নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর যে কাউন্সিল হচ্ছে এ নিয়েও দ্বন্ধ রয়েছে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুরু হয়েছে ‘দ্বন্দ্ব’। একটি পক্ষ বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রণ এখনও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে রয়েছে। অন্যপক্ষটি বলছে, সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকদের’ বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সমিতির বিশেষ কাউন্সিল আহ্বান করা হয়েছে। এ কাউন্সিল নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। বিরোধী পক্ষটির দাবি, ইইডিসহ শিক্ষা প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আওয়ামী সমর্থকদের হাতে এ সমিতির কর্তৃত্ব দিতে চান, যাতে সবাই তার অনুগত থাকেন।
ইইডির বর্তমান ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী সিকদার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান এ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। তারা তিনজনই বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের তিন শীর্ষ পদে ছিলেন বলে একটি পক্ষের দাবি।
এরমধ্যে জাফর আলী সিকদার ও জরজিসুর রহমানের নেতৃত্বে আগামী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক সদস্যের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান সংবাদকে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর তারা স্বেচ্ছায় সমিতির পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর সম্মিলিতভাবে তারা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন।
এখন নতুন কমিটি গঠন করতে তারা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর একটি কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন জানিয়ে জরজিসুর বলেন, এই কাউন্সিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ ‘আপত্তি বা অভিযোগ’ করেনি। একটি গ্রুপ চেয়েছিল নামকাওয়াস্তে ‘ভার্চুয়ালি’ কাউন্সিল করতে। তবে ‘স্বচ্ছতা বজায়’ রাখতে সবার উপস্থিতিতেই কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের দায়িত্বে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এ ধরনের কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাদের নামে কে বা কারা ওই সংগঠনের ভুয়া কাগজ তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেই বিষয়ে তারা অবহিত নন। তারা শুধু পেশাগতভাবে সংগঠন পরিচালনা করেছেন। তবে সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া তারা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেননি বলেও জরজিসুর রহমানের দাবি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন সহকারী প্রকৌশলী সংবাদকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম জাফর আলী সিকদার ও জরজিসুর রহমানের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়েছে।’
কাউন্সিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্তত নয়জন পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিনজন পদত্যাগ করলেই কমিটি ভেঙে দেয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগপন্থী প্রকৌশলীরা জোড়াতালি দিয়ে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন। তারা তড়িগড়ি করে নিজেদের লোকজন নিয়ে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন। এতে সবার সস্মতি নেই।’
নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর যে কাউন্সিল হচ্ছে এ নিয়েও দ্বন্ধ রয়েছে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুরু হয়েছে ‘দ্বন্দ্ব’। একটি পক্ষ বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রণ এখনও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে রয়েছে। অন্যপক্ষটি বলছে, সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকদের’ বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সমিতির বিশেষ কাউন্সিল আহ্বান করা হয়েছে। এ কাউন্সিল নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। বিরোধী পক্ষটির দাবি, ইইডিসহ শিক্ষা প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আওয়ামী সমর্থকদের হাতে এ সমিতির কর্তৃত্ব দিতে চান, যাতে সবাই তার অনুগত থাকেন।
ইইডির বর্তমান ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী সিকদার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান এ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। তারা তিনজনই বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের তিন শীর্ষ পদে ছিলেন বলে একটি পক্ষের দাবি।
এরমধ্যে জাফর আলী সিকদার ও জরজিসুর রহমানের নেতৃত্বে আগামী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক সদস্যের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জরজিসুর রহমান সংবাদকে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর তারা স্বেচ্ছায় সমিতির পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর সম্মিলিতভাবে তারা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন।
এখন নতুন কমিটি গঠন করতে তারা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর একটি কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন জানিয়ে জরজিসুর বলেন, এই কাউন্সিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ ‘আপত্তি বা অভিযোগ’ করেনি। একটি গ্রুপ চেয়েছিল নামকাওয়াস্তে ‘ভার্চুয়ালি’ কাউন্সিল করতে। তবে ‘স্বচ্ছতা বজায়’ রাখতে সবার উপস্থিতিতেই কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের দায়িত্বে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এ ধরনের কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাদের নামে কে বা কারা ওই সংগঠনের ভুয়া কাগজ তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেই বিষয়ে তারা অবহিত নন। তারা শুধু পেশাগতভাবে সংগঠন পরিচালনা করেছেন। তবে সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া তারা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেননি বলেও জরজিসুর রহমানের দাবি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন সহকারী প্রকৌশলী সংবাদকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম জাফর আলী সিকদার ও জরজিসুর রহমানের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়েছে।’
কাউন্সিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্তত নয়জন পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিনজন পদত্যাগ করলেই কমিটি ভেঙে দেয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগপন্থী প্রকৌশলীরা জোড়াতালি দিয়ে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন। তারা তড়িগড়ি করে নিজেদের লোকজন নিয়ে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন। এতে সবার সস্মতি নেই।’