আগামী বাজেটেই এক রেটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যবসা সহজীকরণে কর কাঠামো সরল করার এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ভ্যাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা-স্বয়ংক্রিয়তা (অটোমেশন) নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন। তার কথায় সায় দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো এখন থেকে যেটা ভ্যাট, এটাকে ইউনিফর্ম করা। আমরা সেদিকে যাবো যাতে কেউ কমপ্লেইন না করে। আরেকটা জিনিস হলো এটাকে সহজ ও স্বচ্ছ করা।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মিলিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে ভ্যাটকে একটি সিঙ্গেল রেট বা একক হারে নিয়ে আসা। আমরা যদি সব ট্রানজেকশন ডিজিটালাইজ করতে পারি এবং সঠিকভাবে রেকর্ড রাখতে পারি, তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য এক রেটে ভ্যাট দেওয়া-ক্রেডিট নেওয়া অনেক সহজ হবে। এতে জটিলতা ও হয়রানি কমবে।’
তবে তিনি স্বীকার করেন, ‘সার্ভিস সেক্টরে একক হারে ভ্যাট প্রয়োগ করলে চাপ বেড়ে যেতে পারে, কারণ এ খাতে ইনপুট ক্রেডিট নেওয়ার সুযোগ সীমিত। তাই কিছু খাতে নীতিগতভাবে ব্যতিক্রম বজায় রাখা হতে পারে। ব্যবসায়ীদের জটিলতার কারণেই এক রেটে ভ্যাট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। একক হার সফলভাবে কার্যকর করা গেলে ভবিষ্যতে ভ্যাটের হার কমানোর বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।’
নতুন ভ্যাট কাঠামো বাস্তবায়নে আইন, বিধি ও এসআরওসহ একাধিক নিয়ম সংশোধন করতে হচ্ছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি আইন পরিবর্তনের কাজ চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের পরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই এনবিআরকে প্রশাসনিকভাবে আলাদা করার প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ কাজে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে।’
বর্তমানে দেশে পণ্য ও সেবা অনুযায়ী ভ্যাটের বিভিন্ন হার বিদ্যমান। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। সরকারের আশা, ভ্যাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও অটোমেশন নিশ্চিত হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবসা সহজ হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
আগামী বাজেটেই এক রেটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যবসা সহজীকরণে কর কাঠামো সরল করার এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ভ্যাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা-স্বয়ংক্রিয়তা (অটোমেশন) নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন। তার কথায় সায় দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো এখন থেকে যেটা ভ্যাট, এটাকে ইউনিফর্ম করা। আমরা সেদিকে যাবো যাতে কেউ কমপ্লেইন না করে। আরেকটা জিনিস হলো এটাকে সহজ ও স্বচ্ছ করা।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মিলিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে ভ্যাটকে একটি সিঙ্গেল রেট বা একক হারে নিয়ে আসা। আমরা যদি সব ট্রানজেকশন ডিজিটালাইজ করতে পারি এবং সঠিকভাবে রেকর্ড রাখতে পারি, তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য এক রেটে ভ্যাট দেওয়া-ক্রেডিট নেওয়া অনেক সহজ হবে। এতে জটিলতা ও হয়রানি কমবে।’
তবে তিনি স্বীকার করেন, ‘সার্ভিস সেক্টরে একক হারে ভ্যাট প্রয়োগ করলে চাপ বেড়ে যেতে পারে, কারণ এ খাতে ইনপুট ক্রেডিট নেওয়ার সুযোগ সীমিত। তাই কিছু খাতে নীতিগতভাবে ব্যতিক্রম বজায় রাখা হতে পারে। ব্যবসায়ীদের জটিলতার কারণেই এক রেটে ভ্যাট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। একক হার সফলভাবে কার্যকর করা গেলে ভবিষ্যতে ভ্যাটের হার কমানোর বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।’
নতুন ভ্যাট কাঠামো বাস্তবায়নে আইন, বিধি ও এসআরওসহ একাধিক নিয়ম সংশোধন করতে হচ্ছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটি আইন পরিবর্তনের কাজ চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের পরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই এনবিআরকে প্রশাসনিকভাবে আলাদা করার প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ কাজে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে।’
বর্তমানে দেশে পণ্য ও সেবা অনুযায়ী ভ্যাটের বিভিন্ন হার বিদ্যমান। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। সরকারের আশা, ভ্যাট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও অটোমেশন নিশ্চিত হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবসা সহজ হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।