রাজধানীর শুক্রাবাদে ‘গ্যাস বিস্ফোরণ’ থেকে বাসায় আগুন লেগে দগ্ধ স্বামীর পর স্ত্রীও মারা গেলেন।
স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর পর এখন বেঁচে রইল শুধু তাদের তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান বায়েজীদ।
বুধবার রাত ১টা ৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বায়েজীদের মা নিপা বেগমের মৃত্যু হয়।
৩০ বছর বয়সী নিপার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১ অক্টোবর নিপার স্বামী ৩৫ বছর বয়সী টোটন মিয়া মারা যান, তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে শুক্রাবাদ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে আগুন লাগলে টোটন, তার স্ত্রী নিপা এবং তাদের ছেলে বায়েজিদ দগ্ধ হন। পরে তাদের বার্ন ইনস্টটিউটিটের জরুরি বিভাগের রেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলে তার অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা। বায়েজীদের ক্ষেত্রেও পোড়ার মাত্রা ৪৫ শতাংশ।
টোটনের শ্যালক নজরুল ইসলাম ও মামা জাকির হোসেন জানান, শুক্রাবাদের ওই বাসায় বেশ কিছুদিন ধরেই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। শনিবার ভোরে ম্যাচ জ্বালাতেই সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তাতে তিনজন দগ্ধ হয়।
ওই বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন টোটন। আর বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন থাকেন তৃতীয় তলায়।
ঘটনার দিন নিজাম বলেছিলেন, ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে নিচে নেমে তিনি আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণ কেন হল তা তিনি ‘বুঝতে পারছেন না’।
“রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ওই ঘটনায় ঘটে। একটা শব্দ পেয়ে আমরা নিচে নেমে দেখি জানলায় আগুন। টোটন এবং বাকি দুজন বাইরে বের হয়ে বসে আছে। আমরা আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পর র্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস এখানে এসেছে। আমরাও চাই ঘটনাটির কারণ বের হোক।”
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানীর শুক্রাবাদে ‘গ্যাস বিস্ফোরণ’ থেকে বাসায় আগুন লেগে দগ্ধ স্বামীর পর স্ত্রীও মারা গেলেন।
স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর পর এখন বেঁচে রইল শুধু তাদের তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান বায়েজীদ।
বুধবার রাত ১টা ৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বায়েজীদের মা নিপা বেগমের মৃত্যু হয়।
৩০ বছর বয়সী নিপার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১ অক্টোবর নিপার স্বামী ৩৫ বছর বয়সী টোটন মিয়া মারা যান, তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে শুক্রাবাদ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে আগুন লাগলে টোটন, তার স্ত্রী নিপা এবং তাদের ছেলে বায়েজিদ দগ্ধ হন। পরে তাদের বার্ন ইনস্টটিউটিটের জরুরি বিভাগের রেড ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলে তার অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা। বায়েজীদের ক্ষেত্রেও পোড়ার মাত্রা ৪৫ শতাংশ।
টোটনের শ্যালক নজরুল ইসলাম ও মামা জাকির হোসেন জানান, শুক্রাবাদের ওই বাসায় বেশ কিছুদিন ধরেই গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। শনিবার ভোরে ম্যাচ জ্বালাতেই সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তাতে তিনজন দগ্ধ হয়।
ওই বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন টোটন। আর বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন থাকেন তৃতীয় তলায়।
ঘটনার দিন নিজাম বলেছিলেন, ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে নিচে নেমে তিনি আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণ কেন হল তা তিনি ‘বুঝতে পারছেন না’।
“রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ওই ঘটনায় ঘটে। একটা শব্দ পেয়ে আমরা নিচে নেমে দেখি জানলায় আগুন। টোটন এবং বাকি দুজন বাইরে বের হয়ে বসে আছে। আমরা আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পর র্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস এখানে এসেছে। আমরাও চাই ঘটনাটির কারণ বের হোক।”