ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পুনরুদ্ধার ও আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠনে নতুন নীতি সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খেলাপি থাকা ঋণ বিশেষ সুবিধার আওতায় পুনঃতফসিল করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিরূপমান সব খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা যাবে, অর্থাৎ খেলাপি ঋণগ্রহীতারাও নতুনভাবে পুনঃতফসিল সুবিধা নিতে পারবেন।
অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণ, যার মধ্যে আগে পুনঃতফসিল করা ঋণও অন্তর্ভুক্ত, এসব ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে বিশেষ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৬/২০২২-এ নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে এ অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। এক্সিট সুবিধার ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ডাউনপেমেন্ট নেওয়ার পাশাপাশি এক্সিট সুবিধার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো যাবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের নিয়ম বহাল থাকলেও বছরে মোট পরিশোধ অবশ্যই কমপক্ষে ঋণের ২০ শতাংশ হতে হবে। এই সময় ঋণগুলোকে ‘এক্সিট (এসএমএ)’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। তবে প্রকৃত আদায় ছাড়া আগে রাখা স্পেসিফিক প্রভিশন আয় হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এক্সিট সুবিধা নেওয়ার পর তিনটি মাসিক বা একটি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ যথানিয়মে শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন কোনো ঋণ অনুমোদন করা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে সমস্যাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনরুদ্ধারে কিছুটা নমনীয়তা দিলেও এর সঠিকভাবে প্রয়োগ না হলে ভবিষ্যতে ঋণঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পুনরুদ্ধার ও আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠনে নতুন নীতি সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খেলাপি থাকা ঋণ বিশেষ সুবিধার আওতায় পুনঃতফসিল করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিরূপমান সব খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা যাবে, অর্থাৎ খেলাপি ঋণগ্রহীতারাও নতুনভাবে পুনঃতফসিল সুবিধা নিতে পারবেন।
অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণ, যার মধ্যে আগে পুনঃতফসিল করা ঋণও অন্তর্ভুক্ত, এসব ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে বিশেষ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৬/২০২২-এ নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে এ অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। এক্সিট সুবিধার ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ডাউনপেমেন্ট নেওয়ার পাশাপাশি এক্সিট সুবিধার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো যাবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের নিয়ম বহাল থাকলেও বছরে মোট পরিশোধ অবশ্যই কমপক্ষে ঋণের ২০ শতাংশ হতে হবে। এই সময় ঋণগুলোকে ‘এক্সিট (এসএমএ)’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। তবে প্রকৃত আদায় ছাড়া আগে রাখা স্পেসিফিক প্রভিশন আয় হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এক্সিট সুবিধা নেওয়ার পর তিনটি মাসিক বা একটি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ যথানিয়মে শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন কোনো ঋণ অনুমোদন করা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে সমস্যাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনরুদ্ধারে কিছুটা নমনীয়তা দিলেও এর সঠিকভাবে প্রয়োগ না হলে ভবিষ্যতে ঋণঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে।