রাজধানীর মুগদা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ কমল চন্দ্র দাস নামের এক ব্যবসায়ীর সন্ধান মিলেনি ২৫ দিনেও। এ ঘটনায় মুগদা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশ নিখোঁজ সেলুন ব্যবসায়ী কমলের সন্ধান পায়নি। নিখোঁজ কমলকে উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ কমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রতীমা রাণী দাস জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে দক্ষিণ মুগদা পাড়ার ৫৬/এইচ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে কর্মস্থল লেটকু শাহ’র গলি দক্ষিণ মান্ডার ‘কমল হেয়ার ড্রেসার’ দোকানে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুগদা থানায় তিনি (কমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রতীমা রাণী দাস) একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নম্বর : ৬৭০। সাধারণ ডায়েরি তদন্তের দায়িত্ব পান মুগদা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মুজাহিদ। ইতোমধ্যে ২৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমাদের জানাতে পারেনি কমলের অবস্থান। কমল বেঁচে আছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তাও জানতে পারছি না। কমল নিখোঁজ হওয়ার পর দোকান কর্মচারী আরিফ আমাদের কাছে অর্থ দাবি করেছে। আরিফ বলছে সে দোকানে কাজের টাকা পাবে। টাকা না দিলে আমার ছেলে দিপ্তকে তুলে নিয়ে যাবে।
জিডির পর তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মুজাহিদের কাছে কমলের কোন খোঁজ পাওয়া গেছে কিনা, তদন্তের অগ্রগতি কী-এসব বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বিরক্ত হন। আমাদের বলেন, জিডি তদন্তের সময় নেই। আমি ভুলে গেছি। পরে দেখা করো।
নিখোঁজ কমলের ছেলে দিপ্ত দাস জানান, আমার বাবা নিখোঁজ হবার পর আমাদের ঘরে চুলা পর্যন্ত জ্বলছে না। তিনি যদি বেঁচে থাকেন বা কেউ যদি তাকে অপহরণ করে নিয়ে মেরে ফেলে থাকে তাহলেও আমরা তার সন্ধান চাই। আমি জানি না আমার বাবার কী অপরাধ। আমরা কোন খবরই পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে মুগদা থানার এসআই মুজাহিদ ইসলাম জানান, তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমি তার মোবাইল কললিস্ট এবং ফোনের আইএমই নাম্বার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তার ফোনের লোকেশন সর্বশেষ কোথায় ছিল, শেষ কলটি কার ছিল- এ বিষয়ে সিডিআরের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও সিডিআর হাতে পাওয়া যায়নি। তবে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি, সেলুন সমিতিসহ বেশকিছু সমিতি থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন। ঋণের কারণে তিনি আত্মগোপন করেছে কিনা-সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার কোন ব্যক্তিগত শক্রতা অথবা তার কোন অপরাধ রয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০১৯
রাজধানীর মুগদা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ কমল চন্দ্র দাস নামের এক ব্যবসায়ীর সন্ধান মিলেনি ২৫ দিনেও। এ ঘটনায় মুগদা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশ নিখোঁজ সেলুন ব্যবসায়ী কমলের সন্ধান পায়নি। নিখোঁজ কমলকে উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ কমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রতীমা রাণী দাস জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে দক্ষিণ মুগদা পাড়ার ৫৬/এইচ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে কর্মস্থল লেটকু শাহ’র গলি দক্ষিণ মান্ডার ‘কমল হেয়ার ড্রেসার’ দোকানে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুগদা থানায় তিনি (কমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রতীমা রাণী দাস) একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নম্বর : ৬৭০। সাধারণ ডায়েরি তদন্তের দায়িত্ব পান মুগদা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মুজাহিদ। ইতোমধ্যে ২৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমাদের জানাতে পারেনি কমলের অবস্থান। কমল বেঁচে আছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তাও জানতে পারছি না। কমল নিখোঁজ হওয়ার পর দোকান কর্মচারী আরিফ আমাদের কাছে অর্থ দাবি করেছে। আরিফ বলছে সে দোকানে কাজের টাকা পাবে। টাকা না দিলে আমার ছেলে দিপ্তকে তুলে নিয়ে যাবে।
জিডির পর তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মুজাহিদের কাছে কমলের কোন খোঁজ পাওয়া গেছে কিনা, তদন্তের অগ্রগতি কী-এসব বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বিরক্ত হন। আমাদের বলেন, জিডি তদন্তের সময় নেই। আমি ভুলে গেছি। পরে দেখা করো।
নিখোঁজ কমলের ছেলে দিপ্ত দাস জানান, আমার বাবা নিখোঁজ হবার পর আমাদের ঘরে চুলা পর্যন্ত জ্বলছে না। তিনি যদি বেঁচে থাকেন বা কেউ যদি তাকে অপহরণ করে নিয়ে মেরে ফেলে থাকে তাহলেও আমরা তার সন্ধান চাই। আমি জানি না আমার বাবার কী অপরাধ। আমরা কোন খবরই পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে মুগদা থানার এসআই মুজাহিদ ইসলাম জানান, তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমি তার মোবাইল কললিস্ট এবং ফোনের আইএমই নাম্বার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তার ফোনের লোকেশন সর্বশেষ কোথায় ছিল, শেষ কলটি কার ছিল- এ বিষয়ে সিডিআরের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও সিডিআর হাতে পাওয়া যায়নি। তবে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি, সেলুন সমিতিসহ বেশকিছু সমিতি থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন। ঋণের কারণে তিনি আত্মগোপন করেছে কিনা-সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার কোন ব্যক্তিগত শক্রতা অথবা তার কোন অপরাধ রয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।