ঢাকার পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, এলাকা দখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তার এবং বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত। রাজনৈতিক কোন্দল ও ক্ষমতার দাপটের সঙ্গে অর্থ লেনদেন যুক্ত ছিল—গ্রেপ্তার দুইজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।”
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন—মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) এবং মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় মনিরকে হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৮টি মামলার আসামি সুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে র্যাব।
মাহবুব আলম জানান, গ্রেপ্তার দুইজন ডাকাতি, হত্যা, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন মামলায় পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধচক্র পরিচালনা করছিলেন। তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে মিরপুরকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সুজন অস্ত্র সরবরাহ করত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
হত্যাকাণ্ডটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। পল্লবীর পুরনো থানার কাছে সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিনজন ব্যক্তি ঢুকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে গুলি করে কিবরিয়াকে হত্যা করে। রাত ৮টার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা পালানোর সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আরিফ হোসেনকেও গুলি করে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা জনি ভূইয়া (২৫) নামে একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে আদালতে জনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পল্লবী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকার পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, এলাকা দখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তার এবং বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত। রাজনৈতিক কোন্দল ও ক্ষমতার দাপটের সঙ্গে অর্থ লেনদেন যুক্ত ছিল—গ্রেপ্তার দুইজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।”
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন—মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) এবং মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় মনিরকে হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৮টি মামলার আসামি সুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে র্যাব।
মাহবুব আলম জানান, গ্রেপ্তার দুইজন ডাকাতি, হত্যা, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন মামলায় পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধচক্র পরিচালনা করছিলেন। তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে মিরপুরকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সুজন অস্ত্র সরবরাহ করত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
হত্যাকাণ্ডটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। পল্লবীর পুরনো থানার কাছে সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিনজন ব্যক্তি ঢুকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে গুলি করে কিবরিয়াকে হত্যা করে। রাত ৮টার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা পালানোর সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আরিফ হোসেনকেও গুলি করে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা জনি ভূইয়া (২৫) নামে একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে আদালতে জনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পল্লবী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।