টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। এজন্য কলেজগুলোতে কোনো শ্রেণী কার্যক্রম হচ্ছে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।
এই সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র নামে ভর্তি ও ক্লাস শুরু করা নিয়ে সম্প্রতি যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেটি আইনসিদ্ধ নয় বলে শিক্ষকদের দাবি। তারা বলেন, এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন ও ক্লাস শুরু প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) থেকে টানা তিনদিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এই কর্মসূচি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।
এর আগে সোমবার সাত কলেজের শিক্ষকদের পক্ষ্য থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা সমকক্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্তবর্তী প্রশাসক গত ১৬ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবষে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদেও নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া ১৭ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন কওে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করতে হবে।
কিন্তু শিক্ষকরা বলেছেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিন্ধান্ত না হওয়ার আগেই এই বিজ্ঞপ্তি আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে। শিক্ষকরা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ও ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তারা দ্রুততম সময়ে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো অক্ষুন্ন রেখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করে সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকার সাত সরকারি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়াই ২০১৭ সালে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
এই সাত কলেজের মধ্যে বর্তমানে ইডেন ও তিতুমীর শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান হয়। বাকি পাঁচ কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকও পড়ানো হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। এজন্য কলেজগুলোতে কোনো শ্রেণী কার্যক্রম হচ্ছে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।
এই সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র নামে ভর্তি ও ক্লাস শুরু করা নিয়ে সম্প্রতি যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেটি আইনসিদ্ধ নয় বলে শিক্ষকদের দাবি। তারা বলেন, এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন ও ক্লাস শুরু প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) থেকে টানা তিনদিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এই কর্মসূচি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।
এর আগে সোমবার সাত কলেজের শিক্ষকদের পক্ষ্য থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা সমকক্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্তবর্তী প্রশাসক গত ১৬ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবষে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদেও নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া ১৭ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন কওে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করতে হবে।
কিন্তু শিক্ষকরা বলেছেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিন্ধান্ত না হওয়ার আগেই এই বিজ্ঞপ্তি আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে। শিক্ষকরা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ও ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তারা দ্রুততম সময়ে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো অক্ষুন্ন রেখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করে সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকার সাত সরকারি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়াই ২০১৭ সালে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
এই সাত কলেজের মধ্যে বর্তমানে ইডেন ও তিতুমীর শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান হয়। বাকি পাঁচ কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকও পড়ানো হয়।