জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত।" বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শিরোনাম ছিল, ‘নবীন চোখে গণ-অভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "যেভাবে ১৯৪৫ সালে জার্মানির ফ্যাসিস্ট নাৎসি পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি হওয়া উচিত।" তিনি অভিযোগ করেন যে কিছু রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।
আলোচনা সভায় আসিফ জানান, গণ–অভ্যুত্থানের সময় আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খরচ সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হবে। আহতদের দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যদিও পাসপোর্ট না থাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে।
আসিফ আরও বলেন, "গণ–অভ্যুত্থান আংশিক সফল হয়েছে। আমাদের এক দফা দাবি ছিল শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। কিন্তু ফ্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলোপ করা এখনো সম্ভব হয়নি।"
সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে থাকতে পারে না। আমি কোনো রাজা দেখতে চাই না, আমি দেখতে চাই এই দেশের মালিক জনগণ।" তিনি বলেন, গণ–অভ্যুত্থান জনগণের মধ্যে নাগরিকত্বের চেতনা জাগিয়ে তুলেছে।
আইনজীবী মানজুর আল মতিন জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, "আমরা একটি সুষ্ঠু ভোট চাই, যেখানে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা বাধ্য থাকবেন। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চাই, যেখানে বিচার পাওয়া যাবে এবং ধর্ম, জাতি, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকলেও মৌলিক অধিকারে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব।"
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী। সভা শেষে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় র্যাপার হান্নানের পরিবেশনায় গান অনুষ্ঠিত হয়, যা সমবেত ছাত্র-জনতার মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
এই সভার মাধ্যমে যুবসমাজের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত।" বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শিরোনাম ছিল, ‘নবীন চোখে গণ-অভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "যেভাবে ১৯৪৫ সালে জার্মানির ফ্যাসিস্ট নাৎসি পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি হওয়া উচিত।" তিনি অভিযোগ করেন যে কিছু রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।
আলোচনা সভায় আসিফ জানান, গণ–অভ্যুত্থানের সময় আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খরচ সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হবে। আহতদের দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যদিও পাসপোর্ট না থাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে।
আসিফ আরও বলেন, "গণ–অভ্যুত্থান আংশিক সফল হয়েছে। আমাদের এক দফা দাবি ছিল শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। কিন্তু ফ্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলোপ করা এখনো সম্ভব হয়নি।"
সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, "বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে থাকতে পারে না। আমি কোনো রাজা দেখতে চাই না, আমি দেখতে চাই এই দেশের মালিক জনগণ।" তিনি বলেন, গণ–অভ্যুত্থান জনগণের মধ্যে নাগরিকত্বের চেতনা জাগিয়ে তুলেছে।
আইনজীবী মানজুর আল মতিন জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, "আমরা একটি সুষ্ঠু ভোট চাই, যেখানে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা বাধ্য থাকবেন। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চাই, যেখানে বিচার পাওয়া যাবে এবং ধর্ম, জাতি, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকলেও মৌলিক অধিকারে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব।"
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী। সভা শেষে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় র্যাপার হান্নানের পরিবেশনায় গান অনুষ্ঠিত হয়, যা সমবেত ছাত্র-জনতার মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
এই সভার মাধ্যমে যুবসমাজের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোচনা হয়।