alt

অর্থ-বাণিজ্য

গাড়ি : দেশে এসইউভি ও ক্রসওভারের ব্যবহার বাড়ছে

রেজাউল করিম : বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

এক সময় বাংলাদেশে সেডান কারের প্রচলন বেশি ছিল। রাস্তায় বের হলে যত গাড়ি চোখে পড়তো তার অধিকাংশই ছিল সেডান কার। তবে বর্তমানে এই অবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। এখন ঢাকার রাস্তায় অনেক এসইউভি ও ক্রসওভার দেখা যায়।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আগে যে হারে সেডান কার রেজিস্ট্রেশন হতো, বর্তমানে তা হয় না। এর জায়গা দখল করেছে এসইউভি ও ক্রসওভার।

সেডান সাধারণত চার দরজার যাত্রীবাহী গাড়ি যার পেছনে ট্রাঙ্ক বা মালপত্র রাখার জায়গা থাকে এবং তা যাত্রী বসবার জায়গা থেকে আলাদা থাকে। এই ধরনের গাড়ি তিন-বক্স কনফিগারেশনে থাকে, যেখানে ইঞ্জিন, যাত্রী বসবার জায়গা ও মালামাল রাখবার ট্রাঙ্ক থাকে।

আর এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল) একটু উঁচু হয়, কিছুটা রুক্ষ। এই শ্রেণীর গাড়ি ফোর-হুইল ড্রাইভ হয়। যাত্রী বসার জায়গা আর মালামাল রাখার মধ্যে কোন বিভাজক থাকে না। এ ধরনের গাড়ি এবড়ো-থেবড়ো, পাহাড়ি রাস্তার জন্য উপযোগী। এসইউভি বাংলাদেশে জিপ নামেই মানুষের কাছে পরিচিত। এসইউভিতে তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী ইঞ্জিন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাখা হয়। এসইউভি ও সেডানের মাঝামাঝি এক ধরনের গাড়ির প্রচলন দেশে বাড়ছে সেটিকে ক্রসওভার বলে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট এসইউভি ও ক্রসওভার রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল ২৮ হাজার ১৩১টি। এরপর প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে সারাদেশে মোট এসইউভি শ্রেণীর নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৮২ হাজার ৭৭৮টি।

২০১১ সালে এসইউভি ও ক্রসওভার রেজিস্ট্রেশন হয় ২১৪১টি, ২০১২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয় ১৫৭৫টি। ২০১৩ সালে এসইউভি ও ক্রসওয়ারের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১৩০৩টি।

এরপর প্রায় প্রতিবছরই এসইউভি ও ক্রসওভারের ব্যবহার বেড়েছে। ২০১৪ সালে হয়েছে ১৮৪৯টি। এরপর ২০১৫ সালে ৩৫৬৪টি, ২০১৬ সালে ৪৮৬৯টি, ২০১৭ সালে ৫৪১৯টি, ২০১৮ সালে ৫৫৪৭টি, ২০১৯ সালে ৫৬২৭টি, ২০২০ সালে ৪৯১১টি।

আর সম্প্রতি গত দুই বছরে এর বৃদ্ধি আরও চোখে পড়ার মতো। ২০২১ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৭৬০২টি এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১০ হাজার ২৪০টি। অর্থাৎ ২০২২ সালে ১০ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এই ক্যাটাগরির গাড়ির ব্যবহার।

জার্মানির আউডি হলো বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি উৎপাদক ভক্সওয়াগান-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি গাড়ি উৎপাদন করে যেসব প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগান সেগুলোর একটি। আউডি, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জকে একত্রে জার্মান ‘বিগ থ্রি’ বলা হয়। বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় আউডি, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি অহরহ দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে আউডি গাড়ি বিপণন করে প্রোগ্রেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড। আউডির গাড়িগুলো তুলনামূলক বেশি দামের। কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আউডি গাড়ির আমদানি বেড়েছে।

গতকাল কথা হয় প্রাগ্রেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড ও আউডি বাংলাদেশ-এর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আর রাকিবের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে একদম নতুন, দামি গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। দেশের একটা শ্রেণীর মানুষ দামি গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকছেন।

তিনি বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশে সেডান কার বেশি বিক্রি হতো। সেগুলো তুলনামূলক কম দামি। আর বর্তমানে এসইউভি ও ক্রসওভার গাড়ি বিক্রি হচ্ছে বেশি। এক সময় আউডির মতো গামি গাড়ি এ দেশে বিক্রি হতো না। এখন প্রতিবছরই আমাদের গাড়ি বিক্রি হচ্ছে।’

অন্যদিকে সেডান কার রেজিস্ট্রেশনও বেড়েছে। তবে এসইউভি ও ক্রসওভার যে গতিতে বাড়ছে সেই গতিতে বাড়ছে না।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট সেডান কার রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। এরপর কোন বছর এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার কমেছে আবার কোন বছর বেড়েছে।

২০১১ সালে সেডান কারের রেজিস্ট্রেশন হয় ১২ হাজার ৯৪২টি, ২০১২ সালে ৯ হাজার ২২০টি।

এভাবে ২০১৩ সালে ১০ হাজার ৪৫৬টি, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৬৮১টি, ২০১৫ সালে ২১ হাজার ২৯টি। এরপর ২০১৬ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২০ হাজার ২৬৮টিতে।

এরপর ২০১৭ সালে আবার বেড়ে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৯৫২টিতে। ফের ২০১৮ সালে কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২২২টিতে। এরপর দুই বছর কমে দাঁড়ায় ২০১৯ সালে ১৬ হাজার ৭৭৯টি ও ২০২০ সালে ১২ হাজার ৪০৩টি। এর পরের দুই বছর কিছুটা বেড়ে ২০২১ সালে ১৬ হাজার ৪৯টি এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১৬ হাজার ৬৯৫টি। আর ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সেডান কারের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন আছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৫টি।

দেশে গাড়ি নিবন্ধনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষ সেডান কারের তুলনায় এসইউভি বা ক্রসওভার গাড়ি ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকছে।

ছবি

বাংলাদেশে চাল আমদানির শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার

ডিজেল- কেরোসিন: লিটারে ৫০ পয়সা দাম কমালো সরকার

ছবি

মালদ্বীপে রেমিট্যান্স প্রবাহে শীর্ষে বাংলাদেশ, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনের দাবি প্রবাসীদের

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার, দ্রুত অপসারণের তাগিদ

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের লোকসানে বছর শুরুর ধাক্কা

ছবি

সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে ট্রেজারি বিল

ছবি

বিশ্বসেরা ১০০ ব্র্যান্ডের তালিকায় শাওমি

ছবি

দেশে চীনের আইমা ব্র্যান্ডের মোটরবাইক

ছবি

৩ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’

ছবি

নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগে কর প্রণোদনা পুনর্বহাল

ছবি

ইন্টারনেট সেবায় বৈষম্য দূর করার আহবান

আবারও গ্লোবাল টপ ফাইভ ব্র্যান্ডের তালিকায় স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স

ব্যাংক খাত থেকে ‘১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হাসিনার সহযোগীরা : গভর্নর

ছবি

খুলনায় ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু

ছবি

ব্যাংক লুটপাটে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ,

ছবি

হাসিনার সহযোগীরা সরিয়েছেন ১৭ বিলিয়ন ডলার, ১০ বিলিয়ন একাই এস আলম: গভর্নর

ছবি

সূচকের বড় পতনে ডিএসইতে লেনদেন চলছে

ছবি

বড় পতন শেয়ারবাজারে, সূচক চার বছরে সর্বনিম্নে

ছবি

ডিমের দাম ফেইসবুকে নির্ধারণ, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস এফবিসিসিআইয়ের

ছবি

ব্যবসায়ীদের সংকট: উচ্চ সুদের হার, আস্থার অভাব এবং বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ

ছবি

পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজন হলে রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি

ছবি

উচ্চ সুদহার, জ্বালানি সংকট : কেউ স্বস্তিতে নেই, বললেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো নতুন স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো

ছবি

মিরপুরে মি: ডি আই ওয়াই এর তৃতীয় শাখা উদ্বোধন

ছবি

দুবাইয়ে সুপারনোভা চ্যালেঞ্জ ২০২৪ এ সেমি-ফাইনালিস্ট প্রিয়শপ

ছবি

সরকার পতনের পরও রিজার্ভ সংকট কাটেনি, এখনও ২০ বিলিয়নের নিচে

ছবি

আইএটিএ সদস্যপদ পেল এয়ার এ্যাস্ট্রা 

ছবি

কমওয়ার্ড ২০২৪ এ ১৬টি পুরস্কার জিতেছে বিকাশ

ছবি

সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা সাইনোভিয়া ফার্মা কর্তৃপক্ষের

ছবি

সূচকের বড় পতনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

তামাকের ক্ষতিহ্রাস পণ্যের নিয়ন্ত্রণে যুক্তিসংগত নীতিমালা চায় বেন্ডস্টা

ছবি

গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি – সব বিল পেমেন্টে ‘ভরসা বিকাশ’

ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অমিত শাহর সফর বাতিল, বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা সীমিত: সপ্তাহে একদিন নিলামের নতুন সিদ্ধান্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

গাড়ি : দেশে এসইউভি ও ক্রসওভারের ব্যবহার বাড়ছে

রেজাউল করিম

বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

এক সময় বাংলাদেশে সেডান কারের প্রচলন বেশি ছিল। রাস্তায় বের হলে যত গাড়ি চোখে পড়তো তার অধিকাংশই ছিল সেডান কার। তবে বর্তমানে এই অবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। এখন ঢাকার রাস্তায় অনেক এসইউভি ও ক্রসওভার দেখা যায়।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আগে যে হারে সেডান কার রেজিস্ট্রেশন হতো, বর্তমানে তা হয় না। এর জায়গা দখল করেছে এসইউভি ও ক্রসওভার।

সেডান সাধারণত চার দরজার যাত্রীবাহী গাড়ি যার পেছনে ট্রাঙ্ক বা মালপত্র রাখার জায়গা থাকে এবং তা যাত্রী বসবার জায়গা থেকে আলাদা থাকে। এই ধরনের গাড়ি তিন-বক্স কনফিগারেশনে থাকে, যেখানে ইঞ্জিন, যাত্রী বসবার জায়গা ও মালামাল রাখবার ট্রাঙ্ক থাকে।

আর এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল) একটু উঁচু হয়, কিছুটা রুক্ষ। এই শ্রেণীর গাড়ি ফোর-হুইল ড্রাইভ হয়। যাত্রী বসার জায়গা আর মালামাল রাখার মধ্যে কোন বিভাজক থাকে না। এ ধরনের গাড়ি এবড়ো-থেবড়ো, পাহাড়ি রাস্তার জন্য উপযোগী। এসইউভি বাংলাদেশে জিপ নামেই মানুষের কাছে পরিচিত। এসইউভিতে তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী ইঞ্জিন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাখা হয়। এসইউভি ও সেডানের মাঝামাঝি এক ধরনের গাড়ির প্রচলন দেশে বাড়ছে সেটিকে ক্রসওভার বলে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট এসইউভি ও ক্রসওভার রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল ২৮ হাজার ১৩১টি। এরপর প্রতিবছর এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে সারাদেশে মোট এসইউভি শ্রেণীর নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ৮২ হাজার ৭৭৮টি।

২০১১ সালে এসইউভি ও ক্রসওভার রেজিস্ট্রেশন হয় ২১৪১টি, ২০১২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয় ১৫৭৫টি। ২০১৩ সালে এসইউভি ও ক্রসওয়ারের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১৩০৩টি।

এরপর প্রায় প্রতিবছরই এসইউভি ও ক্রসওভারের ব্যবহার বেড়েছে। ২০১৪ সালে হয়েছে ১৮৪৯টি। এরপর ২০১৫ সালে ৩৫৬৪টি, ২০১৬ সালে ৪৮৬৯টি, ২০১৭ সালে ৫৪১৯টি, ২০১৮ সালে ৫৫৪৭টি, ২০১৯ সালে ৫৬২৭টি, ২০২০ সালে ৪৯১১টি।

আর সম্প্রতি গত দুই বছরে এর বৃদ্ধি আরও চোখে পড়ার মতো। ২০২১ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৭৬০২টি এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১০ হাজার ২৪০টি। অর্থাৎ ২০২২ সালে ১০ হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এই ক্যাটাগরির গাড়ির ব্যবহার।

জার্মানির আউডি হলো বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি উৎপাদক ভক্সওয়াগান-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি গাড়ি উৎপাদন করে যেসব প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগান সেগুলোর একটি। আউডি, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জকে একত্রে জার্মান ‘বিগ থ্রি’ বলা হয়। বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় আউডি, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি অহরহ দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে আউডি গাড়ি বিপণন করে প্রোগ্রেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড। আউডির গাড়িগুলো তুলনামূলক বেশি দামের। কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আউডি গাড়ির আমদানি বেড়েছে।

গতকাল কথা হয় প্রাগ্রেস মোটরস ইমপোর্টস লিমিটেড ও আউডি বাংলাদেশ-এর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আর রাকিবের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে একদম নতুন, দামি গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। দেশের একটা শ্রেণীর মানুষ দামি গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকছেন।

তিনি বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশে সেডান কার বেশি বিক্রি হতো। সেগুলো তুলনামূলক কম দামি। আর বর্তমানে এসইউভি ও ক্রসওভার গাড়ি বিক্রি হচ্ছে বেশি। এক সময় আউডির মতো গামি গাড়ি এ দেশে বিক্রি হতো না। এখন প্রতিবছরই আমাদের গাড়ি বিক্রি হচ্ছে।’

অন্যদিকে সেডান কার রেজিস্ট্রেশনও বেড়েছে। তবে এসইউভি ও ক্রসওভার যে গতিতে বাড়ছে সেই গতিতে বাড়ছে না।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট সেডান কার রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯টি। এরপর কোন বছর এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার কমেছে আবার কোন বছর বেড়েছে।

২০১১ সালে সেডান কারের রেজিস্ট্রেশন হয় ১২ হাজার ৯৪২টি, ২০১২ সালে ৯ হাজার ২২০টি।

এভাবে ২০১৩ সালে ১০ হাজার ৪৫৬টি, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৬৮১টি, ২০১৫ সালে ২১ হাজার ২৯টি। এরপর ২০১৬ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২০ হাজার ২৬৮টিতে।

এরপর ২০১৭ সালে আবার বেড়ে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৯৫২টিতে। ফের ২০১৮ সালে কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২২২টিতে। এরপর দুই বছর কমে দাঁড়ায় ২০১৯ সালে ১৬ হাজার ৭৭৯টি ও ২০২০ সালে ১২ হাজার ৪০৩টি। এর পরের দুই বছর কিছুটা বেড়ে ২০২১ সালে ১৬ হাজার ৪৯টি এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১৬ হাজার ৬৯৫টি। আর ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সেডান কারের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন আছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৫টি।

দেশে গাড়ি নিবন্ধনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষ সেডান কারের তুলনায় এসইউভি বা ক্রসওভার গাড়ি ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকছে।

back to top