বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি) চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারস (ডিবিপি)। এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার সংস্থা দুটির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজর (অব.) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ ও ডিবিপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্বে আবদ্ধ হয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থা চালু করা। এটি হবে এআই-চালিত একটি ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা দেশের পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়াকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়বে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারসের পক্ষে ছিলেন নাবিল চৌধুরী এবং হায়দার আনওয়ার।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর এবং উদ্ভাবন অপরিহার্য।
এই অংশীদারিত্ব পোশাক শিল্পে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএর চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে মনে করেন সংগঠটির প্রধান।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ও পরিচালকরা মনে করেন, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাজারে দায়িত্বশীল উৎপাদনকারী নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারসের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই শিল্পকে আরও বেশি দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য ব্যবস্থাপনা ও রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করবে। বিশেষ করে পোশাক কারখানার সব তথ্য, যেমন উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে। এর ফলে বিভিন্ন ক্রেতা ও সংস্থার জন্য বারবার অডিট বা নিরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং টেকসই কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বাড়বে। সর্বোপরি, একটি মানসম্মত এবং এআই-চালিত পদ্ধতি প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি কারখানাগুলোকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের শর্ত পূরণে সহায়তা করবে এবং বৈশ্বিক সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভবিষ্যতে আরও সুরক্ষিত করবে।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি) চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারস (ডিবিপি)। এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার সংস্থা দুটির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজর (অব.) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ ও ডিবিপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্বে আবদ্ধ হয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থা চালু করা। এটি হবে এআই-চালিত একটি ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা দেশের পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়াকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়বে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারসের পক্ষে ছিলেন নাবিল চৌধুরী এবং হায়দার আনওয়ার।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর এবং উদ্ভাবন অপরিহার্য।
এই অংশীদারিত্ব পোশাক শিল্পে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএর চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে মনে করেন সংগঠটির প্রধান।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ও পরিচালকরা মনে করেন, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাজারে দায়িত্বশীল উৎপাদনকারী নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনারসের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই শিল্পকে আরও বেশি দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য ব্যবস্থাপনা ও রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করবে। বিশেষ করে পোশাক কারখানার সব তথ্য, যেমন উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে। এর ফলে বিভিন্ন ক্রেতা ও সংস্থার জন্য বারবার অডিট বা নিরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং টেকসই কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বাড়বে। সর্বোপরি, একটি মানসম্মত এবং এআই-চালিত পদ্ধতি প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি কারখানাগুলোকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের শর্ত পূরণে সহায়তা করবে এবং বৈশ্বিক সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভবিষ্যতে আরও সুরক্ষিত করবে।