৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার লুট করতে শরীয়তপুর পৌর শহরে বাসিন্দা নাজমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে মাদারীপুরের র্যাব। ঘটনার তিনদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেনের। গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রিপন মোল্লা (৫০) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সোনাই মোল্লার ছেলে।
শনিবার,(২৫ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মীর মনির হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নাজমা বেগম (৪৫) খুন হন। ঘটনার পরদিন নাজমার ভাই দ্বীন ইসলাম পালং থানায় হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিপন মোল্লাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে কোম্পানি কমান্ডার মনির হোসেন বলেন,‘নাজমা বেগমের কাছে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকার লোভে তাকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় রিপনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।’ গ্রেপ্তার রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার রুপনগর এলাকার মালেক মাদবরের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পালং মডেল থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন। নিহত নাজমা বেগম (৪২) শরীয়তপুর চারতলা বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে নিরব কাজীকে (১২) নিয়ে সেখানে থাকতেন তিনি।
নিহতের ভাই আসলাম কাজী বলেন, ‘নিরব পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে গিয়ে দুপুরে ফিরে এসে দেখে ঘরের দরজা খোলা। সে রুমে ঢুকে দেখে তার মা খাটের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। ‘মাকে ডাকাডাকি করে কোনো রকম সাড়া শব্দ না পেয়ে নীরব আত্মচিৎকার করলে বাড়ির মালিকের স্ত্রী নাজমুন নাহার দৌড়ে আসেন।’
নাজমুন নাহার বলেন, ‘নাজমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি তাদের রুমে যাই। গিয়ে দেখি নামজার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। তার গলায় গামছা পেচানো, তার কানের দুল ও গলার চেইন এবং হাতের আংটি নেই। তাদের স্টিলের আলমারি খোলা। কে বা কারা যেন নাজমাকে হত্যা করে এসব জিনিস নিয়ে পালিয়ে গেছে।’ পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, দুবৃর্ত্তরা নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ তদন্ত করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার লুট করতে শরীয়তপুর পৌর শহরে বাসিন্দা নাজমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে মাদারীপুরের র্যাব। ঘটনার তিনদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেনের। গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রিপন মোল্লা (৫০) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সোনাই মোল্লার ছেলে।
শনিবার,(২৫ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মীর মনির হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নাজমা বেগম (৪৫) খুন হন। ঘটনার পরদিন নাজমার ভাই দ্বীন ইসলাম পালং থানায় হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিপন মোল্লাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে কোম্পানি কমান্ডার মনির হোসেন বলেন,‘নাজমা বেগমের কাছে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকার লোভে তাকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় রিপনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।’ গ্রেপ্তার রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার রুপনগর এলাকার মালেক মাদবরের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পালং মডেল থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন। নিহত নাজমা বেগম (৪২) শরীয়তপুর চারতলা বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে নিরব কাজীকে (১২) নিয়ে সেখানে থাকতেন তিনি।
নিহতের ভাই আসলাম কাজী বলেন, ‘নিরব পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে গিয়ে দুপুরে ফিরে এসে দেখে ঘরের দরজা খোলা। সে রুমে ঢুকে দেখে তার মা খাটের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। ‘মাকে ডাকাডাকি করে কোনো রকম সাড়া শব্দ না পেয়ে নীরব আত্মচিৎকার করলে বাড়ির মালিকের স্ত্রী নাজমুন নাহার দৌড়ে আসেন।’
নাজমুন নাহার বলেন, ‘নাজমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি তাদের রুমে যাই। গিয়ে দেখি নামজার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। তার গলায় গামছা পেচানো, তার কানের দুল ও গলার চেইন এবং হাতের আংটি নেই। তাদের স্টিলের আলমারি খোলা। কে বা কারা যেন নাজমাকে হত্যা করে এসব জিনিস নিয়ে পালিয়ে গেছে।’ পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, দুবৃর্ত্তরা নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ তদন্ত করছে।