রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ ২০২২-২০৩৫) কিছু নির্দেশনা সংশোধনের প্রস্তাবসহ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। শিগগির সংশোধিত ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সভায় ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) ও জনঘনত্ব, বন্যা প্রবাহ অঞ্চল ও কৃষি জমি সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশনা পুনর্মূল্যায়ন করে পরিবেশ সংবেদনশীলতা বিবেচনায় সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন সংশোধনীতে রাজউক আওতাধীন প্রায় সব এলাকায় ফার ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে। তবে কৃষিজমিতে সীমিত পরিসরে নাগরিক পরিষেবা স্থাপনের যে অনুমতি পূর্ববর্তী ড্যাপে ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ‘মুখ্য জলস্রোত’ ও ‘সাধারণ জলস্রোত’, এই দুটি শ্রেণি একত্রিত করে নতুন সংশোধনীতে ‘বন্যা প্রবাহ অঞ্চল’ নামে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট, রিজেনারেশন ও ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন উৎসাহে ফার প্রণোদনার সুপারিশও অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (২০২০) ও ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন খসড়া ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ অনুমোদন করা হয়েছে।
বিধিমালায় ভবন নির্মাণের সময় অতিরিক্ত ভয়েড স্পেস, সেটব্যাক, ভূমি আচ্ছাদন ও জনঘনত্বের মতো ব্যত্যয় নিয়ন্ত্রণে সংশোধন আনা হয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় নকশা নিশ্চিত করতে স্থাপত্য নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশা অনুমোদনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এছাড়া-গ্রাহক হয়রানি রোধে বৃহৎ প্রকল্পে অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। অনুমোদন ফি পরিশোধের সুযোগ থাকবে নকশা অনুমোদনের পর। ৫ কাঠা বা তদূর্ধ্ব জমিতে আবাসিক ভবনের জন্য স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রিন বিল্ডিং প্রণোদনা ও আপিল কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ উপদেষ্টা কমিটির সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে পুনরায় যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে রাজউক ও মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে প্রায় ৩৫টি সভা শেষে চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ ২০২২-২০৩৫) কিছু নির্দেশনা সংশোধনের প্রস্তাবসহ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। শিগগির সংশোধিত ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সভায় ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) ও জনঘনত্ব, বন্যা প্রবাহ অঞ্চল ও কৃষি জমি সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশনা পুনর্মূল্যায়ন করে পরিবেশ সংবেদনশীলতা বিবেচনায় সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন সংশোধনীতে রাজউক আওতাধীন প্রায় সব এলাকায় ফার ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে। তবে কৃষিজমিতে সীমিত পরিসরে নাগরিক পরিষেবা স্থাপনের যে অনুমতি পূর্ববর্তী ড্যাপে ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ‘মুখ্য জলস্রোত’ ও ‘সাধারণ জলস্রোত’, এই দুটি শ্রেণি একত্রিত করে নতুন সংশোধনীতে ‘বন্যা প্রবাহ অঞ্চল’ নামে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট, রিজেনারেশন ও ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন উৎসাহে ফার প্রণোদনার সুপারিশও অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (২০২০) ও ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন খসড়া ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ অনুমোদন করা হয়েছে।
বিধিমালায় ভবন নির্মাণের সময় অতিরিক্ত ভয়েড স্পেস, সেটব্যাক, ভূমি আচ্ছাদন ও জনঘনত্বের মতো ব্যত্যয় নিয়ন্ত্রণে সংশোধন আনা হয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় নকশা নিশ্চিত করতে স্থাপত্য নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশা অনুমোদনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এছাড়া-গ্রাহক হয়রানি রোধে বৃহৎ প্রকল্পে অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। অনুমোদন ফি পরিশোধের সুযোগ থাকবে নকশা অনুমোদনের পর। ৫ কাঠা বা তদূর্ধ্ব জমিতে আবাসিক ভবনের জন্য স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রিন বিল্ডিং প্রণোদনা ও আপিল কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ উপদেষ্টা কমিটির সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে পুনরায় যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে রাজউক ও মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে প্রায় ৩৫টি সভা শেষে চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা।