দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে অনাদায়ী থাকা অবলোপনকৃত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বকেয়া আদায় করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা আদায় করা অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা পাবেন। তবে কোনো ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে অবলোপনের অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ দিতে হবে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, যেসব ব্যাংকের এখনো এ ধরনের প্রণোদনা নীতিমালা নেই, তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। নির্দেশনাটি জারির দিন থেকেই কার্যকর হবে। দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিটের আকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসারে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানের শ্রেণিকৃত ঋণ অবলোপন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যেসব ঋণ একটানা দুই বছর ধরে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে, সেগুলো অবলোপন করা যাবে। তবে ঋণগ্রহীতা পুরো দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে খেলাপি হিসেবেই চিহ্নিত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবলোপনের অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এতে ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে যেসব ঋণ এখনো আইনি প্রক্রিয়ায় যায়নি, অবলোপনের আগে অবশ্যই অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে।
এছাড়া, প্রতিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচে থাকা একজন কর্মকর্তাকে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা এই ইউনিটের কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
ওই অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ প্রণোদনা ব্যাংকের এমডি বা সিইও পাবেন, বাকি অংশ ইউনিট প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করা হবে।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে অনাদায়ী থাকা অবলোপনকৃত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বকেয়া আদায় করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা আদায় করা অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা পাবেন। তবে কোনো ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে অবলোপনের অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ দিতে হবে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, যেসব ব্যাংকের এখনো এ ধরনের প্রণোদনা নীতিমালা নেই, তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। নির্দেশনাটি জারির দিন থেকেই কার্যকর হবে। দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিটের আকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসারে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানের শ্রেণিকৃত ঋণ অবলোপন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যেসব ঋণ একটানা দুই বছর ধরে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে, সেগুলো অবলোপন করা যাবে। তবে ঋণগ্রহীতা পুরো দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে খেলাপি হিসেবেই চিহ্নিত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবলোপনের অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এতে ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে যেসব ঋণ এখনো আইনি প্রক্রিয়ায় যায়নি, অবলোপনের আগে অবশ্যই অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে।
এছাড়া, প্রতিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচে থাকা একজন কর্মকর্তাকে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা এই ইউনিটের কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
ওই অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ প্রণোদনা ব্যাংকের এমডি বা সিইও পাবেন, বাকি অংশ ইউনিট প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করা হবে।