ঢাকার গণপরিবহনে গোলাপি বাস পরিষেবায় শুরুতেই ধাক্কা
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হওয়া গোলাপি রঙের বাস সেবা শুরুতেই প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। কেবল কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার নিয়ম মানতে রাজি নয় শ্রমিকরা। এই দাবিতে তারা সায়দাবাদে বিক্ষোভ করেছে, যা রাজধানীর ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি করে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সায়দাবাদ জনপদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বাস শ্রমিকরা। এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, বলাকা ও তুরাগ পরিবহনের শ্রমিকরা কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস চালানোতে অসহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, “তারা দাবি করছে, তাদের বেতন কম। যেখানে-সেখানে যাত্রী তুললে তারা বেশি আয় করতে পারে, কিন্তু কাউন্টারে চালালে সে সুযোগ থাকে না। তাই তারা বলছে, কাউন্টারে বাস চালালে তাদের বেতন বাড়াতে হবে।”
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছে, তারা পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিও জানিয়েছে। এসব কারণেই তারা সড়ক অবরোধ করেছিল বলে জানান খোকন।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে এবং যান চলাচল শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-গাজীপুর রুটে কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস পরিষেবা চালু করা হয়। গোলাপি রঙের এসব বাসের সংখ্যা ২,৬১০, যা এতদিন ২১টি পরিবহন কোম্পানির অধীনে চলত। নতুন নিয়মের অংশ হিসেবে ই-টিকেট ব্যবস্থা চালু করা হয়।
উদ্বোধনের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির প্রথম পদক্ষেপ এটি। পর্যায়ক্রমে সব রুটে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিমানবন্দরে নামলেই বিদেশিরা আমাদের বিশৃঙ্খল ট্রাফিক পরিস্থিতি দেখে। বাসগুলো গরু-মহিষের মতো একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এসব বন্ধ করতে হবে।”
ঢাকার গণপরিবহনে গোলাপি বাস পরিষেবায় শুরুতেই ধাক্কা
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হওয়া গোলাপি রঙের বাস সেবা শুরুতেই প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। কেবল কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার নিয়ম মানতে রাজি নয় শ্রমিকরা। এই দাবিতে তারা সায়দাবাদে বিক্ষোভ করেছে, যা রাজধানীর ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি করে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সায়দাবাদ জনপদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বাস শ্রমিকরা। এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, বলাকা ও তুরাগ পরিবহনের শ্রমিকরা কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস চালানোতে অসহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, “তারা দাবি করছে, তাদের বেতন কম। যেখানে-সেখানে যাত্রী তুললে তারা বেশি আয় করতে পারে, কিন্তু কাউন্টারে চালালে সে সুযোগ থাকে না। তাই তারা বলছে, কাউন্টারে বাস চালালে তাদের বেতন বাড়াতে হবে।”
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছে, তারা পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিও জানিয়েছে। এসব কারণেই তারা সড়ক অবরোধ করেছিল বলে জানান খোকন।
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে এবং যান চলাচল শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-গাজীপুর রুটে কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস পরিষেবা চালু করা হয়। গোলাপি রঙের এসব বাসের সংখ্যা ২,৬১০, যা এতদিন ২১টি পরিবহন কোম্পানির অধীনে চলত। নতুন নিয়মের অংশ হিসেবে ই-টিকেট ব্যবস্থা চালু করা হয়।
উদ্বোধনের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির প্রথম পদক্ষেপ এটি। পর্যায়ক্রমে সব রুটে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিমানবন্দরে নামলেই বিদেশিরা আমাদের বিশৃঙ্খল ট্রাফিক পরিস্থিতি দেখে। বাসগুলো গরু-মহিষের মতো একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এসব বন্ধ করতে হবে।”