alt

চলন্ত বাস থেকে ছিটকে পড়ে শিশু নিহত, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে রাইদা পরিবহনের একটি চলন্ত বাস থেকে ছিটকে পড়ে শিশু মরিয়ম আক্তার (১০) মারা যায়। নামার আগেই বাস টান দিলে মরিয়ম ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলো- চালক রাজু মিয়া ও হেলপার ইমরান হোসেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শিশু নিহতের এই ঘটনা সম্পূর্ণ ক্লুলেস ছিল। ৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রগতি সরণি থেকে শিশু মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি বাস থেকে পড়ার পর হামলা, ভাঙচুরের ভয়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। ফিরতি যাত্রার সময় জানতে পারেন, শিশুটি মারা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয়টি তারা অবগত হন। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে গাড়িচালক ও তার সহকারী আত্মগোপনে চলে যান।

রাইদা পরিবহনটিতে ওই সময় গেটলক সার্ভিস চালু ছিল। শিশুটি ফুল বিক্রির পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা চাইতো ওই বাসে ভিক্ষা করতে উঠেছিল। একই সময় বাসচালকের সহকারী ইমরান যাত্রীদের থেকে ভাড়া তুলছিলেন। ইমরান শিশুটিকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন এবং গাড়িচালককে গতি কমাতে অনুরোধ করেন। গাড়ির গতি ছিল ৩০-৪০ কিলোমিটার। এ অবস্থায় গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে যায় মরিয়ম। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রনি মিয়া ভাটারা থানায় মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন আরও বলেন, বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা মেয়েটিকে পড়ে যেতে দেখে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু পেছনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস থাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। রাইদা পরিবহন পোস্তগোলা থেকে দিয়াবাড়ীতে যায়। শিশুটি দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাসটিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদের একটি বাস ডিপোতে রেখে পালিয়ে ছিলেন। রাজু প্রায় ৬ বছর রাইদা পরিবহনের গাড়ি চালানোর কাজ করছেন। ইমরান আগে গার্মেন্টসের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মাস ছয়েক আগে রাইদায় বাস চালকের হেলপার হিসেবে যোগ দেন।

শিশু মরিয়ম তার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেতের কুড়াতলী এলাকায় থাকতো। তার বাবা রনি একজন প্রাইভেটকারচালক। মরিয়ম ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তবে, অর্থের অভাবে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার দিন সকালে মরিয়ম বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় পথচারী ও বাস যাত্রীদের কাছে ঘুরে ঘুরে সাহায্য চাচ্ছিল।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে র‌্যাব বলছে, মরিয়ম হেঁটে হেঁটে প্রগতি সরণির ফুটওভারব্রিজ অতিক্রম করে। এরপর সে রাইদা সিটিং সার্ভিসের একটি বাসে ওঠে। বাসটি সামনে যেতেই একজন পথচারীকে হাত দিয়ে ইশারা করতে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরার এক ফ্রেমের ঠিক পেছনে ভিকটিম মরিয়মকে আহতাবস্থায় পাওয়া যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার অবস্থান এবং সময় বিবেচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, এখানেই মৃত্যু হয় শিশু মরিয়মের।

ছবি

ধানমন্ডিতে ১২ সাবেক সচিব-অধিকর্তাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের পর দুদকে তলব

ছবি

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: অভিযোগ গঠনের আদেশ মঙ্গলবার

ছবি

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছেন ২২ বিশিষ্ট নাগরিক

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: রাজধানীতে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

ছবি

চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা

ছবি

চানখাঁরপুলে গুলিতে নিহত আনাসের রক্তে ভেসে গিয়েছিল শরীর: ট্রাইব্যুনালে মায়ের সাক্ষ্য

ছবি

ডিএসসিসিতে কোটি টাকার জ্বালানি খরচের ‘অনিয়ম’, দুদকের অভিযান

ছবি

মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার হামলায় আরও দুজন গ্রেপ্তার

ছবি

সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় হামলার মামলায় এক আসামি রিমান্ডে, আরেকজন কারাগারে

ছবি

সংস্কারে আরো দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে ‘চাঁদপুর ইলিশ চত্বর’

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক র‌্যালি

ছবি

আদাবরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে গিয়ে পুলিশের গাড়িচালককে কুপিয়ে জখম

ছবি

৩৮ লাখ টাকার অভিযোগে ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিতু সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

একাধিক অভিযোগে বরখাস্ত হল চিকিৎসক ফাতেমা দোজা

ছবি

ডিআরইউ আলোচনায় হামলার শিকার অধ্যাপক কার্জনের জামিন নামঞ্জুর

ছবি

সহকারী শিক্ষকদের আল্টিমেটাম :  ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আমরণ অনশন

ছবি

কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত কয়েকজন

ছবি

আগারগাঁও অবরোধে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা, তিন দফা দাবিতে দুর্ভোগে যাত্রীরা

ছবি

ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশের পর শাহবাগ ছাড়লেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

ছবি

কাকরাইলে আন্দোলনকারী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

ছবি

বুয়েট উপাচার্যের ক্ষোভ: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ গ্রহণযোগ্য নয়

ছবি

শাহবাগে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের অবস্থান, পুলিশের হামলার বিরুদ্ধে পাঁচ দফা দাবি

ছবি

বিআইপি অভিযোগ: রাজউক ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয় আবাসন ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করছে

ছবি

হিজাব বিতর্কে শিক্ষক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিকারুননিসা নূন স্কুলে

ছবি

যমুনামুখী হতে চাইলে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ছবি

শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের অবরোধ, তীব্র যানজট

ছবি

ঢাকায় ৮ কেজি কোকেনসহ গায়ানার নাগরিক গ্রেপ্তার

ছবি

শাহবাগ মোড়ে প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তিন দাবিতে সড়ক অবরোধ

ছবি

রাজধানীতে সমাবেশের জন্য ডিএমপির চিহ্নিত ৯১ বিকল্প স্থান

ছবি

সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ বুয়েট শিক্ষার্থীদের যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা

ছবি

জুলাই আন্দোলনে চোখের ক্ষতির শিকারদের চিত্র ট্রাইব্যুনালে

ছবি

রামপুরার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা : ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ চারজন পলাতক আসামিকে আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া চার লাশের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি

ছবি

ঢাকায় নির্বাচনি সভা-সমাবেশের জন্য সড়ক বাদ দিয়ে ৯১ বিকল্প স্থানের প্রস্তাব ডিএমপির

ছবি

ঢাকায় একদিনে চার শিশু-তরুণের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে এ বছর প্রাণহানি ১১৪

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের পর বাসায় আগুন, দগ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু

tab

news » cities

চলন্ত বাস থেকে ছিটকে পড়ে শিশু নিহত, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে রাইদা পরিবহনের একটি চলন্ত বাস থেকে ছিটকে পড়ে শিশু মরিয়ম আক্তার (১০) মারা যায়। নামার আগেই বাস টান দিলে মরিয়ম ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলো- চালক রাজু মিয়া ও হেলপার ইমরান হোসেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শিশু নিহতের এই ঘটনা সম্পূর্ণ ক্লুলেস ছিল। ৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রগতি সরণি থেকে শিশু মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি বাস থেকে পড়ার পর হামলা, ভাঙচুরের ভয়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। ফিরতি যাত্রার সময় জানতে পারেন, শিশুটি মারা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয়টি তারা অবগত হন। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে গাড়িচালক ও তার সহকারী আত্মগোপনে চলে যান।

রাইদা পরিবহনটিতে ওই সময় গেটলক সার্ভিস চালু ছিল। শিশুটি ফুল বিক্রির পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা চাইতো ওই বাসে ভিক্ষা করতে উঠেছিল। একই সময় বাসচালকের সহকারী ইমরান যাত্রীদের থেকে ভাড়া তুলছিলেন। ইমরান শিশুটিকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন এবং গাড়িচালককে গতি কমাতে অনুরোধ করেন। গাড়ির গতি ছিল ৩০-৪০ কিলোমিটার। এ অবস্থায় গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে যায় মরিয়ম। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রনি মিয়া ভাটারা থানায় মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন আরও বলেন, বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা মেয়েটিকে পড়ে যেতে দেখে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু পেছনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস থাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। রাইদা পরিবহন পোস্তগোলা থেকে দিয়াবাড়ীতে যায়। শিশুটি দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাসটিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদের একটি বাস ডিপোতে রেখে পালিয়ে ছিলেন। রাজু প্রায় ৬ বছর রাইদা পরিবহনের গাড়ি চালানোর কাজ করছেন। ইমরান আগে গার্মেন্টসের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মাস ছয়েক আগে রাইদায় বাস চালকের হেলপার হিসেবে যোগ দেন।

শিশু মরিয়ম তার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেতের কুড়াতলী এলাকায় থাকতো। তার বাবা রনি একজন প্রাইভেটকারচালক। মরিয়ম ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তবে, অর্থের অভাবে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার দিন সকালে মরিয়ম বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় পথচারী ও বাস যাত্রীদের কাছে ঘুরে ঘুরে সাহায্য চাচ্ছিল।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে র‌্যাব বলছে, মরিয়ম হেঁটে হেঁটে প্রগতি সরণির ফুটওভারব্রিজ অতিক্রম করে। এরপর সে রাইদা সিটিং সার্ভিসের একটি বাসে ওঠে। বাসটি সামনে যেতেই একজন পথচারীকে হাত দিয়ে ইশারা করতে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরার এক ফ্রেমের ঠিক পেছনে ভিকটিম মরিয়মকে আহতাবস্থায় পাওয়া যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার অবস্থান এবং সময় বিবেচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, এখানেই মৃত্যু হয় শিশু মরিয়মের।

back to top