এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা টানা চতুর্দশ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ‘ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ নামের সংগঠনের ব্যানারে তারা ২ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচিতে রয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় পরিষদের সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুনিমুল হক জানান, আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ‘ইতিবাচক বার্তা’ পাননি। তিনি বলেন, “আমরা ১৪ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে বসা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো ‘পজেটিভ বার্তা’ দেয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও বলা হচ্ছে—আবেদন নেব, নিচ্ছি, নীতিমালা বদল করছি—এ ধরনের ধানাইপানাই কথা।”
গত রোববার শিক্ষকরা পদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ আপাতত কোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা না করার অনুরোধ করেছিল। সে অনুযায়ী আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছি। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা কঠোর কর্মসূচি শুরু করবো।
“গত রমজানে এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে ১৭ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব আলোচনায় আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক–কর্মচারীদের ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’। “সরকারকে এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা বন্ধ করে সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানাই। তা না হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দাবি আদায় করবো।”
এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। ১৭ দিন পর ১২ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সেলিম মিয়া জানান, মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
তবে সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষকরা ফের ২ নভেম্বর থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা টানা চতুর্দশ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ‘ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ নামের সংগঠনের ব্যানারে তারা ২ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচিতে রয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় পরিষদের সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুনিমুল হক জানান, আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ‘ইতিবাচক বার্তা’ পাননি। তিনি বলেন, “আমরা ১৪ দিন প্রেস ক্লাবের সামনে বসা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো ‘পজেটিভ বার্তা’ দেয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও বলা হচ্ছে—আবেদন নেব, নিচ্ছি, নীতিমালা বদল করছি—এ ধরনের ধানাইপানাই কথা।”
গত রোববার শিক্ষকরা পদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ আপাতত কোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা না করার অনুরোধ করেছিল। সে অনুযায়ী আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছি। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা কঠোর কর্মসূচি শুরু করবো।
“গত রমজানে এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে ১৭ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব আলোচনায় আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক–কর্মচারীদের ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’। “সরকারকে এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা বন্ধ করে সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানাই। তা না হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দাবি আদায় করবো।”
এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। ১৭ দিন পর ১২ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সেলিম মিয়া জানান, মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
তবে সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষকরা ফের ২ নভেম্বর থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন।