alt

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুদক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন সাবেক গভর্নর, বেশ কয়েকজন সাবেক ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাসহ ভারতীয় দুই নাগরিক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে দুদক এই তথ্য চায়। ওই চিঠিতে কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, দায়িত্বের পরিধি, কর্মস্থল ও সংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

তালিকায় তিন সাবেক গভর্নর

তথ্য তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ঘটনার পর একই বছরের ১৫ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন।

এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।

বর্তমান কর্মকর্তারাও তদন্তের আওতায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়, কমন সার্ভিস বিভাগ-২ এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মসিউজ্জামান খানের নাম দুবার উল্লেখ করা হয়েছে, তবে দুদক নিশ্চিত করেছে যে তিনি একই ব্যক্তি। মেজবাউল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেন।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণ এবং লেনদেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোর একাধিক কর্মকর্তা ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন।

২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো দুই কোটি ডলার ফেরত আসে তাৎক্ষণিকভাবে। ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার পরবর্তীতে ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে এখনো ১২টি মামলা চলমান রয়েছে।

ঘটনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম ও অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং—এই চারটি বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।

ভারতীয় দুই নাগরিকের তথ্যও তলব

দুদকের চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানার বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিনটি ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ‘সুইফট’ সংযোগের কাজ করেন। আর রিজার্ভ চুরির পর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা নিরূপণ ও ‘ফায়ারওয়াল’ ভেদ করে কীভাবে টাকা স্থানান্তর হলো তা যাচাই করতে রাকেশ আস্তানাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে সব তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ছবি

স্বর্ণের ভরি ছাড়ালো ২ লাখ টাকা

ছবি

পাচারকৃত অর্থ আনতে আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম দেড়শ’ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পেট্রোবাংলার

ছবি

বাজারে সেলসফোর্স এর ‘মিউলসফট এজেন্ট ফেব্রিক’

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ভিভো’র নতুন স্মার্টফোন ভি৬০ লাইট উন্মোচন

ছবি

মুদ্রাস্ফীতি : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়

ছবি

সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ

ছবি

আইএমএফের প্রতিনিধিদল আসছে এ মাসে, রাজস্ব আয়ের শর্ত পূরণ হয়নি.

ছবি

ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণে আল্টিমেটাম ও মানববন্ধন

ছবি

পোশাক শিল্পে ডিএফপি চালু করতে চায় বিজিএমইএ ও ডিবিপি

ছবি

গার্ডিয়ান লাইফ ও ক্লিনিকলের চুক্তি

ছবি

বিদেশে খরচ চালাতে বছরে ৩ হাজার ডলার পাঠাতে পারবে এসএমই প্রতিষ্ঠান

ছবি

উত্তরা ফাইন্যান্সে মূলধন ঘাটতি ৭১২ কোটি টাকা

ছবি

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২.৬৮ বিলিয়ন ডলার

ছবি

বাংলাদেশি কসমেটিকস শিল্পে বৈশ্বিক আগ্রহ

ছবি

ট্রাম্পের প্রতিকৃতি সংবলিত ১ ডলারের মুদ্রা ছাড়ার পরিকল্পনা

ছবি

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিউট ও হাসপাতালে এবি ব্যাংকের কালেকশন বুথ উদ্বোধন

ছবি

ভালো শেয়ারেও বাজার মন্দা, কাটছে না খরা

ছবি

বাংলাদেশ-সৌদি আরব বিজনেস সামিট শুরু হচ্ছে সোমবার

ছবি

স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার

ছবি

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করছে এমজেএল বাংলাদেশ

ছবি

রেমিট্যান্স সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ভারত থেকে আমদানি বাড়াবে রাশিয়া, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের ফল

ছবি

মাকে ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিলেন মির্জা আব্বাসের ছেলে

ছবি

প্রাইম ব্যাংকের নারী গ্রাহকদের জন্য গো গার্লস ভ্রমণ প্যাকেজে ছাড়

ছবি

এবার ‘অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের’ চাকরি বাতিল চেয়ে ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন

ছবি

মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশ দেবে ইবনে সিনা ফার্মা

ছবি

ফাঁকি রোধে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াচ্ছে এনবিআর

ছবি

কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বিদেশিরা, প্রয়োজন আরো প্লট

ছবি

সোনালী ব্যাংকের ৯০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি

ছবি

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে: এফএও

ছবি

শাটডাউন সত্ত্বেও ওয়াল স্ট্রিটে নতুন রেকর্ড

ছবি

সমান শ্রম-সময় দিয়েও মজুরি-মর্যাদায় পিছিয়ে নারীরা

ছবি

উদ্ধারের ৪ ঘণ্টা পর ফের হ্যাকড ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ

ছবি

বৃষ্টি ও আমদানি বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৪৫০ টাকা

ছবি

প্রযুক্তি খাতের উত্থানে চাঙ্গা এশিয়ার বাজার

tab

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুদক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ১৯ কর্মকর্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন সাবেক গভর্নর, বেশ কয়েকজন সাবেক ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাসহ ভারতীয় দুই নাগরিক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে দুদক এই তথ্য চায়। ওই চিঠিতে কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, দায়িত্বের পরিধি, কর্মস্থল ও সংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

তালিকায় তিন সাবেক গভর্নর

তথ্য তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ঘটনার পর একই বছরের ১৫ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন।

এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।

বর্তমান কর্মকর্তারাও তদন্তের আওতায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়, কমন সার্ভিস বিভাগ-২ এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মসিউজ্জামান খানের নাম দুবার উল্লেখ করা হয়েছে, তবে দুদক নিশ্চিত করেছে যে তিনি একই ব্যক্তি। মেজবাউল হক গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেন।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ রক্ষণাবেক্ষণ এবং লেনদেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোর একাধিক কর্মকর্তা ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন।

২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো দুই কোটি ডলার ফেরত আসে তাৎক্ষণিকভাবে। ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি ডলার পরবর্তীতে ফেরত পাওয়া যায়। বাকি ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে এখনো ১২টি মামলা চলমান রয়েছে।

ঘটনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম ও অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং—এই চারটি বিভাগ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।

ভারতীয় দুই নাগরিকের তথ্যও তলব

দুদকের চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানার বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিনটি ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ‘সুইফট’ সংযোগের কাজ করেন। আর রিজার্ভ চুরির পর সাইবার নিরাপত্তা দুর্বলতা নিরূপণ ও ‘ফায়ারওয়াল’ ভেদ করে কীভাবে টাকা স্থানান্তর হলো তা যাচাই করতে রাকেশ আস্তানাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসেবে সব তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

back to top