চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চালু হয়েছে সিটিস্ক্যান সেবা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এ সেবা চালু হওয়ায়
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গরিব ও অসহায় রোগীরা সহজেই এ সেবা পাবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পুরনো মেশিনটি থেকেও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা। জরুরি বিভাগেই গুরুতর রোগীদের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সিটিস্ক্যান সেবা মিলবে। চালু হওয়া আধুনিক নতুন এ মেশিন প্রাথমিক পর্যায়ে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগীদের সেবা প্রদান করে গেলেও শীঘ্রই ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতদিন পুরো হাসপাতালে একটিমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ার ঘটনায় দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীদের। তবে নতুন এ মেশিন চালু হওয়ায় রোগীদের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনকে সিটিস্ক্যান সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরীক্ষাভেদে মাত্র ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় এ সেবা গ্রহণ করতে পারেন সাধারণ রোগীরা। যা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় করতে হয় রোগীদের। এতদিন একমাত্র মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ার কারণে বেসরকারি ল্যাবগুলোতেও ছুটতে হতো রোগীদের। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। তবে দীর্ঘদিন পর ফের নতুন মেশিন চালু হওয়ায় রোগীদের সেবা আরও সহজ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে সেবার কাজ চলছে। কিন্তু বহুবার একমাত্র মেশিন বিকল হওয়ার ঘটনায় রোগী-চিকিৎসকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি প্রেরণ করে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম সফরে এসে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরাসরি নতুন এ মেশিন চমেক হাসপাতালের জন্য প্রেরণ করা হয়।
জানা গেছে, জাপানের সাবেক হিটাচি ব্র্যান্ডের (বর্তমানে ফুজি ফিল্ম) ১২৮ স্লাইসের নতুন মেশিনটি সরবরাহ করে মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে ঢাকার এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আট কোটি টাকার অধিক মূল্যের নতুন অত্যাধুনিক মেশিনটি গতবছরের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। এরপর তা স্থাপনে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক্স-রে রুমের পাশেই স্থাপন করা হয় মেশিনটি। সম্প্রতি মেশিনটি স্থাপনের পর গত ২ ফেব্রুয়ারি তা অনানুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়; যাতে বর্তমানে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। চালুর পর প্রতিদিন প্রাথমিকভাবে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হচ্ছে। যাতে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী সেবা পাচ্ছেন। তবে তা দিন-রাতেও চলানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত সপ্তাহে আধুনিক এ সিটিস্ক্যান মেশিন চালু করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা আছে। রোগীদের সেবার কথা বিবেচনা করে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সেবাদান কার্যক্রম চলমান আছে। সামনে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়ার ইচ্ছে আছে। যদিও জনবলের ঘাটতি আছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জনবল পেলে সার্বক্ষণিক চালানো সম্ভব হবে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চালু হয়েছে সিটিস্ক্যান সেবা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এ সেবা চালু হওয়ায়
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গরিব ও অসহায় রোগীরা সহজেই এ সেবা পাবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পুরনো মেশিনটি থেকেও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা। জরুরি বিভাগেই গুরুতর রোগীদের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সিটিস্ক্যান সেবা মিলবে। চালু হওয়া আধুনিক নতুন এ মেশিন প্রাথমিক পর্যায়ে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগীদের সেবা প্রদান করে গেলেও শীঘ্রই ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতদিন পুরো হাসপাতালে একটিমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ার ঘটনায় দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীদের। তবে নতুন এ মেশিন চালু হওয়ায় রোগীদের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনকে সিটিস্ক্যান সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরীক্ষাভেদে মাত্র ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় এ সেবা গ্রহণ করতে পারেন সাধারণ রোগীরা। যা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় করতে হয় রোগীদের। এতদিন একমাত্র মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ার কারণে বেসরকারি ল্যাবগুলোতেও ছুটতে হতো রোগীদের। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। তবে দীর্ঘদিন পর ফের নতুন মেশিন চালু হওয়ায় রোগীদের সেবা আরও সহজ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে সেবার কাজ চলছে। কিন্তু বহুবার একমাত্র মেশিন বিকল হওয়ার ঘটনায় রোগী-চিকিৎসকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি প্রেরণ করে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম সফরে এসে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরাসরি নতুন এ মেশিন চমেক হাসপাতালের জন্য প্রেরণ করা হয়।
জানা গেছে, জাপানের সাবেক হিটাচি ব্র্যান্ডের (বর্তমানে ফুজি ফিল্ম) ১২৮ স্লাইসের নতুন মেশিনটি সরবরাহ করে মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে ঢাকার এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আট কোটি টাকার অধিক মূল্যের নতুন অত্যাধুনিক মেশিনটি গতবছরের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। এরপর তা স্থাপনে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক্স-রে রুমের পাশেই স্থাপন করা হয় মেশিনটি। সম্প্রতি মেশিনটি স্থাপনের পর গত ২ ফেব্রুয়ারি তা অনানুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়; যাতে বর্তমানে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। চালুর পর প্রতিদিন প্রাথমিকভাবে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হচ্ছে। যাতে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী সেবা পাচ্ছেন। তবে তা দিন-রাতেও চলানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত সপ্তাহে আধুনিক এ সিটিস্ক্যান মেশিন চালু করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা আছে। রোগীদের সেবার কথা বিবেচনা করে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সেবাদান কার্যক্রম চলমান আছে। সামনে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়ার ইচ্ছে আছে। যদিও জনবলের ঘাটতি আছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জনবল পেলে সার্বক্ষণিক চালানো সম্ভব হবে।