স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া (গ্রাজুয়েশন) জন্য যেসব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। গ্রাজুয়েশনের সময় প্রায় ১২টি দেশের যে পরিমান ক্ষতি হবে তার চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতি বাংলাদেশের হবে। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশি সুবিধা গ্রহণ করে। তবে যথাযথ প্রস্তুতি নিলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক প্রক্কলনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) ‘ডব্লিউটিও-এমসি-১২ আউটকামস নেক্সট স্টেপস ফর বাংলাদেশ এ্যাজ এ গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসি’ শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া (গ্রাজুয়েশন) দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। গত জুন মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ১২তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা মন্ত্রিসভা সম্মেলনেও স্বল্পোন্নত দেশের উত্থাপিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি। সম্মেলনে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’
সংলাপে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধান এজেন্ডা এলডিসি গ্রাজুয়েট। এর আগে গ্রাজুয়েশন পাওয়া ছয়টি দেশের বেশিরভাগই ছোট অর্থনীতির। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা সর্বাধিক সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে। তাই রপ্তানি কর্মক্ষমতা টেকসই এবং উন্নত করতে হলে পছন্দ-চালিত প্রতিযোগিতা থেকে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা-চালিত প্রতিযোগিতায় স্থানান্তরিত হওয়ার পরামর্শ দেন ড. মুস্তাফিজুর।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফোরামে বাংলাদেশের স্বার্থ একচেটিয়াভাবে আলোচনা ও সুরক্ষিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি পৃথক এবং নিবেদিত সেল গঠন করা উচিত।’
সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব দেশ আগে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হয়েছে তারা জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট দেশ। অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বৃহৎ। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি এলডিসি হিসাবে পাওয়া সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে। দেশটি অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ব্যবহার করে রপ্তানি বাড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো যদি এই ধরনের সুযোগগুলো আরও চলতে থাকবে কিনা। যদি তা না হয়, তাহলে তারা কীভাবে কাজ করবে? এমসি-১২ এর ঘোষণায় গ্রাজুয়েশন হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো অতিক্রম করার জন্য কোন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে, গ্রাজুয়েশন পাওয়া দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যৎ নন-এলডিসি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া (গ্রাজুয়েশন) জন্য যেসব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। গ্রাজুয়েশনের সময় প্রায় ১২টি দেশের যে পরিমান ক্ষতি হবে তার চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতি বাংলাদেশের হবে। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশি সুবিধা গ্রহণ করে। তবে যথাযথ প্রস্তুতি নিলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এক প্রক্কলনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) ‘ডব্লিউটিও-এমসি-১২ আউটকামস নেক্সট স্টেপস ফর বাংলাদেশ এ্যাজ এ গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসি’ শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া (গ্রাজুয়েশন) দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। গত জুন মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ১২তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা মন্ত্রিসভা সম্মেলনেও স্বল্পোন্নত দেশের উত্থাপিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি। সম্মেলনে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’
সংলাপে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধান এজেন্ডা এলডিসি গ্রাজুয়েট। এর আগে গ্রাজুয়েশন পাওয়া ছয়টি দেশের বেশিরভাগই ছোট অর্থনীতির। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা সর্বাধিক সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে। তাই রপ্তানি কর্মক্ষমতা টেকসই এবং উন্নত করতে হলে পছন্দ-চালিত প্রতিযোগিতা থেকে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা-চালিত প্রতিযোগিতায় স্থানান্তরিত হওয়ার পরামর্শ দেন ড. মুস্তাফিজুর।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফোরামে বাংলাদেশের স্বার্থ একচেটিয়াভাবে আলোচনা ও সুরক্ষিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি পৃথক এবং নিবেদিত সেল গঠন করা উচিত।’
সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব দেশ আগে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হয়েছে তারা জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট দেশ। অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বৃহৎ। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি এলডিসি হিসাবে পাওয়া সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে। দেশটি অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ব্যবহার করে রপ্তানি বাড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো যদি এই ধরনের সুযোগগুলো আরও চলতে থাকবে কিনা। যদি তা না হয়, তাহলে তারা কীভাবে কাজ করবে? এমসি-১২ এর ঘোষণায় গ্রাজুয়েশন হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো অতিক্রম করার জন্য কোন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে, গ্রাজুয়েশন পাওয়া দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যৎ নন-এলডিসি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’