পুলিশের দাবি, ফ্ল্যাটে থাকা দম্পতিই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত
রাজধানীর হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক তরুণ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দিন আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে সাইফুর রহমান তাদের উত্তরখানের পুরানপাড়ায় ভাড়া বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যেই কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে এক তরুণ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কিছুদিন ধরেই সাইফুর রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রমজানের শুরুতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বিপদে পড়েছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তাদের সঙ্গে তখন উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের পরিচয় হয়।
“তাদের দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। ছেলেটি গাড়িচালক ও মেয়েটি গৃহকর্মী হিসেবে কাজের আশ্বাসে সাইফুর তাদের উত্তরখানের পুরানপাড়ার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে থেকেই তারা কয়েক দিন ছিলেন।”
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাইফুর রহমান বাইরে বের হলে বাসার দরজায় তালা দিয়ে যেতেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দম্পতি অভিযোগ করেছেন যে, সাইফুর রহমান তাদের মেয়েটিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার রাতে সেহরির সময় তরুণীর সঙ্গে জবরদস্তির চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু সাইফুর রহমান একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তাই দম্পতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
গত সোমবার ভোরে উত্তরখানের পুরানপাড়ায় সাইফুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের বড় ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সাইফুরের মূল বাসা রাজধানীর শান্তিনগরে। সেখানে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে থাকেন। তবে তিনি কিছুদিন ধরে উত্তরখানের ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
তার ভাষ্য, পারিবারিক আলোচনায় এই ভাড়া বাসার বিষয়টি কখনো উঠে আসেনি। তবে সাইফুরের স্ত্রীর নামে উত্তরখানে আড়াই কাঠা জমি ছিল, যা কিছুদিন আগে দখলমুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই লুৎফুর রহমান ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই-তিন দিন আগে সাইফুর রহমানের ফ্ল্যাটে এক তরুণ ও এক তরুণী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, রোববার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা কেউ সাইফুর রহমানের কক্ষে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে আরও তদন্ত চালানো হবে।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
পুলিশের দাবি, ফ্ল্যাটে থাকা দম্পতিই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত
রাজধানীর হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক তরুণ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দিন আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে সাইফুর রহমান তাদের উত্তরখানের পুরানপাড়ায় ভাড়া বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মধ্যেই কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে এক তরুণ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কিছুদিন ধরেই সাইফুর রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রমজানের শুরুতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বিপদে পড়েছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তাদের সঙ্গে তখন উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমানের পরিচয় হয়।
“তাদের দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। ছেলেটি গাড়িচালক ও মেয়েটি গৃহকর্মী হিসেবে কাজের আশ্বাসে সাইফুর তাদের উত্তরখানের পুরানপাড়ার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে থেকেই তারা কয়েক দিন ছিলেন।”
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাইফুর রহমান বাইরে বের হলে বাসার দরজায় তালা দিয়ে যেতেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দম্পতি অভিযোগ করেছেন যে, সাইফুর রহমান তাদের মেয়েটিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার রাতে সেহরির সময় তরুণীর সঙ্গে জবরদস্তির চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু সাইফুর রহমান একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তাই দম্পতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
গত সোমবার ভোরে উত্তরখানের পুরানপাড়ায় সাইফুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের বড় ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সাইফুরের মূল বাসা রাজধানীর শান্তিনগরে। সেখানে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে থাকেন। তবে তিনি কিছুদিন ধরে উত্তরখানের ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
তার ভাষ্য, পারিবারিক আলোচনায় এই ভাড়া বাসার বিষয়টি কখনো উঠে আসেনি। তবে সাইফুরের স্ত্রীর নামে উত্তরখানে আড়াই কাঠা জমি ছিল, যা কিছুদিন আগে দখলমুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই লুৎফুর রহমান ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুই-তিন দিন আগে সাইফুর রহমানের ফ্ল্যাটে এক তরুণ ও এক তরুণী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, রোববার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা কেউ সাইফুর রহমানের কক্ষে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে আরও তদন্ত চালানো হবে।