ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাণবন্ত নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ বিতর্কে অংশ নেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থীরা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে রাকসু নির্বাচন কমিশন এবং সহযোগিতায় ছিল রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ফোরাম।
প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি ডিবেট ধরনে অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে চারটি পর্ব ছিল উদ্বোধনী বক্তব্য, পলিসি পর্ব, জিজ্ঞাসাবাদ এবং সমাপনী বক্তব্য। প্রার্থীরা নিজেদের ইশতেহার, পরিকল্পনা ও মতামত তুলে ধরেন।
বিতর্কে অংশ নেন- ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’ প্যানেলের মেহেদী মারুফ, ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের তাসিন খান, ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেলের ফুয়াদ রাতুল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’ প্যানেলের মাহবুব আলম, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘অপরাজেয় একাত্তর অপ্রতিরোধ্য চব্বিশ’ প্যানেলের মাসুদ কিবরিয়া এবং স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ ও আব্দুর রব।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ বলেন, ‘কিছু প্যানেল তাদের ইশতেহার এমনভাবে সাজিয়েছে যা শিক্ষার্থীদের মনে আশার সঞ্চার করবে, কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রাকসু গঠনতান্ত্রিকভাবে অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও, বিভিন্ন দল সেটিকে রাজনৈতিকভাবে চিত্রিত করছে। আমাদের উচিত রাকসুর অরাজনৈতিক চরিত্র অক্ষুণ্য রাখা।’
পলিসি পর্বে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইনক্লুসিভ একটি প্যানেল গঠন করেছি। শুধু ছাত্রশিবিরের সদস্য নয়, বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের ইশতেহার ১২ মাসের মেয়াদে হলেও ইনশাআল্লাহ ৬-৭ মাসেই অধিকাংশ লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।’
অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেলের ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘রাকসুকে আমরা গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার হাতিয়ার হিসেবে দেখি। জুলাই আন্দোলনে যেমন সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাদ্যসংকট নিরসন, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেল গঠন এবং রাকসুকে সক্রিয় রাখার উদ্যোগ নেব।’
বিতর্কের শেষ পর্বে প্রার্থীরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে এবং ক্যাম্পাসে নির্বাচনী উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাণবন্ত নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার,(১১ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ বিতর্কে অংশ নেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থীরা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে রাকসু নির্বাচন কমিশন এবং সহযোগিতায় ছিল রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ফোরাম।
প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি ডিবেট ধরনে অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে চারটি পর্ব ছিল উদ্বোধনী বক্তব্য, পলিসি পর্ব, জিজ্ঞাসাবাদ এবং সমাপনী বক্তব্য। প্রার্থীরা নিজেদের ইশতেহার, পরিকল্পনা ও মতামত তুলে ধরেন।
বিতর্কে অংশ নেন- ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’ প্যানেলের মেহেদী মারুফ, ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের তাসিন খান, ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেলের ফুয়াদ রাতুল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’ প্যানেলের মাহবুব আলম, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘অপরাজেয় একাত্তর অপ্রতিরোধ্য চব্বিশ’ প্যানেলের মাসুদ কিবরিয়া এবং স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ ও আব্দুর রব।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ বলেন, ‘কিছু প্যানেল তাদের ইশতেহার এমনভাবে সাজিয়েছে যা শিক্ষার্থীদের মনে আশার সঞ্চার করবে, কিন্তু বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রাকসু গঠনতান্ত্রিকভাবে অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও, বিভিন্ন দল সেটিকে রাজনৈতিকভাবে চিত্রিত করছে। আমাদের উচিত রাকসুর অরাজনৈতিক চরিত্র অক্ষুণ্য রাখা।’
পলিসি পর্বে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইনক্লুসিভ একটি প্যানেল গঠন করেছি। শুধু ছাত্রশিবিরের সদস্য নয়, বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমাদের ইশতেহার ১২ মাসের মেয়াদে হলেও ইনশাআল্লাহ ৬-৭ মাসেই অধিকাংশ লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।’
অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেলের ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘রাকসুকে আমরা গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার হাতিয়ার হিসেবে দেখি। জুলাই আন্দোলনে যেমন সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাদ্যসংকট নিরসন, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেল গঠন এবং রাকসুকে সক্রিয় রাখার উদ্যোগ নেব।’
বিতর্কের শেষ পর্বে প্রার্থীরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে এবং ক্যাম্পাসে নির্বাচনী উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে।