সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৫
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ জানান, সংঘর্ষের সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, তবে শিক্ষার্থীরা সরে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সংঘর্ষে আহত আইডিয়াল কলেজের ৫ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ইরফান আহমেদের শরীরে ছুরিকাঘাত রয়েছে, অন্যরা ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন: ইরফান আহমেদ (১৮),মাহিন আহমেদ (২০), রিয়ন (১৮),ইয়ামিন (১৭),আরমান (১৮)
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আহমেদ ইমন।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইমন জানান, দুপুরের দিকে আজিমপুর এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় বিকালে পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই ইট-পাটকেল ছোড়ে ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করে।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বলেন, “এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা রয়েছে। প্রায়ই সামান্য বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা।”
তিনি মনে করেন, “শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা যদি সচেতন না হন, তাহলে এই সংঘর্ষ বন্ধ করা সম্ভব নয়। শিক্ষক ও অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আইডিয়াল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সিটি কলেজের নামফলক খুলে ফেলে।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হন।
পাঁচ দিন পর, ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করেন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের ক্যাম্পাস খুব কাছাকাছি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংঘর্ষ বাধে। সেদিন সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করে। এই ঘটনার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সহিংসতা ঠেকাতে, পরে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের প্রতিনিধিসহ পুলিশের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু কমিটির কার্যক্রমের মধ্যেই আবার সংঘর্ষে জড়াল শিক্ষার্থীরা।
সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৫
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ জানান, সংঘর্ষের সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, তবে শিক্ষার্থীরা সরে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সংঘর্ষে আহত আইডিয়াল কলেজের ৫ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ইরফান আহমেদের শরীরে ছুরিকাঘাত রয়েছে, অন্যরা ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন: ইরফান আহমেদ (১৮),মাহিন আহমেদ (২০), রিয়ন (১৮),ইয়ামিন (১৭),আরমান (১৮)
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আহমেদ ইমন।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইমন জানান, দুপুরের দিকে আজিমপুর এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় বিকালে পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই ইট-পাটকেল ছোড়ে ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করে।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বলেন, “এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা রয়েছে। প্রায়ই সামান্য বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা।”
তিনি মনে করেন, “শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা যদি সচেতন না হন, তাহলে এই সংঘর্ষ বন্ধ করা সম্ভব নয়। শিক্ষক ও অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আইডিয়াল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সিটি কলেজের নামফলক খুলে ফেলে।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হন।
পাঁচ দিন পর, ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করেন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের ক্যাম্পাস খুব কাছাকাছি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংঘর্ষ বাধে। সেদিন সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করে। এই ঘটনার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এই সহিংসতা ঠেকাতে, পরে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের প্রতিনিধিসহ পুলিশের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু কমিটির কার্যক্রমের মধ্যেই আবার সংঘর্ষে জড়াল শিক্ষার্থীরা।