alt

রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

মাসুদ রানা : শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪

‘আর কোন প্রাণ যেন অযাচিত দুর্ঘটনায় হারিয়ে না যায়’। বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শোকার্ত জাতি। শনিবার বুয়েট শিক্ষার্থীরা শোকের মানববন্ধন করে-সংবাদ

নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ,গু লিস্তান ট্র্যাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজেডি। এসব প্রতিটি ট্র্যাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই উচ্চকণ্ঠে শোনা গেছে ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় কতবার তারা চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল ভবন মালিককে। কিন্তু চিঠি দেয়ার পরেও কেন অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করা গেল না ভবনটিকে সেই প্রশ্নের উত্তর যেন কারো কাছেই নেই। উল্টো ভবন মালিকের ওপর দায় চাপিয়ে ভারমুক্ত থাকেন সংশ্লিষ্ট সবাই। এমনকি রাজধানীতে কতটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সে বিষয়ে সঠিক কোনো সমীক্ষা নেই কোনো সংস্থার। রাজউক থেকে বলা হয়, প্রতিবছর নতুন যে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয় তার বেশিরভাগই ‘বিল্ডিং কোড’ মানে না।

ফায়ার সার্ভিসের চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৩ শতাংশ ভবন। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যানার টানাতেও দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসকে। তাতেও টনক নড়েনি কারো। মালিকরাও কর্ণপাত করছে না ফায়ার সার্ভিসের দেয়া চিঠিকে। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে অগ্নিকা-ের জন্য পুরান ঢাকার ৫ শতাধিক প্লাস্টিক কারখানা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব প্রতিটি ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি রয়েছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রানা প্লাজা ধ্বসের পর গার্মেন্টস সেক্টর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেরকমভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ঢাকায় যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে, আমরা নিয়মিত তাদের চিঠি দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করে থাকি। কিন্তু কেউ সেভাবে এটিকে গুরুত্ব দিতে চান না। একেবারেই যে কোনো কাজ হচ্ছে না সেটি নয়। আমাদের ইন্সপেক্টররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভবনগুলেঅকে অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের বিচারিক ক্ষমতা থাকলে কাজটি আরও গতি পেতো। এ বিষয়ে আমার জানা মতে, অধিদপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছে। বাকিটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বিরামহীনভাবে পালন করে যাচ্ছি। মানুষ সচেতন হলে ঝুঁকিও কমে যাবে বলে জানান এই ফায়ার কর্মকর্তা।

শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনো পুরান ঢাকায় বেশিরভাগ আবাসিক ভবনের নিচতলায় এখনও রাসায়নিক, সুগন্ধি ও প্লাস্টিকের ব্যবসা চলছে। তাছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ অনুযায়ী, বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে কোনো শিল্প ইউনিট আবাসিক এলাকায় এবং তার আশপাশে কাজ করতে পারে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে সেখানে এই ব্যবসা চালু রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ এলাকায় কোনো রাসায়নিক কারখানা বা গোডাউনের অনুমোদনও দিচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এরপরও এখানে অবৈধ ২০ হাজারের বেশি কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে বহাল তবিয়তে।

এবিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, অপ্রশস্ত রাস্তা, কেমিক্যাল গোদাম, অপরিকল্পিত ভবনের কারণে সবসময় ঢাকা ঝুঁকিতে থাকে। এই ঝুঁকিমুক্ত হতে সবার আগে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, রাস্তা প্রশস্ত করা, আধুনিক গ্যাস লাইন ব্যবস্থা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) অনুযায়ী ঢাকা পুনর্গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রত্যেক ভবনে বসবাসযোগ্য নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নিজের বাড়ি ও প্রতিবেশীর বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বাসিন্দাদের উদ্যোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এসব দুর্ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি রয়েছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রানা প্লাজা ধ্বংসের পর গার্মেন্টস সেক্টর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বিশ্বের সেরা হয়েছে, সে রকমভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে মানুষকে ঝুঁকিরোধে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। কিন্তু মানুষ তার সেফটির বিষয়ে যেসব সরঞ্জাম কেনা দরকার এবং ভবনে যেসব সুবিধা রাখা দরকার সেগুলোকে বিশাল লস প্রজেক্ট বলে ধরে নেয়। ফলে আমাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম সফল হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। যেমন- বেইলি রোডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৩ বার চিঠি দিয়ে ভবন মালিককে সতর্ক করা হয়েছিল। তবুও তারা অগ্নিঝুঁকি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি।

ঢাকায় কতগুলো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা কি? জানতে চাইলে ডিজি বলেন, এ ধরনের কোনো সমীক্ষা এবং ভিশন আমাদের নেই। তবে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস অতীতে সমীক্ষা করেছিল, যার ফলাফর ভয়াবহ। নতুন বাস্তবতায় আবারো সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে এবং দুর্যোগ ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়তে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এখনও সরেনি রাসায়নিক গুদাম

একের পর এক অগ্নিকা- ঘটার পরও পুরান ঢাকা থেকে সরছে না কেমিক্যাল গোডাউন। প্রায় ১৪ বছর চেষ্টা করেও এই ঘিঞ্জি এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব গোডাউন সরাতে পারেনি সরকারি প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে এগুলো ঢাকার শ্যামপুর ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সফল হয়নি। তাছাড়া শ্যামপুরের গোডাউনের ধারণক্ষমতা এত কম যে, সেখানে পুরান ঢাকার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর জায়গা হবে।

ওদিকে মুন্সীগঞ্জ প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি। অথচ ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকা থেকে তখন রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ও প্লাস্টিক কারখানা সরানোর দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে। কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের উদ্যোগও নেয় সরকার। সেই প্রকল্পে ধীরগতির মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকায় ঘটে আরেক ট্র্যাজেডি। চুড়িহাট্টার ওয়াহিদ ম্যানশনে আগুন লেগে রাসায়নিক পদার্থের আগুনে পুড়ে মারা যান ৭১ জন।

বাস্তবায়ন হয়নি সেই ১৭ সুপারিশ

২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ১২৪ জন আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনার ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। কিন্তু ১৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সেসব সুপারিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গঠিত তদন্ত কমিটি ১৭টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ঢাকায় আর এত বড় বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটত না। কিন্তু সরকার ওই সুপারিশ বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হলে, ওই ১৭ সুপারিশ বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরি।

সুপারিশমালাগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেয়া, অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া জোরদার করা, ‘অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩’ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক বা বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুদ বা বিপণনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক দ্রব্য বা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ মজুদকরণ বা বিপণন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা, ঘরবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের গুণগত মান নিশ্চিত করা,

রাস্তায় স্থাপিত খোলা তারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা পরিহার করতে প্রতি মাসে অন্তত একবার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার সরেজমিনে গিয়ে পরীক্ষা করা, দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের জন্য স্থানীয়ভাবে পৃথক পানির লাইনসহ হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন করা, দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন, রাসায়নিক ও রাসায়নিকজাতীয় দাহ্য বস্তুর আলাদা দপ্তরের পরিবর্তে সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অবকাঠামো, জনবল, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের আধুনিকায়ন, জনসচেতনতা বাড়ানো, অগ্নিকা-ের সময় যেন উৎসুক জনতা উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো,

পাঠ্যসূচিতে অগ্নিকা-, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করা, ৬২ হাজার কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে ডেকোরেটরের উপকরণের সঙ্গে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা।

ছবি

মামুন হত্যা: আদালত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

ছবি

রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার

রাজধানীতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মুঠোফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ

ছবি

রাজধানীতে বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৩৪

ছবি

আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসী মামুন খুন

ঢাকায় ককটেল হামলার ঘটনায় ‘ছাত্রলীগের’ একজন গ্রেপ্তার

ঢাকায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বকালীন সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

রাজধানীতে প্রযুক্তি খাতের নতুন ঠিকানা ‘ঢাকা কম্পিউটার সিটি’ উদ্বোধন

ছবি

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পুরান ঢাকায় নিহত মামুনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল দুই বছর আগেও

২৪ ঘণ্টায় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী গানের মিছিলে পুলিশের বাধা

ছবি

তিন দফা দাবিতে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি

ছবি

শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা পুলিশের বাধায় ব্যর্থ, কয়েকজন আহত

ছবি

মোহাম্মদপুরে গ্যারেজের আগুনে ‘নাশকতা’ দেখছে পুলিশ

ছবি

ঢাকা-আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের ‘শান্তি চুক্তি’, সাড়া মেলেনি সিটির

ছবি

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

টঙ্গীতে তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

নিরাপত্তাহীনতায় লক্ষীবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

ছবি

বিএনপিকে আদেশ করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে টিটিপাড়া আন্ডারপাস

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের ‘হামলা’, কর্মসূচি পণ্ড

ছবি

শহীদ মিনারে অবস্থান, বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি: নতুন কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা

ছবি

গান গেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো ছায়ানট

ছবি

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের অভিযোগ

ছবি

কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স চার্চে হাতবোমা হামলা, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর খোঁজে পুলিশ

ছবি

ছুটির দিনে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকা দশম, ৩ বিভাগীয় শহরে দূষণ তার চেয়ে অনেক বেশি

ছবি

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে : চসিক মেয়র

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে পোড়া কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

ছবি

প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা অভিমুখী পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ

ছবি

সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুল

ছবি

পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার নিরীক্ষা ছাড়াই মেট্রোরেল সার্ভিস চালু

ছবি

শ্রীপুরে দুইশ’ হাত হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায় ট্রেন, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি জালালের

বাড্ডায় ফ্যাক্টরি থেকে দারোয়ান ও বুয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

tab

রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

মাসুদ রানা

‘আর কোন প্রাণ যেন অযাচিত দুর্ঘটনায় হারিয়ে না যায়’। বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শোকার্ত জাতি। শনিবার বুয়েট শিক্ষার্থীরা শোকের মানববন্ধন করে-সংবাদ

শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪

নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ,গু লিস্তান ট্র্যাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজেডি। এসব প্রতিটি ট্র্যাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই উচ্চকণ্ঠে শোনা গেছে ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় কতবার তারা চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল ভবন মালিককে। কিন্তু চিঠি দেয়ার পরেও কেন অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করা গেল না ভবনটিকে সেই প্রশ্নের উত্তর যেন কারো কাছেই নেই। উল্টো ভবন মালিকের ওপর দায় চাপিয়ে ভারমুক্ত থাকেন সংশ্লিষ্ট সবাই। এমনকি রাজধানীতে কতটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সে বিষয়ে সঠিক কোনো সমীক্ষা নেই কোনো সংস্থার। রাজউক থেকে বলা হয়, প্রতিবছর নতুন যে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয় তার বেশিরভাগই ‘বিল্ডিং কোড’ মানে না।

ফায়ার সার্ভিসের চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৩ শতাংশ ভবন। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যানার টানাতেও দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসকে। তাতেও টনক নড়েনি কারো। মালিকরাও কর্ণপাত করছে না ফায়ার সার্ভিসের দেয়া চিঠিকে। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে অগ্নিকা-ের জন্য পুরান ঢাকার ৫ শতাধিক প্লাস্টিক কারখানা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব প্রতিটি ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি রয়েছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রানা প্লাজা ধ্বসের পর গার্মেন্টস সেক্টর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেরকমভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ঢাকায় যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে, আমরা নিয়মিত তাদের চিঠি দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করে থাকি। কিন্তু কেউ সেভাবে এটিকে গুরুত্ব দিতে চান না। একেবারেই যে কোনো কাজ হচ্ছে না সেটি নয়। আমাদের ইন্সপেক্টররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভবনগুলেঅকে অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের বিচারিক ক্ষমতা থাকলে কাজটি আরও গতি পেতো। এ বিষয়ে আমার জানা মতে, অধিদপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছে। বাকিটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বিরামহীনভাবে পালন করে যাচ্ছি। মানুষ সচেতন হলে ঝুঁকিও কমে যাবে বলে জানান এই ফায়ার কর্মকর্তা।

শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনো পুরান ঢাকায় বেশিরভাগ আবাসিক ভবনের নিচতলায় এখনও রাসায়নিক, সুগন্ধি ও প্লাস্টিকের ব্যবসা চলছে। তাছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ অনুযায়ী, বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে কোনো শিল্প ইউনিট আবাসিক এলাকায় এবং তার আশপাশে কাজ করতে পারে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে সেখানে এই ব্যবসা চালু রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ এলাকায় কোনো রাসায়নিক কারখানা বা গোডাউনের অনুমোদনও দিচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এরপরও এখানে অবৈধ ২০ হাজারের বেশি কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে বহাল তবিয়তে।

এবিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, অপ্রশস্ত রাস্তা, কেমিক্যাল গোদাম, অপরিকল্পিত ভবনের কারণে সবসময় ঢাকা ঝুঁকিতে থাকে। এই ঝুঁকিমুক্ত হতে সবার আগে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, রাস্তা প্রশস্ত করা, আধুনিক গ্যাস লাইন ব্যবস্থা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) অনুযায়ী ঢাকা পুনর্গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রত্যেক ভবনে বসবাসযোগ্য নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নিজের বাড়ি ও প্রতিবেশীর বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বাসিন্দাদের উদ্যোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এসব দুর্ঘটনার পেছনে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি রয়েছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রানা প্লাজা ধ্বংসের পর গার্মেন্টস সেক্টর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বিশ্বের সেরা হয়েছে, সে রকমভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে মানুষকে ঝুঁকিরোধে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। কিন্তু মানুষ তার সেফটির বিষয়ে যেসব সরঞ্জাম কেনা দরকার এবং ভবনে যেসব সুবিধা রাখা দরকার সেগুলোকে বিশাল লস প্রজেক্ট বলে ধরে নেয়। ফলে আমাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম সফল হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। যেমন- বেইলি রোডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৩ বার চিঠি দিয়ে ভবন মালিককে সতর্ক করা হয়েছিল। তবুও তারা অগ্নিঝুঁকি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি।

ঢাকায় কতগুলো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা কি? জানতে চাইলে ডিজি বলেন, এ ধরনের কোনো সমীক্ষা এবং ভিশন আমাদের নেই। তবে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস অতীতে সমীক্ষা করেছিল, যার ফলাফর ভয়াবহ। নতুন বাস্তবতায় আবারো সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে এবং দুর্যোগ ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়তে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এখনও সরেনি রাসায়নিক গুদাম

একের পর এক অগ্নিকা- ঘটার পরও পুরান ঢাকা থেকে সরছে না কেমিক্যাল গোডাউন। প্রায় ১৪ বছর চেষ্টা করেও এই ঘিঞ্জি এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব গোডাউন সরাতে পারেনি সরকারি প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে এগুলো ঢাকার শ্যামপুর ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সফল হয়নি। তাছাড়া শ্যামপুরের গোডাউনের ধারণক্ষমতা এত কম যে, সেখানে পুরান ঢাকার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর জায়গা হবে।

ওদিকে মুন্সীগঞ্জ প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি। অথচ ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকা থেকে তখন রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ও প্লাস্টিক কারখানা সরানোর দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে। কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের উদ্যোগও নেয় সরকার। সেই প্রকল্পে ধীরগতির মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকায় ঘটে আরেক ট্র্যাজেডি। চুড়িহাট্টার ওয়াহিদ ম্যানশনে আগুন লেগে রাসায়নিক পদার্থের আগুনে পুড়ে মারা যান ৭১ জন।

বাস্তবায়ন হয়নি সেই ১৭ সুপারিশ

২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ১২৪ জন আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনার ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। কিন্তু ১৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সেসব সুপারিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গঠিত তদন্ত কমিটি ১৭টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ঢাকায় আর এত বড় বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা ঘটত না। কিন্তু সরকার ওই সুপারিশ বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে। ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হলে, ওই ১৭ সুপারিশ বাস্তবায়ন করা একান্ত জরুরি।

সুপারিশমালাগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেয়া, অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া জোরদার করা, ‘অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩’ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক বা বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুদ বা বিপণনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক দ্রব্য বা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ মজুদকরণ বা বিপণন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা, ঘরবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের গুণগত মান নিশ্চিত করা,

রাস্তায় স্থাপিত খোলা তারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা পরিহার করতে প্রতি মাসে অন্তত একবার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার সরেজমিনে গিয়ে পরীক্ষা করা, দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের জন্য স্থানীয়ভাবে পৃথক পানির লাইনসহ হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন করা, দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন, রাসায়নিক ও রাসায়নিকজাতীয় দাহ্য বস্তুর আলাদা দপ্তরের পরিবর্তে সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অবকাঠামো, জনবল, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের আধুনিকায়ন, জনসচেতনতা বাড়ানো, অগ্নিকা-ের সময় যেন উৎসুক জনতা উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো,

পাঠ্যসূচিতে অগ্নিকা-, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করা, ৬২ হাজার কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে ডেকোরেটরের উপকরণের সঙ্গে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা।

back to top