বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকের কারনে ১ লক্ষ ২৬ হাজার লোক অকালে মৃত্যুবরণ করেন। প্রায় ১৫ লাখের অধিক লোক বিভিন্ন অসুস্থতায় ভোগে এবং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ৬১ হাজার শিশু নানা রোগের শিকার হয়।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীন রাজস্বের সব থেকে বড় খাত হলো সিগারেট। বাংলাদেশ সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আর দেশের মোট ধূমপায়ীর মধ্যে ৭৫ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। সিগারেট ইন্ডাস্ট্রির ৭৫ শতাংশই দখল করে আছে এই নিম্নস্তরের সিগারেট। বাকি ১০ শতাংশ মধ্যম আর ১৫ শতাংশ উচ্চ স্তরের সিগারেটের দখলে। তাই আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে, সরকারের রাজস্ব ও জনস্বাস্থ্য; দুই বিবেচনায়ই আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে নিম্নস্তরের সিগারেটের দামবৃদ্ধি।
আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ইলিয়ন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যোবাকোনোমিক্সের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমে। গবেষণা অনুযায়ী, সিগারেটের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হলে, নিম্ন আয়ের মানুষের ধূমপান ৯ শতাংশ কমে আসে।
সিগারেট খাত থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই ১০-১৫ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি পেয়ে আসছে সরকার। কিন্তু এই হারে ভাটা পড়েছে এই অর্থবছরে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায় এবছর সিগারেট খাত থেকে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা কম।
এই রাজস্ব হারানোর কারণ হিসেবে নিম্নস্তরের সিগারেটের যথাযথ মূল্যবৃদ্ধি না হওয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। গত তিন অর্থবছরে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭ টাকা (প্রতি ১০ শলাকার প্যাকেট) থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই স্তরের সিগারেটের দাম হয়েছে ৩৯ টাকা। যার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধি না হলে, তা সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউন নাহিন বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ও নিম্নআয়ের ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে অবশ্যই নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। এছাড়াও নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়ালে সরকারের রাজস্ব বাড়বে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।’
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকের কারনে ১ লক্ষ ২৬ হাজার লোক অকালে মৃত্যুবরণ করেন। প্রায় ১৫ লাখের অধিক লোক বিভিন্ন অসুস্থতায় ভোগে এবং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ৬১ হাজার শিশু নানা রোগের শিকার হয়।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীন রাজস্বের সব থেকে বড় খাত হলো সিগারেট। বাংলাদেশ সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আর দেশের মোট ধূমপায়ীর মধ্যে ৭৫ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। সিগারেট ইন্ডাস্ট্রির ৭৫ শতাংশই দখল করে আছে এই নিম্নস্তরের সিগারেট। বাকি ১০ শতাংশ মধ্যম আর ১৫ শতাংশ উচ্চ স্তরের সিগারেটের দখলে। তাই আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে, সরকারের রাজস্ব ও জনস্বাস্থ্য; দুই বিবেচনায়ই আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে নিম্নস্তরের সিগারেটের দামবৃদ্ধি।
আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ইলিয়ন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যোবাকোনোমিক্সের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমে। গবেষণা অনুযায়ী, সিগারেটের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হলে, নিম্ন আয়ের মানুষের ধূমপান ৯ শতাংশ কমে আসে।
সিগারেট খাত থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই ১০-১৫ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি পেয়ে আসছে সরকার। কিন্তু এই হারে ভাটা পড়েছে এই অর্থবছরে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায় এবছর সিগারেট খাত থেকে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা কম।
এই রাজস্ব হারানোর কারণ হিসেবে নিম্নস্তরের সিগারেটের যথাযথ মূল্যবৃদ্ধি না হওয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। গত তিন অর্থবছরে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৭ টাকা (প্রতি ১০ শলাকার প্যাকেট) থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই স্তরের সিগারেটের দাম হয়েছে ৩৯ টাকা। যার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধি না হলে, তা সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউন নাহিন বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ও নিম্নআয়ের ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে অবশ্যই নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। এছাড়াও নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়ালে সরকারের রাজস্ব বাড়বে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।’