ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৭১২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) কোম্পানিটির নিরীক্ষক এ তথ্য দিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ২০২০ সাল থেকে অপ্রকাশিত রয়েছে। ফলে কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ বছর ধরে অনেকটা অন্ধকারে রয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর নিরক্ষকের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। নিরীক্ষক তার মতামতে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কোম্পানির সুদ বাবদ লোকসান হয়েছে ৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ওই বছরে মোট পরিচালন লোকসান দাঁড়িয়েছে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অন্যান্য ব্যয় বহন শেষে শেয়ারপ্রতি ৩৩ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান হারে কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
নিরীক্ষক আরও জানায়, ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে যোগ্য মূলধন ঘাটতি ৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় মূলধন ঘাটতি ৬৫২ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউএফআইএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে ১৪৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আরও ১ হাজার ৩৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি লেনদেন অনুমোদন ও ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ পদ্ধতি, ঋণগ্রহীতার যথাযথ সতর্কতা এবং বিচক্ষণতা নির্দেশিকা অনুসরণ না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান লঙ্ঘন করেছে। এদিকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির অনুমোদনহীন বকেয়া লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন এবং দীর্ঘ বছরে সমন্বয় না হওয়ায় ওই বকেয়ার বিপরীতে কোম্পানির ব্লক দায় ২ হাজার ১৫০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিএসইকে এই নিরীক্ষক আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩ আগস্ট জারি হওয়া এফআইডি সার্কুলার নম্বর ৮ অনুসারে, বকেয়া সম্পদ এক বছরের বেশি সময় সমন্বয়হীনভাবে থাকলে তার বিপরীতে শতভাগ সঞ্চিতি গঠন করতে হয়।
তবে কোম্পানিটি এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সঞ্চিতি গঠন করেনি।
১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। যার বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩১ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৪টি। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকরী, বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৭১২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) কোম্পানিটির নিরীক্ষক এ তথ্য দিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ২০২০ সাল থেকে অপ্রকাশিত রয়েছে। ফলে কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ বছর ধরে অনেকটা অন্ধকারে রয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর নিরক্ষকের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। নিরীক্ষক তার মতামতে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কোম্পানির সুদ বাবদ লোকসান হয়েছে ৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ওই বছরে মোট পরিচালন লোকসান দাঁড়িয়েছে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অন্যান্য ব্যয় বহন শেষে শেয়ারপ্রতি ৩৩ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান হারে কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
নিরীক্ষক আরও জানায়, ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে যোগ্য মূলধন ঘাটতি ৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় মূলধন ঘাটতি ৬৫২ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউএফআইএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে ১৪৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আরও ১ হাজার ৩৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি লেনদেন অনুমোদন ও ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ পদ্ধতি, ঋণগ্রহীতার যথাযথ সতর্কতা এবং বিচক্ষণতা নির্দেশিকা অনুসরণ না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান লঙ্ঘন করেছে। এদিকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির অনুমোদনহীন বকেয়া লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন এবং দীর্ঘ বছরে সমন্বয় না হওয়ায় ওই বকেয়ার বিপরীতে কোম্পানির ব্লক দায় ২ হাজার ১৫০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিএসইকে এই নিরীক্ষক আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩ আগস্ট জারি হওয়া এফআইডি সার্কুলার নম্বর ৮ অনুসারে, বকেয়া সম্পদ এক বছরের বেশি সময় সমন্বয়হীনভাবে থাকলে তার বিপরীতে শতভাগ সঞ্চিতি গঠন করতে হয়।
তবে কোম্পানিটি এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সঞ্চিতি গঠন করেনি।
১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। যার বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩১ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৪টি। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকরী, বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।