ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার প্রায় ছয়গুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এমন ঢালাও দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। একই সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনও।গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৬টির। আর ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৫ দশমিক ৮২ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এমন দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৩২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৬৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল।
এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট এলায়েন্স পোর্ট, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার প্রায় ছয়গুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এমন ঢালাও দরপতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। একই সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনও।গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৬টির। আর ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৫ দশমিক ৮২ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এমন দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৩২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৬৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল।
এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট এলায়েন্স পোর্ট, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।