ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেই বাড়ির অবশিষ্ট যা আছে তা গুঁড়িয়ে দিতে এক্সকেভেটর নিয়ে গিয়েছিলেন একদল লোক। তবে এবার পুলিশ ও সেনাদের বাধার মুখে পড়েন তারা -সোহরাব আলম
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভবনটিতে আবারও ভাঙচুর চালাতে আসা বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে একজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার দিনে সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫)। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এক দল ‘ছাত্র-জনতা’ দুইটি বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। ওই সময় ট্রাকের ওপরে হাতে মাইক নিয়ে কয়েকজন তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন বলেন ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বুলডোজার দুইটি আনা হয়েছে।
এরপর বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সেনা সদস্যরা এসে যোগ দেয় পুলিশের সঙ্গে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছু সময় ধরে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ছাত্ররা একটি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেড আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দিকে ছুঁড়ে মারলে সেটির বিস্ফোরণে ওই সেনা সদস্য আহত হন। ওই সেনা সদস্যদের পায়ের পাতা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। এরপর ৩২ নম্বর সড়কের দুই মাথায় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়ে লোকজনকে আটকে দেয়।
ভবনটিকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য ট্রাকে করে আনা দুইটির মধ্যে একটি বুলডোজার নামানোই হয়নি। এছাড়া আরেকটি ফেলে পালিয়ে গেছে এর চালকও। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর তারা ৩২ নম্বর সড়কে ঢোকার মুখে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তাদের ঘিরে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ৩২ নম্বর সড়কটিতে তখন একেবারেই কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
দুপুর ২টার দিকে মিরপুর সড়কে ফের উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ পরপর কয়েকটি সাউন্ড গানের ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। পুলিশের রমনা বিভাগের উপ- কমিশনার মাসুদ আলম ঘটনাস্থলে বলেন, ‘ওরা ভবনটি ভাঙতে এসেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছি।’ গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার ৬ মাস পূর্তির দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে অর্ধেকের বেশি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেই বাড়ির অবশিষ্ট যা আছে তা গুঁড়িয়ে দিতে এক্সকেভেটর নিয়ে গিয়েছিলেন একদল লোক। তবে এবার পুলিশ ও সেনাদের বাধার মুখে পড়েন তারা -সোহরাব আলম
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভবনটিতে আবারও ভাঙচুর চালাতে আসা বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে একজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার দিনে সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫)। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এক দল ‘ছাত্র-জনতা’ দুইটি বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। ওই সময় ট্রাকের ওপরে হাতে মাইক নিয়ে কয়েকজন তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন বলেন ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বুলডোজার দুইটি আনা হয়েছে।
এরপর বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সেনা সদস্যরা এসে যোগ দেয় পুলিশের সঙ্গে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছু সময় ধরে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ছাত্ররা একটি অবিস্ফোরিত সাউন্ড গ্রেনেড আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দিকে ছুঁড়ে মারলে সেটির বিস্ফোরণে ওই সেনা সদস্য আহত হন। ওই সেনা সদস্যদের পায়ের পাতা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। এরপর ৩২ নম্বর সড়কের দুই মাথায় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়ে লোকজনকে আটকে দেয়।
ভবনটিকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য ট্রাকে করে আনা দুইটির মধ্যে একটি বুলডোজার নামানোই হয়নি। এছাড়া আরেকটি ফেলে পালিয়ে গেছে এর চালকও। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর তারা ৩২ নম্বর সড়কে ঢোকার মুখে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তাদের ঘিরে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ৩২ নম্বর সড়কটিতে তখন একেবারেই কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
দুপুর ২টার দিকে মিরপুর সড়কে ফের উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ পরপর কয়েকটি সাউন্ড গানের ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। পুলিশের রমনা বিভাগের উপ- কমিশনার মাসুদ আলম ঘটনাস্থলে বলেন, ‘ওরা ভবনটি ভাঙতে এসেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছি।’ গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার ৬ মাস পূর্তির দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে অর্ধেকের বেশি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।