কোটি টাকা মুনাফা ইবনে সিনার, বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২০ কোটি

ছবি

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক বিএলএফসিএ নেতাদের

ছবি

৫২ হাজার টন গম নিয়ে রুশ জাহাজ কুতুবদিয়ায় ভিড়লো

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফিরবে: উপদেষ্টা

tab

বেনাপোল বন্দরে খাদ্যপণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন

প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)

বেনাপোল বন্দর -সংবাদ

শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বাড়লেও কমেছে গম, ডাল, পেঁয়াজ ও মরিচসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের আমদানি। এতে গেল অর্থবছর খাদ্যদ্রব্য জাতীয় ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল, রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি ও নানান শর্তের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ভারতের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় ৮টি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোটা চুক্তি ৩ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। এতে খাদ্য আমদানিতে ঘাটতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার প্রভাবে বছর জুড়ে নিত্যপণ্যের বাজার থাকছে চড়া। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা রয়েছে সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পণ্যের বড় অংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। তবে নানান কারণ জানিয়ে দেশটি হঠাৎ আমদানি বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি মূল্য ও কঠিন কঠিন শর্ত দেয়ায় দিন দিন বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সুযোগ নিচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০২২ সালের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কোটা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বার্ষিক ভারতের কাছে গম ৪৫ লাখ টন, চাল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৭ লাখ টন, চিনি ১৫ লাখ টন, আঁদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার টন ও ১০ হাজার টন রসুনের অনুরোধ করা হয়। শর্ত অনুযায়ী কোটা পাওয়া গেলে যখন-তখন ভারত এসব পণ্যের রপ্তানি বন্ধ বা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না। এতে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে থাকবে ও খাদ্য সংকট কমে আসবে। তবে আজ পর্যন্ত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে প্রতি বছর ঘাটতি বাড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, সরকার পরিবর্তন স্বাভাবিক। তবে আমরা আশা করবো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ভারত সরকার তাদের বাণিজ্যনীতির জায়গায় যেন অটুট থাকে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, সরকার পরিবর্তন আর আমদানি জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয় ২১ হাজার ৩৮৪ টন, ডাল ৭৮ হাজার ৯৪৭ টন, পেঁয়াজ ২০০ টন, আঁদা ৪৩১ টন, মরিচ ৭ হাজার ১৫২ টন, আলু ৪ হাজার ৯৬৩ টন, চিনি ও গম আমদানি হয়নি। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৫০ টন, ডাল এক হাজার টন, পেঁয়াজ ১৫ হাজার ২৯৫ টন, আঁদা ৬০ টন, মরিচ ৯ হাজার ৪৪৭ টন, আলু ৩ হাজার ৮৪ টন এবং চিনি ও গম আমদানি হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ এক লাখ ৮ হাজার ৫৯ মেট্রিক টন আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি ছিল ৩৪ হাজার ৮৬০ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ৭৩ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা মেটাতে বাকিটা আমদানি করতে হয়। চালের চাহিদা ৩ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। সেখানে উৎপাদন হয় ৪ কোটি ১৫ লাখ টন। চিনির চাহিদা ১৮-২০ লাখ টনের বিপরীতে উৎপাদন মাত্র ১ লাখ টন। গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন আর উৎপাদন ১২ লাখ টন। আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১২৯ লাখ টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ টন আর উৎপাদন ২ লাখ টনের মতো। রসুনের চাহিদা ৬ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৯ হাজার ৯০০ লাখ টন।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আবু তালহা জানান, ২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে বন্দরে। আমদানিকৃত পণ্য মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়।

back to top