পরীক্ষায় ফেল করায় রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ২৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ৯ জন, সপ্তম শ্রেণির একজন আর বাকিরা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় যোগাযোগ করে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষার অকৃতকার্য হয়। পরে দুই সপ্তাহ ক্লাস করিয়ে রি-টেস্ট নেওয়া হলে সেখানেও তারা ফেল করে। এরপর তাদের টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সংশ্লিষ্ট ক্লাস শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেন। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নথি থেকে তাদের নাম কাটা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ হয়নি। ফেল করার পেছনে যদি শিক্ষার্থীর দায় থাকে, তাহলে স্কুলেরও দায় আছে।

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তায়েফ উল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষায় সকল বিষয় বাদ দিয়ে শুধু বাংলা, ইংরেজি ও অংক বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী ফেল করায় দুই সপ্তাহ বিশেষ ক্লাস করিয়ে রি-টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষায় ফেল করাদের ৬০ শতাংশ পাস করলেও ২৩ জন ফেল করায় তাদের টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রি-টেস্টে যারা ফেল করেছে তারা নিয়মিত পড়ালেখা করেনি বলেই দুই দফায় পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।