ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইসলামী ব্যাংক এস আলমের কব্জায় যাওয়ার পর ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়া’ যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পাল্টা মানববন্ধন হয়েছে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) বেলা ১০টার দিকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘সচেতন ব্যাংকার সমাজ’ এবং ‘ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম’, ‘ইসলামী ব্যাংক সিবিএ’, ‘সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ’, ।
মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে মানববন্ধনে ‘ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম’ এর পক্ষে ব্যবাসায়ী শাহীন আহমেদ বলেন, “এস আলম গ্রুপ ও তাদের দোসররা ইসলামী ব্যাংকের দখল নিয়ে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকেও তাদের চিহ্ন রাখা হবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘এস আলম নিজ বাড়ি ও হাটে বাজারে বক্স বসিয়ে কোনো প্রকার নিয়ম নীতি না মেনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। তাদের বাতিল করতে হবে। তাদের কারণে ইসলামী ব্যাংক এখন খারাপ দশায়। সেবার মান কমে গেছে। আমরা চাই যাদের কারণে ব্যাংকের এই জীর্নহাল তারা চলে যাক।”
ইসলামী ব্যাংক প্রায় ১০ বছর এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২৪ সালে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পরিচালনা পর্ষদ বদলে দেওয়া হয়। ওই দশ বছর কোনো ধরনের পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই মৌখিক নির্দেশে হাজার দশেক ব্যক্তিকে ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার কর্মীর বাড়ি এস আলমের নিজ উপজেলা পটিয়ায়।
ওই সময় ব্যাংকটির জনবল বেড়ে ২২ হাজারে উন্নীত হয়। ২০১৬ সালে জনবিল ছিল সাড়ে ১৩ হাজার। সে সময় মৌখিক নির্দেশে নিয়োগ পাওয়াদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার দাবির মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ৩৮৫ জনকে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়।কিন্তু মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১৪ জনের মত। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আচরণবিধি অনুসরণ না করায় ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে বাকিদের দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত করে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। চাকুরিচ্যুত না করলেও তাদের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবে ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ইসলামী ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সেই কর্মীরা। পরদিন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি সংগঠন পাল্টা মানববন্ধন করল।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক এস আলমের কব্জায় যাওয়ার পর ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়া’ যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পাল্টা মানববন্ধন হয়েছে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) বেলা ১০টার দিকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘সচেতন ব্যাংকার সমাজ’ এবং ‘ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম’, ‘ইসলামী ব্যাংক সিবিএ’, ‘সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ’, ।
মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে মানববন্ধনে ‘ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম’ এর পক্ষে ব্যবাসায়ী শাহীন আহমেদ বলেন, “এস আলম গ্রুপ ও তাদের দোসররা ইসলামী ব্যাংকের দখল নিয়ে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকেও তাদের চিহ্ন রাখা হবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘এস আলম নিজ বাড়ি ও হাটে বাজারে বক্স বসিয়ে কোনো প্রকার নিয়ম নীতি না মেনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। তাদের বাতিল করতে হবে। তাদের কারণে ইসলামী ব্যাংক এখন খারাপ দশায়। সেবার মান কমে গেছে। আমরা চাই যাদের কারণে ব্যাংকের এই জীর্নহাল তারা চলে যাক।”
ইসলামী ব্যাংক প্রায় ১০ বছর এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২৪ সালে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পরিচালনা পর্ষদ বদলে দেওয়া হয়। ওই দশ বছর কোনো ধরনের পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই মৌখিক নির্দেশে হাজার দশেক ব্যক্তিকে ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার কর্মীর বাড়ি এস আলমের নিজ উপজেলা পটিয়ায়।
ওই সময় ব্যাংকটির জনবল বেড়ে ২২ হাজারে উন্নীত হয়। ২০১৬ সালে জনবিল ছিল সাড়ে ১৩ হাজার। সে সময় মৌখিক নির্দেশে নিয়োগ পাওয়াদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার দাবির মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ৩৮৫ জনকে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়।কিন্তু মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১৪ জনের মত। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আচরণবিধি অনুসরণ না করায় ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে বাকিদের দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত করে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। চাকুরিচ্যুত না করলেও তাদের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবে ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ইসলামী ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সেই কর্মীরা। পরদিন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি সংগঠন পাল্টা মানববন্ধন করল।