রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়ে পুলিশের আহ্বানে একমত হয়েছে রিকশা মালিক-শ্রমিকপক্ষ। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, বৈঠকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক এবং রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে রিকশা-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম জানান, “প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ রাখার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। তবে সড়কের ভেতরের অলিগলিতে এগুলো চলতে পারবে।”
এছাড়া নতুন ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন সড়কে না নামে এবং ঢাকা মহানগরের বাইরের রিকশাগুলো ঢাকায় প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আইনগত বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছিল। সম্প্রতি এসব রিকশা প্রধান সড়কে চলতে শুরু করলে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন দিনের মধ্যে এ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত ২৫ নভেম্বর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে। একইসঙ্গে হাইকোর্টে দেওয়া রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ নিশ্চিত করতে শ্রমিক ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি নগরীতে নতুন কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে যেমন পোস্তগোলা ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ, এবং টঙ্গির প্রবেশপথে এই যানবাহন বন্ধে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া, মহানগরীতে একটি জোনাল লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
হাইকোর্টের আদেশের পরে সড়ক অবরোধ করে চালকদের বিক্ষোভে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে আলোচনার মাধ্যমে আপাতত এই সংকটের সমাধান হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ডিএমপি সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও কঠোর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়ে পুলিশের আহ্বানে একমত হয়েছে রিকশা মালিক-শ্রমিকপক্ষ। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, বৈঠকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক, মালিক, গ্যারেজ মালিক এবং রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে রিকশা-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম জানান, “প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ রাখার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। তবে সড়কের ভেতরের অলিগলিতে এগুলো চলতে পারবে।”
এছাড়া নতুন ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন সড়কে না নামে এবং ঢাকা মহানগরের বাইরের রিকশাগুলো ঢাকায় প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আইনগত বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছিল। সম্প্রতি এসব রিকশা প্রধান সড়কে চলতে শুরু করলে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন দিনের মধ্যে এ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত ২৫ নভেম্বর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে। একইসঙ্গে হাইকোর্টে দেওয়া রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ নিশ্চিত করতে শ্রমিক ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি নগরীতে নতুন কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে যেমন পোস্তগোলা ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ, এবং টঙ্গির প্রবেশপথে এই যানবাহন বন্ধে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া, মহানগরীতে একটি জোনাল লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
হাইকোর্টের আদেশের পরে সড়ক অবরোধ করে চালকদের বিক্ষোভে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে আলোচনার মাধ্যমে আপাতত এই সংকটের সমাধান হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ডিএমপি সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও কঠোর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।