ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলায় পাউবো কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে তিস্তা ক্যানেলের সংরক্ষিত এলাকার জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ইরি চাষাবাদে সেচ প্রদানের নির্মিত ডালিয়া-জলঢাকা মূল সেচ ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের মূল ক্যানেলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে নাউতারা নদীতে বেড়করে দেয়ার জন্য নির্মিত আর ১টি স্কেপ সংরক্ষিত এলাকার জায়গা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবু অমিতাভ চৌধুরীকে ম্যানেজ করে তুহিন বাজার এলাকার হাফিজুল ইসলাম (৪০) প্রকাশ্যে দিবালোকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। হাফিজুল ইসলাম নাউতারা ইউনিয়নের তুহিন বাজার এলাকার মৃত বাকি সরদারের ছেলে। সংবাদ মাধ্যম কর্মীকে তিনি নিজেকে জামায়াত নেতা হিসাবে পরিচয় দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তুহিন বাজার সংলগ্ন মেইন ক্যানেল হতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর ১টি স্কেপের লোহার বেড়ায় ঘিরে রাখা সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এলাকার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। অথচ এর পাশেই রয়েছে আর ১টি স্কেপ ও ব্রিজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্প। এ অবৈধ কাজে তারা বাধা দিচ্ছেন না। আনছার ক্যাম্পের ইনচার্জ পিসি আব্দুল খালেক জানান, গত বুধবার দায়িত্ব পওয়ার পর তিনি এখানে নতুন এসেছেন তাই তিনি কিছু বলতে পারছেন না। তবে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সংরক্ষিত এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে ডালিয়া পাউবোর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে জানিয়েছি এবং স্থাপনা নির্মাণ কাজের ছবি পাঠিয়ছি।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে তুহিন বাজার এলাকার তিস্তা মূল ক্যানেল সংলগ্ন পাউবোর বেশ কিছু জমি ঐ এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী আনিছুর রহমান (৩৫), মোজাফফর হোসেন (৪০) ও ফরিদুল ইসলাম (৩০) সহ ৩ সহোদর মিলে জবর দখল করে প্লট আকারে এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেছেন । প্রতিটি প্লট এক লাখ হতে এক দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন তারা । অল্প সময়ের মধ্যে ২০টি অবৈধ দোকান ঘর গড়ে উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংরক্ষিত এলাকায় । এর মধ্যে ওই এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ইতোমধ্যেই বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়াও তুহিন বাজার এলাকার মৃত ইছামুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম (অকু) ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আতাত করে গত ১৫ দিনে পাউবোর জমি দখল করে ৫টি দোকান ঘরে স্থাপনা তৈরির জায়গা বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তুহিন বাজার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী জানান, তুহিন বাজারে একটি প্রভাবশালী চক্র তৈরি হয়েছে তারা জামায়াত ও বিএনপির স্থানীয় নেতা । ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তুহিন বাজারের তিস্তার প্রধান ক্যানেলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের আর ১টি স্কেফ স্পর্শকাতর ও সংরক্ষিত এলাকার জমি দখল করে লোকজনদের কাছে পজেশন বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিযোগ করলে শুধু এসে দেখে যান। কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, তুহিন বাজার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দখলদারির সঙ্গে জড়িত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ ও আরর ১টি স্কেফ এর পকেটের ৭টি সংরক্ষিত স্থানের স্পর্শকাতর জায়গা দখল করে নিয়েছে। দখকৃত জায়গাগুলো ইতোমধ্যেই ওই চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্রটি পজেশন বিক্রি করতে শুরু করেছে। এছাড়াও ওই চক্রটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিপুল পরিমাণ বালু ও মাটি প্রকাশ্যে বিক্রি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসাররা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যান। এখানে যে এগুলো দেখা শোনার জন্য আনসার ক্যাম্পের আনসাররা পাহারায় রয়েছেন তাদের চোখের সামনে জায়গা জবরদখল হচ্ছে। সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উঠছে, বালু ট্রলিতে করে নিয়ে বিক্রি করছে। এত কিছুর পরেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে চুপ থাকেন ।
গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে টের পেয়ে অবৈধ দখলকার অভিযুক্ত গডফাদার রফিকুল ইসলাম অকুসহ অন্যরা গাঁ ঢাকা দিলেও দেখা মিলে জামায়াত নেতা পরিচয় দানকারী হাফিজুর রহমান (৪০) এর। তিনি পাকা স্থাপনা তৈরির কাজের লোকজন নিয়ে পাউবোর সংরক্ষিত স্পর্শকাতর জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন নির্দ্বিধায় ধুমধামের সঙ্গে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংরক্ষিত সরকারি জায়গায় অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জামায়াতের ইউনিয়ন আমির কাজী হাবিবুর রহমান হুজুরসহ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি নিয়েছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির ও এস.ও মো. হাসেম আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া দপ্তরের পানি সেচের মূল ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের আর ১টি স্কেপে ও সেখানকার ব্রিজ সংলগ্ন সংরক্ষিত অনেক জায়গা অবৈধ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। আমাদের দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি । দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হবে । অবৈধ স্থাপনাগুলো সড়ানো না হলে উচ্ছেদের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবু অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কাউকে তুহিন বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেইনি। একটি প্রভাবশালী মহল নিজ স্বার্থে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে সেখান অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা তৈরি করছে । অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিমলা মো. রওশন কবির বিষয়টি দেখছেন। তহশিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জায়গা। ইনশাআল্লাহ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জড়িত আছে ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় পাউবো কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে তিস্তা ক্যানেলের সংরক্ষিত এলাকার জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামানের।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ইরি চাষাবাদে সেচ প্রদানের নির্মিত ডালিয়া-জলঢাকা মূল সেচ ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের মূল ক্যানেলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে নাউতারা নদীতে বেড়করে দেয়ার জন্য নির্মিত আর ১টি স্কেপ সংরক্ষিত এলাকার জায়গা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবু অমিতাভ চৌধুরীকে ম্যানেজ করে তুহিন বাজার এলাকার হাফিজুল ইসলাম (৪০) প্রকাশ্যে দিবালোকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। হাফিজুল ইসলাম নাউতারা ইউনিয়নের তুহিন বাজার এলাকার মৃত বাকি সরদারের ছেলে। সংবাদ মাধ্যম কর্মীকে তিনি নিজেকে জামায়াত নেতা হিসাবে পরিচয় দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তুহিন বাজার সংলগ্ন মেইন ক্যানেল হতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর ১টি স্কেপের লোহার বেড়ায় ঘিরে রাখা সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এলাকার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। অথচ এর পাশেই রয়েছে আর ১টি স্কেপ ও ব্রিজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্প। এ অবৈধ কাজে তারা বাধা দিচ্ছেন না। আনছার ক্যাম্পের ইনচার্জ পিসি আব্দুল খালেক জানান, গত বুধবার দায়িত্ব পওয়ার পর তিনি এখানে নতুন এসেছেন তাই তিনি কিছু বলতে পারছেন না। তবে হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সংরক্ষিত এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে ডালিয়া পাউবোর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে জানিয়েছি এবং স্থাপনা নির্মাণ কাজের ছবি পাঠিয়ছি।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে তুহিন বাজার এলাকার তিস্তা মূল ক্যানেল সংলগ্ন পাউবোর বেশ কিছু জমি ঐ এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী আনিছুর রহমান (৩৫), মোজাফফর হোসেন (৪০) ও ফরিদুল ইসলাম (৩০) সহ ৩ সহোদর মিলে জবর দখল করে প্লট আকারে এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেছেন । প্রতিটি প্লট এক লাখ হতে এক দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন তারা । অল্প সময়ের মধ্যে ২০টি অবৈধ দোকান ঘর গড়ে উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংরক্ষিত এলাকায় । এর মধ্যে ওই এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ইতোমধ্যেই বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়াও তুহিন বাজার এলাকার মৃত ইছামুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম (অকু) ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আতাত করে গত ১৫ দিনে পাউবোর জমি দখল করে ৫টি দোকান ঘরে স্থাপনা তৈরির জায়গা বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তুহিন বাজার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী জানান, তুহিন বাজারে একটি প্রভাবশালী চক্র তৈরি হয়েছে তারা জামায়াত ও বিএনপির স্থানীয় নেতা । ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তুহিন বাজারের তিস্তার প্রধান ক্যানেলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের আর ১টি স্কেফ স্পর্শকাতর ও সংরক্ষিত এলাকার জমি দখল করে লোকজনদের কাছে পজেশন বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিযোগ করলে শুধু এসে দেখে যান। কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, তুহিন বাজার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দখলদারির সঙ্গে জড়িত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ ও আরর ১টি স্কেফ এর পকেটের ৭টি সংরক্ষিত স্থানের স্পর্শকাতর জায়গা দখল করে নিয়েছে। দখকৃত জায়গাগুলো ইতোমধ্যেই ওই চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্রটি পজেশন বিক্রি করতে শুরু করেছে। এছাড়াও ওই চক্রটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিপুল পরিমাণ বালু ও মাটি প্রকাশ্যে বিক্রি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসাররা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যান। এখানে যে এগুলো দেখা শোনার জন্য আনসার ক্যাম্পের আনসাররা পাহারায় রয়েছেন তাদের চোখের সামনে জায়গা জবরদখল হচ্ছে। সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উঠছে, বালু ট্রলিতে করে নিয়ে বিক্রি করছে। এত কিছুর পরেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে চুপ থাকেন ।
গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে টের পেয়ে অবৈধ দখলকার অভিযুক্ত গডফাদার রফিকুল ইসলাম অকুসহ অন্যরা গাঁ ঢাকা দিলেও দেখা মিলে জামায়াত নেতা পরিচয় দানকারী হাফিজুর রহমান (৪০) এর। তিনি পাকা স্থাপনা তৈরির কাজের লোকজন নিয়ে পাউবোর সংরক্ষিত স্পর্শকাতর জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন নির্দ্বিধায় ধুমধামের সঙ্গে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংরক্ষিত সরকারি জায়গায় অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জামায়াতের ইউনিয়ন আমির কাজী হাবিবুর রহমান হুজুরসহ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি নিয়েছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির ও এস.ও মো. হাসেম আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া দপ্তরের পানি সেচের মূল ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের আর ১টি স্কেপে ও সেখানকার ব্রিজ সংলগ্ন সংরক্ষিত অনেক জায়গা অবৈধ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। আমাদের দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি । দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হবে । অবৈধ স্থাপনাগুলো সড়ানো না হলে উচ্ছেদের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবু অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কাউকে তুহিন বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেইনি। একটি প্রভাবশালী মহল নিজ স্বার্থে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে সেখান অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা তৈরি করছে । অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুজ্জামান জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিমলা মো. রওশন কবির বিষয়টি দেখছেন। তহশিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জায়গা। ইনশাআল্লাহ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জড়িত আছে ।