alt

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক পদত্যাগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকটির একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক। তিনি ছিলেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ারধারী এবং সাবেক চেয়ারম্যান। আজ রোববার ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক বর্তমানে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পরপরই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করলেন ব্যাংকটির শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক। ২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক ও চার স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম। তবে এক বছরেও ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকটিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিগগিরই ব্যাংকটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগেই পদত্যাগ করেন মো. রেজাউল হক।

চিঠিতে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে মো. রেজাউল হক লিখেছেন, “স্বতন্ত্র পরিচালকদের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকের সঙ্গে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোনো স্বার্থের বিষয় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করা হয়। এ কারণে এক বছরের অধিক সময়েও ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতো। এই দায় অবশ্যই ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার ওপরে বর্তায়। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা বিগত এক বছরের বেশি সময় শুধু দৈনিক অফিস করা ও বেতন নেওয়া ছাড়া ব্যাংক পরিচালনায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাংকটি একীভূতের জন্য যে শুনানির আয়োজন করেছিল, সেখানে স্বতন্ত্র পরিচালকেরা আমাকে না জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অথচ ব্যাংক একীভূতের শুনানিতে অংশগ্রহণের কোনো এখতিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালকদের নেই।”

চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া চিঠিতে মো. রেজাউল হক আরও জানিয়েছেন, “২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার মেয়াদে ২০১৬ সালে শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এস আলমের দখলের পর থেকে সাত বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের পর্ষদ বাতিল করে ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব দেওয়া হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়, যা ছিল একটি অকার্যকর সিদ্ধান্ত।”

জানতে চাইলে মো. রেজাউল হক বলেছেন, “ব্যাংক পরিচালনায় স্বতন্ত্র পরিচালকেরা ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য পদত্যাগ করেছি। এখন তাঁরা কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় আর পর্ষদের সভা করতে পারবেন না।”

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে: নৌ-সচিব

ছবি

সপ্তাহ শেষে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি ইনস্যুরেন্স

ছবি

বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

ছবি

রুপার দামও ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

বড় পতনে সূচক নামলো ৩ মাস আগের অবস্থানে

ছবি

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি-র “বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন” অনুষ্ঠিত

ছবি

তিন বন্দর-বিদেশি অপারেটরের সাথে চুক্তি ‘ডিসেম্বরে’

ছবি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএসইসির চিঠি

ছবি

ইফাদ গ্রুপের গৌরবময় ৪০ বছর উদযাপন

ছবি

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি ব্যাংকের পর্যালোচনা সভা

ছবি

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম জরুরী: ডিসিসিআই

ছবি

কাগজের টাকা ছাপাতেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা

ছবি

৬০০ গ্রেড রডে নির্মাণকাজ ব্যয়সাশ্রয়ী ও টেকসই হয়, গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

ছবি

চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় কমছে বিটকয়েনের দাম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচন

ছবি

চার মাস ধরে সবজি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কিছুটা ঝাঁজ কমেছে মরিচে

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ

ছবি

সাম্প্রতিক ধাক্কা সামলানো গেলেও আগামী দিনগুলো আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ

ছবি

স্কুল ফিডিংয়ে ডিম যুক্ত করতে হবে: ফরিদা আখতার

ছবি

মেঘনা ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান করেছেন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রস্তাবিত বিধিমালায় জনমত আহ্বান

ছবি

এসএমই খাতে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

ছবি

এনবিআরের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু

ছবি

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পেছানোর দাবি

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি

ছবি

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা শোনে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন

ছবি

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

১০ জন শ্রমিকে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের বিধান চায় স্কপ

tab

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক পদত্যাগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকটির একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক। তিনি ছিলেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ারধারী এবং সাবেক চেয়ারম্যান। আজ রোববার ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক বর্তমানে একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পরপরই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করলেন ব্যাংকটির শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক। ২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক ও চার স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম। তবে এক বছরেও ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকটিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিগগিরই ব্যাংকটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগেই পদত্যাগ করেন মো. রেজাউল হক।

চিঠিতে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে মো. রেজাউল হক লিখেছেন, “স্বতন্ত্র পরিচালকদের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকের সঙ্গে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোনো স্বার্থের বিষয় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করা হয়। এ কারণে এক বছরের অধিক সময়েও ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতো। এই দায় অবশ্যই ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার ওপরে বর্তায়। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা বিগত এক বছরের বেশি সময় শুধু দৈনিক অফিস করা ও বেতন নেওয়া ছাড়া ব্যাংক পরিচালনায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাংকটি একীভূতের জন্য যে শুনানির আয়োজন করেছিল, সেখানে স্বতন্ত্র পরিচালকেরা আমাকে না জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অথচ ব্যাংক একীভূতের শুনানিতে অংশগ্রহণের কোনো এখতিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালকদের নেই।”

চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া চিঠিতে মো. রেজাউল হক আরও জানিয়েছেন, “২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার মেয়াদে ২০১৬ সালে শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এস আলমের দখলের পর থেকে সাত বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের পর্ষদ বাতিল করে ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব দেওয়া হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়, যা ছিল একটি অকার্যকর সিদ্ধান্ত।”

জানতে চাইলে মো. রেজাউল হক বলেছেন, “ব্যাংক পরিচালনায় স্বতন্ত্র পরিচালকেরা ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য পদত্যাগ করেছি। এখন তাঁরা কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় আর পর্ষদের সভা করতে পারবেন না।”

back to top