চাল আমদানির অনুমতি সীমিত রাখার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে। বিটিটিসি বলেছে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে স্থানীয়ভাবে চালের দাম বেড়েছে। তবে ঘাটতি দেখা দিলে সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় চাল আমদানি হতে পারে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে শুল্ক রেয়াত সুবিধায় চাল আমদানি চালু থাকলে স্থানীয় উৎপাদন নিরুৎসাহিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গতকাল সোমবার চালের দাম নিয়ে ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টন। স্থানীয়ভাবে চাল উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টন। তারপরও দাম বাড়লে আমদানি হয়। বেশির ভাগ চাল আমদানি হয় মূলত ভারত থেকে।
ট্যারিফ কমিশন বলছে, দেশে গত এক বছরে ধানের দাম ১১ শতাংশ, সরু চালের দাম ১১ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১৩ শতাংশ ও মোটা চালের দাম সাড়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে। যদিও গত অর্থবছরে চালের উৎপাদন ২৩ লাখ টন বেশি ছিল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক বছরে চালের দাম কমেছে ৩৬–৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০–৭৬ টাকা, নাজির ৭২–৮০ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৫৬–৫৮ টাকা ও মোটা (স্বর্ণা) চাল ৫২–৫৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে ব্রি–২৮ ও মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো কমেছে। এদিকে চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক–কর রয়েছে। তবে দেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে দুই ধাপে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক–কর কমানো ও অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে বেশির ভাগ চাল আমদানিতে মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রয়েছে। তবে শুল্ক–কর ছাড় পেতে হলে আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
এ অবস্থায় ট্যারিফ কমিশন বলেছে, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় মূলত দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানি হতে থাকলে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ জন্য কেবল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সীমিত পরিসরে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানির সুযোগ বহাল রাখা উচিত। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় কমাতে কাঁচামাল সহজলভ্য করা ও নীতিসহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
চাল আমদানির অনুমতি সীমিত রাখার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে। বিটিটিসি বলেছে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে স্থানীয়ভাবে চালের দাম বেড়েছে। তবে ঘাটতি দেখা দিলে সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় চাল আমদানি হতে পারে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে শুল্ক রেয়াত সুবিধায় চাল আমদানি চালু থাকলে স্থানীয় উৎপাদন নিরুৎসাহিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গতকাল সোমবার চালের দাম নিয়ে ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টন। স্থানীয়ভাবে চাল উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টন। তারপরও দাম বাড়লে আমদানি হয়। বেশির ভাগ চাল আমদানি হয় মূলত ভারত থেকে।
ট্যারিফ কমিশন বলছে, দেশে গত এক বছরে ধানের দাম ১১ শতাংশ, সরু চালের দাম ১১ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১৩ শতাংশ ও মোটা চালের দাম সাড়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে। যদিও গত অর্থবছরে চালের উৎপাদন ২৩ লাখ টন বেশি ছিল। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক বছরে চালের দাম কমেছে ৩৬–৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০–৭৬ টাকা, নাজির ৭২–৮০ টাকা, ব্রি–২৮ চাল ৫৬–৫৮ টাকা ও মোটা (স্বর্ণা) চাল ৫২–৫৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে ব্রি–২৮ ও মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো কমেছে। এদিকে চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক–কর রয়েছে। তবে দেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে দুই ধাপে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক–কর কমানো ও অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে বেশির ভাগ চাল আমদানিতে মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রয়েছে। তবে শুল্ক–কর ছাড় পেতে হলে আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
এ অবস্থায় ট্যারিফ কমিশন বলেছে, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় মূলত দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানি হতে থাকলে স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ জন্য কেবল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সীমিত পরিসরে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানির সুযোগ বহাল রাখা উচিত। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় কমাতে কাঁচামাল সহজলভ্য করা ও নীতিসহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।