জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এক অভিনব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারা মূলত তিনটি দাবি নিয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
দাবিগুলো হলো:
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা।
২. হয় ক্যাম্পাসের কাজ, পুরান ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মান কাজ দৃশ্যত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করা।
৩. ২য় ক্যাম্পাস ও হল নির্মানের কাজের অগ্রগতি প্রতি ১৫ দিন পর পর মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও তারা আগামী সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো: ২২ এপ্রিল কাথা বালিশ কর্মসূচি এবং লিফলেট বিতরণ চলমান থাকবে।
২৩ এপ্রিল ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মুক্তমঞ্চে আলোচনা। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল খোলাচিঠি ও অনলাইনে প্রচারণা।
এসব দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা কাঁথা ও বালিশ নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে রাত্রিযাপন করবেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। কাঁথা-বালিশ নিয়ে আসা মানে হলো, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।"
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের এই অভিনব কর্মসূচি ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা দেখা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে কিনা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এক অভিনব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারা মূলত তিনটি দাবি নিয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
দাবিগুলো হলো:
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা।
২. হয় ক্যাম্পাসের কাজ, পুরান ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মান কাজ দৃশ্যত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করা।
৩. ২য় ক্যাম্পাস ও হল নির্মানের কাজের অগ্রগতি প্রতি ১৫ দিন পর পর মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও তারা আগামী সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো: ২২ এপ্রিল কাথা বালিশ কর্মসূচি এবং লিফলেট বিতরণ চলমান থাকবে।
২৩ এপ্রিল ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মুক্তমঞ্চে আলোচনা। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল খোলাচিঠি ও অনলাইনে প্রচারণা।
এসব দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা কাঁথা ও বালিশ নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে রাত্রিযাপন করবেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। কাঁথা-বালিশ নিয়ে আসা মানে হলো, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।"
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের এই অভিনব কর্মসূচি ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা দেখা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে কিনা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা।