alt

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ : শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও আলিম পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষাঙ্গনে হতাশার ঢেউ তুলেছে। জেলার পাঁচটি কলেজ ও দুইটি মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। ফলে এবছর মোট সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ ফেল করেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি মাল্টিলেটার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহজাদপুর ড. মোজাহারুল ইসলাম মডেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা মহিলা কলেজ, তাড়াশ উপজেলার মধুনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ, এবং রাণীরহাট আদর্শ কলেজ।

এছাড়া আলিম পরীক্ষায় ফেল করা মাদ্রাসা দুটি হলো, উল্লাপাড়া উপজেলার পুকুরপাড় এস অ্যান্ড বি ফাজিল মাদ্রাসা এবং বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসা।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার বলেন, এই ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার অভাবকেই মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে শতভাগ ফেল করা কলেজ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোনে সাড়া দেননি।

শিক্ষা বিশ্লেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ফল শুধু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি পুরো জেলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সতর্কবার্তা। শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক নজরদারির অভাব এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনীহাই বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস হয় না, শিক্ষক সংকট তীব্র, আর প্রাইভেট পড়ার সুযোগ না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে প্রস্তুতিহীন অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত সাত বছরে সিরাজগঞ্জে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল করার নজির নেই। গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুটি, এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতটিতে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই ফলাফল শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি জেলার প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার মানের অবনতির এক কঠিন বাস্তবতা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পিছিয়ে পড়বে জেলার এক বৃহৎ শিক্ষার্থী গোষ্ঠী।

ছবি

ইডেন ও বদরুন্নেসায় ‘সহশিক্ষা’ চালুর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

ছবি

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: ১৫ দিন পর মাইলস্টোন কলেজে লেখাপড়া শুরু

tab

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও আলিম পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষাঙ্গনে হতাশার ঢেউ তুলেছে। জেলার পাঁচটি কলেজ ও দুইটি মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। ফলে এবছর মোট সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ ফেল করেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি মাল্টিলেটার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহজাদপুর ড. মোজাহারুল ইসলাম মডেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা মহিলা কলেজ, তাড়াশ উপজেলার মধুনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ, এবং রাণীরহাট আদর্শ কলেজ।

এছাড়া আলিম পরীক্ষায় ফেল করা মাদ্রাসা দুটি হলো, উল্লাপাড়া উপজেলার পুকুরপাড় এস অ্যান্ড বি ফাজিল মাদ্রাসা এবং বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসা।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার বলেন, এই ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার অভাবকেই মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে শতভাগ ফেল করা কলেজ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোনে সাড়া দেননি।

শিক্ষা বিশ্লেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ফল শুধু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি পুরো জেলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সতর্কবার্তা। শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক নজরদারির অভাব এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনীহাই বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস হয় না, শিক্ষক সংকট তীব্র, আর প্রাইভেট পড়ার সুযোগ না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে প্রস্তুতিহীন অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত সাত বছরে সিরাজগঞ্জে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল করার নজির নেই। গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুটি, এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতটিতে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই ফলাফল শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি জেলার প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার মানের অবনতির এক কঠিন বাস্তবতা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পিছিয়ে পড়বে জেলার এক বৃহৎ শিক্ষার্থী গোষ্ঠী।

back to top