ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যার পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ ও আধিপত্যের পাশাপাশি ‘বড় ধরনের অর্থিক লেনদেন’ থাকার কথা বলেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনের বরাতে এ তথ্য দিল র্যাব। হত্যাকাণ্ডে বিষয়ে জানাতে বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন র্যাব-৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ড।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলো- মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) ও মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারে মনিরকে নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী বলা হয়েছে। ১৮ মামলার আসামি সুজনকে ‘সন্দেহভাজন’ বলেছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, যেটা ছিল পরিকল্পিত ছিল। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয় বলে গ্রেপ্তার দুইজনের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাদের খুঁজছিল।
‘তারা দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অপরাধচক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। মিরপুরকেন্দ্রিক সন্ত্রাসে সুজন অস্ত্র সরবরাহ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’ গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরনো থানার কাছে ‘সি’ ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যান। রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পর চলে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককেও গুলি করে অস্ত্রধারীরা। আরিফ হোসেন নামের ওই অটোচালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন জনি ভূঁইয়া (২৫) নামে একজনকে ধরে পুলিশে দেয়। জনি এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনায় পল্লবী থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যার পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ ও আধিপত্যের পাশাপাশি ‘বড় ধরনের অর্থিক লেনদেন’ থাকার কথা বলেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনের বরাতে এ তথ্য দিল র্যাব। হত্যাকাণ্ডে বিষয়ে জানাতে বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন র্যাব-৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ড।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলো- মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) ও মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারে মনিরকে নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী বলা হয়েছে। ১৮ মামলার আসামি সুজনকে ‘সন্দেহভাজন’ বলেছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, যেটা ছিল পরিকল্পিত ছিল। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয় বলে গ্রেপ্তার দুইজনের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাদের খুঁজছিল।
‘তারা দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অপরাধচক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। মিরপুরকেন্দ্রিক সন্ত্রাসে সুজন অস্ত্র সরবরাহ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’ গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর পুরনো থানার কাছে ‘সি’ ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ঢুকে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যান। রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পর চলে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককেও গুলি করে অস্ত্রধারীরা। আরিফ হোসেন নামের ওই অটোচালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লোকজন জনি ভূঁইয়া (২৫) নামে একজনকে ধরে পুলিশে দেয়। জনি এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনায় পল্লবী থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা।