ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
১৩ নভেম্বর লকডাউন ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় ‘নাশকতা’ ঠেকাতে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে থাকবে
বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল ও নজরদারি
সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা
চালানো হবে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার অভিযান-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘নাশকতা ঠেকাতে’ ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
রাজধানীতে একের পর এক বাসে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্পর্শকাতর স্থাপনা, সুপ্রিম কোর্ট ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে সেখানে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি। নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা ৮টি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তত ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে থাকবে।
মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) ও বেশ কয়েটি স্থানে বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর একাধিক স্থানে বাসে আগুন দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীজুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল ও নজরদারি।
ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি, জনগণকে গুজবে কান না দিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যিনি বর্তমানে রাজসাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
###পুরনো ঢাকায় বাসে আগুন
পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরে ফায়ার স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাস আগুনে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘মালঞ্চ পরিবহনের’ বাসটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। বাসটিতে আগুনের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল থেকে জানিয়েছেন, সোমবার গভীর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৪টি গাড়িতে আগুন লাগছে। পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরের অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে মোট ৫টি গাড়িতে আগুন লাগছে। একের পর এক বাসে আগুন লাগার কারণে বাস যাত্রীদের মধ্যে এখন আতংক বিরাজ করছে।
### পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য পুলিশের প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে সেখানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা ৮টি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা আছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলো তাদের প্রশিক্ষণ শেষ পর্যায়ে নিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে দু-একটি রিহার্সেল বা মহড়া দেওয়া হতে পারে। পুলিশের প্রায় দেড় লাখ, সেনাবাহিনী প্রায় এক লাখ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ৩৫ হাজার, আনসার সাড়ে পাঁচ লাখের মতো, নৌবাহিনী সাড়ে চার হাজার ও কোস্টগার্ড চার হাজারের মতো সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারেন।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে আরও বেগবান করা হবে। কিছু কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে, সেগুলো দ্রুত উদ্ধার করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত, তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি বলেন, আরাকানের দিক থেকে মাদকের চালান আসা কিছুটা কমেছে। তবে সেটা আশাব্যঞ্জক না। সমাজ থেকে মাদক দূর করাটা আমাদের সবার দায়িত্ব।
### ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘নাশকতা প্রতিহত করতে’ ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘এ দেশের জনগণ, ঢাকাবাসী অতীতে স্বৈরাচার পতনের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। জনগণই প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এ ধরনের নাশকতা যারা করছে, তাদের প্রতিহত করবে এই ঢাকাবাসী।
‘ঢাকাবাসীর কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের সাহায্য করুন, প্রতিরোধ সৃষ্টি করুন, আমরা সঙ্গে আছি।’ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই মন্তব্য করে পুলিশ কমিশনার বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় একটা আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেকোনো ধরনের নাশকতা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে, কারণ ঢাকাবাসী আমাদের সঙ্গে আছে।
‘বিগত দিনে এই ঢাকাবাসীই স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। সব বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে যেকোনো নাশকতা প্রতিহত করা হবে।’ সোমবার উত্তরায় জসিমউদদীন রোডে এবং মৌচাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয় এবং এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেন পুলিশ কমিশনার। দুইদিনে ১৭টি ককটেল, ৯টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এসব ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরিচিত কাউকে আশ্রয় না দেওয়া এবং মেস, হোটেল, গেস্ট হাউজে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কাউকে ওঠানোর অনুরোধ করে বলেন,‘কোনো আগন্তুককে সন্দেহজনকভাবে দেখলে থানায় অথবা ৯৯৯ ফোন করার অনুরোধ করছি।’ ঢাকা মহানগরীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করে তিনি বলেন,‘তবে গত এক বছরে রাস্তার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।’ হাই কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন,‘হাই কোর্ট হচ্ছে বিচার পাওয়ার জায়গা, সেখানে মানুষ যাবেই। তবে মঙ্গলবার যে অবস্থা ওই অবস্থা সেদিন (১৩ নভেম্বর) থাকবে না। আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেব।’
### দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
হঠাৎ জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক। মঙ্গলবার বেবিচক থেকে সবগুলো বিমানবন্দরে পাঠানো চিঠিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন, সবার নিরাপত্তা তল্লাশি ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। দেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি আন্তর্জাতিকে এবং কক্সবাজার, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল ও সৈয়দপুরে মোট পাঁচটি অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বেবিচকের।
এ সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা কাউছার মাহমুদ বলেন,‘চলমান সহিংসতাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সবাই যাতে নিরাপদে বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে, সেটা নিশ্চিতে বেবিচক সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’ চিঠিতে বলা হয়েছে,‘দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিমানবন্দরসমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ মাত্রায় জোরদার করার লক্ষ্যে সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক ও ব্যবস্থাপকদের নিচের নির্দেশনাগুলো অবিলম্বে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হল।’
কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিমানবন্দরে শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত যাত্রীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে। বিমানবন্দরের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে সবারই নিরাপত্তা তল্লাশি করতে হবে। যাত্রী, কেবিন ব্যাগেজ, কার্গো ও যানবাহনের যথাযথ তল্লাশি নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে স্পর্শকাতর এলাকা ও সীমানা প্রাচীর এলাকায় নিয়মিত ও ঘন ঘন নিরাপত্তা টহল পরিচালনা করতে হবে। নিরাপত্তা সরঞ্জাম (যেমন- জ্যামার, ইডিএস, ইটিডি, মেটাল ডিটেক্টর, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি) প্রতিদিন পরীক্ষা করে তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
দায়িত্ব পালনের আগে নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ব্রিফ করে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে। কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সিসি ক্যামেরা মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করে অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও সতর্কতা ২৪/৭ সক্রিয় রাখতে হবে।
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা লেগে যায়। ওই ঘটনায় কেপিআইভুক্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর তিন সপ্তাহ পর গত ৬ নভেম্বর ভোরে কার্গো কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় আট নম্বর হ্যাঙ্গার গেইটে ১৫টি মোবাইল ফোনসহ আটক হন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম, যিনি সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের ঘোষণার মধ্যে গত তিন দিন ধরে দেশের আবার দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে বিমানবন্দরগুলোতে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছেন বেবিচক কর্মকর্তারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
১৩ নভেম্বর লকডাউন ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় ‘নাশকতা’ ঠেকাতে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে থাকবে
বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল ও নজরদারি
সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা
চালানো হবে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার অভিযান-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘নাশকতা ঠেকাতে’ ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
রাজধানীতে একের পর এক বাসে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্পর্শকাতর স্থাপনা, সুপ্রিম কোর্ট ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে সেখানে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি। নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা ৮টি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তত ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে থাকবে।
মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) ও বেশ কয়েটি স্থানে বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর একাধিক স্থানে বাসে আগুন দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীজুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল ও নজরদারি।
ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি, জনগণকে গুজবে কান না দিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যিনি বর্তমানে রাজসাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
###পুরনো ঢাকায় বাসে আগুন
পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরে ফায়ার স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাস আগুনে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘মালঞ্চ পরিবহনের’ বাসটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। বাসটিতে আগুনের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল থেকে জানিয়েছেন, সোমবার গভীর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৪টি গাড়িতে আগুন লাগছে। পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরের অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে মোট ৫টি গাড়িতে আগুন লাগছে। একের পর এক বাসে আগুন লাগার কারণে বাস যাত্রীদের মধ্যে এখন আতংক বিরাজ করছে।
### পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য পুলিশের প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে সেখানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা ৮টি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা আছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলো তাদের প্রশিক্ষণ শেষ পর্যায়ে নিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে দু-একটি রিহার্সেল বা মহড়া দেওয়া হতে পারে। পুলিশের প্রায় দেড় লাখ, সেনাবাহিনী প্রায় এক লাখ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ৩৫ হাজার, আনসার সাড়ে পাঁচ লাখের মতো, নৌবাহিনী সাড়ে চার হাজার ও কোস্টগার্ড চার হাজারের মতো সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারেন।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে আরও বেগবান করা হবে। কিছু কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে, সেগুলো দ্রুত উদ্ধার করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত, তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি বলেন, আরাকানের দিক থেকে মাদকের চালান আসা কিছুটা কমেছে। তবে সেটা আশাব্যঞ্জক না। সমাজ থেকে মাদক দূর করাটা আমাদের সবার দায়িত্ব।
### ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘নাশকতা প্রতিহত করতে’ ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘এ দেশের জনগণ, ঢাকাবাসী অতীতে স্বৈরাচার পতনের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। জনগণই প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এ ধরনের নাশকতা যারা করছে, তাদের প্রতিহত করবে এই ঢাকাবাসী।
‘ঢাকাবাসীর কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের সাহায্য করুন, প্রতিরোধ সৃষ্টি করুন, আমরা সঙ্গে আছি।’ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই মন্তব্য করে পুলিশ কমিশনার বলেন,‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় একটা আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেকোনো ধরনের নাশকতা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে, কারণ ঢাকাবাসী আমাদের সঙ্গে আছে।
‘বিগত দিনে এই ঢাকাবাসীই স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। সব বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে যেকোনো নাশকতা প্রতিহত করা হবে।’ সোমবার উত্তরায় জসিমউদদীন রোডে এবং মৌচাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয় এবং এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য দেন পুলিশ কমিশনার। দুইদিনে ১৭টি ককটেল, ৯টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এসব ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরিচিত কাউকে আশ্রয় না দেওয়া এবং মেস, হোটেল, গেস্ট হাউজে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কাউকে ওঠানোর অনুরোধ করে বলেন,‘কোনো আগন্তুককে সন্দেহজনকভাবে দেখলে থানায় অথবা ৯৯৯ ফোন করার অনুরোধ করছি।’ ঢাকা মহানগরীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করে তিনি বলেন,‘তবে গত এক বছরে রাস্তার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।’ হাই কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন,‘হাই কোর্ট হচ্ছে বিচার পাওয়ার জায়গা, সেখানে মানুষ যাবেই। তবে মঙ্গলবার যে অবস্থা ওই অবস্থা সেদিন (১৩ নভেম্বর) থাকবে না। আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেব।’
### দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
হঠাৎ জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক। মঙ্গলবার বেবিচক থেকে সবগুলো বিমানবন্দরে পাঠানো চিঠিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন, সবার নিরাপত্তা তল্লাশি ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। দেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি আন্তর্জাতিকে এবং কক্সবাজার, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল ও সৈয়দপুরে মোট পাঁচটি অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বেবিচকের।
এ সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা কাউছার মাহমুদ বলেন,‘চলমান সহিংসতাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সবাই যাতে নিরাপদে বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে, সেটা নিশ্চিতে বেবিচক সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’ চিঠিতে বলা হয়েছে,‘দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিমানবন্দরসমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ মাত্রায় জোরদার করার লক্ষ্যে সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক ও ব্যবস্থাপকদের নিচের নির্দেশনাগুলো অবিলম্বে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হল।’
কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিমানবন্দরে শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত যাত্রীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে। বিমানবন্দরের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে সবারই নিরাপত্তা তল্লাশি করতে হবে। যাত্রী, কেবিন ব্যাগেজ, কার্গো ও যানবাহনের যথাযথ তল্লাশি নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে স্পর্শকাতর এলাকা ও সীমানা প্রাচীর এলাকায় নিয়মিত ও ঘন ঘন নিরাপত্তা টহল পরিচালনা করতে হবে। নিরাপত্তা সরঞ্জাম (যেমন- জ্যামার, ইডিএস, ইটিডি, মেটাল ডিটেক্টর, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি) প্রতিদিন পরীক্ষা করে তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
দায়িত্ব পালনের আগে নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ব্রিফ করে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে। কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সিসি ক্যামেরা মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করে অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও সতর্কতা ২৪/৭ সক্রিয় রাখতে হবে।
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা লেগে যায়। ওই ঘটনায় কেপিআইভুক্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর তিন সপ্তাহ পর গত ৬ নভেম্বর ভোরে কার্গো কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় আট নম্বর হ্যাঙ্গার গেইটে ১৫টি মোবাইল ফোনসহ আটক হন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম, যিনি সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের ঘোষণার মধ্যে গত তিন দিন ধরে দেশের আবার দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে বিমানবন্দরগুলোতে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছেন বেবিচক কর্মকর্তারা।