‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের’ অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলাগুলোতে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা ও তাহসিন রাইসার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
১. প্রথম মামলা: বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ৯.৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২.৬২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
২. দ্বিতীয় মামলা: বেনজীর ও তার স্ত্রী জিসান মির্জার বিরুদ্ধে ৩১.৬৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
৩. তৃতীয় মামলা: বেনজীর ও তার মেয়ে ফারহিন রিশতার বিরুদ্ধে ৮.৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
৪. চতুর্থ মামলা: বেনজীর ও তার মেয়ে তাহসিন রাইসার বিরুদ্ধে ৫.৫৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
১. প্রথম মামলা: মতিউরের বিরুদ্ধে ৫.২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১.২৭ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
২. দ্বিতীয় মামলা: মতিউর ও তার স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে ১.৮৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২.৭৫ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ, রিসোর্ট এবং কোম্পানির মালিকানা নিয়ে। ২০২৪ সালের মার্চে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দুদকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে কোরবানির সময় ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনা নিয়ে। তার ছেলের পরিচয় নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মতিউরের বিপুল সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়।
এরপর দুদক বেনজীর, মতিউর এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ নেয় এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে।
এই মামলাগুলো দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার প্রশ্ন নতুনভাবে সামনে এনেছে।
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের’ অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলাগুলোতে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা ও তাহসিন রাইসার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
১. প্রথম মামলা: বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ৯.৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২.৬২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
২. দ্বিতীয় মামলা: বেনজীর ও তার স্ত্রী জিসান মির্জার বিরুদ্ধে ৩১.৬৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১৬ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
৩. তৃতীয় মামলা: বেনজীর ও তার মেয়ে ফারহিন রিশতার বিরুদ্ধে ৮.৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
৪. চতুর্থ মামলা: বেনজীর ও তার মেয়ে তাহসিন রাইসার বিরুদ্ধে ৫.৫৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
১. প্রথম মামলা: মতিউরের বিরুদ্ধে ৫.২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১.২৭ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
২. দ্বিতীয় মামলা: মতিউর ও তার স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে ১.৮৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২.৭৫ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ, রিসোর্ট এবং কোম্পানির মালিকানা নিয়ে। ২০২৪ সালের মার্চে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দুদকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে কোরবানির সময় ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনা নিয়ে। তার ছেলের পরিচয় নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মতিউরের বিপুল সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়।
এরপর দুদক বেনজীর, মতিউর এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ নেয় এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে।
এই মামলাগুলো দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার প্রশ্ন নতুনভাবে সামনে এনেছে।