গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার মাইন্ড দ্য গ্যাপ সংস্থার আয়োজনে শুরু হয়েছে উন্মুক্ত স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় আসর। সারা দেশে এই প্রদর্শনী চলবে তিন মাস ব্যাপী। উদ্বোধনী দিনে অন্যান্য চলচ্চিত্রের মাঝে প্রদর্শিত হয় নির্মাতা রানা মাসুদ নির্মিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘নিবাস’। এই চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিজ্ঞাপন চিত্র সৃজন, আগামীর ভাবনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে দৈনিক সংবাদের সাথে একান্তে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি।
এই আসরে প্রদর্শিত আপনার ‘নিবাস’ নিয়ে বলেন!
আয়োজনে আমার চলচ্চিত্রের পাশাপাশি প্রদর্শিত হল নির্মাতা গোলাম রব্বানী এবং ইভান মনোয়ারের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। আমার চলচ্চিত্রটির নাম ‘নিবাস’ যার ইংরেজি টাইটেল ‘দ্য রেসিডেন্স’।
একদল মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ভূমিপুত্রদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে। আমার নিবাস চলচ্চিত্র একদিকে বাস্তুচ্যুত মানুষের মানবিক গল্প অপরদিকে ভূমি দস্যু রূপ দানবদের গল্প। এই চলচ্চিত্র সেকেন্ড সিলেট অ্যাগ্রিকালচার ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফিল্ম এবং নীলফামারী সাত রং ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পায়। বেস্ট ডিরেক্টর—বেস্ট স্ক্রিপ্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছি মরোক্কো—ওমানের মতো প্রেস্টিজিয়াস ফেস্টিভ্যালে। ফিল্মটি দর্শকদের দেখাতে পারছি এটা আনন্দের এবং তৃপ্তির।
আপনার অন্যা চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে বলেন!
আমার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে ‘আতর’ এবং ‘বিলনিয়ার যুদ্ধ’। আতর চলচ্চিত্রটি দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর একাধিক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। ‘আতর’ নির্মাণে দেখাতে চেয়েছি, নারীর উপর সংঘটিত ভায়োলেন্সের স্বপক্ষে যতই জাস্টিফাই করা হোক না কেন সেটা শেষ পর্যন্ত ক্রাইম। কারোর প্রতি সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য না।
‘বিলনিয়ার যুদ্ধ’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছে, মিত্রবাহিনী ছাড়াই বীর প্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর ফেনী মুক্ত করার প্রেক্ষাপট।
আপনার চলচ্চিত্রের শিক্ষকতা ও আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে বলুন বলেন!
আমি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গত আট বছর ধরে ক্লাশ নিচ্ছি। ইনস্টিটিউটে ৭৭ তম ব্যাচ চলমান। আমার অনেক ছাত্র—ছাত্রীই ইতিমধ্যে মিডিয়ায় তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। সব সময়ের আমার পরিকল্পনায় থাকে সিম্পল লিভিং বাট হাই থিংকিং। মিডিয়া সব সময় চলমান এবং পরিবর্তনশীল। আমি মিডিয়ার সাথে চলছি। সিগনেচার পয়েন্টে চলচ্চিত্র নির্মাণ আমার লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসাবেও আপনি পরিচিত, বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গে বলুন!
বিজ্ঞাপন নির্মাণ অনেকে ব্যবসায়িক দিকটাকে বড় করে দেখে। ফলে আইডিয়া, কনসেপ্ট এবং ডিরেকশনে জৌলুসটাকে এবং কর্মাশিয়াল দিকটাকে প্রাধান্য দিতে হয়। দুটি এজেন্সির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে একটা বড় সময় কাজ করার সুবাদে সবসময় আমার একটা প্রচেষ্টা ছিল বিলিভ ট্রুথ মেক ট্রুথ।
যে কারণে বিল গেটসের আর্থিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হয়ে নির্মিত সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনে ‘ক্রিং ক্রিং বেবি জিংক/ডায়ারিয়া হলে শিশুকে দিন’ স্লোগান শুধু দেশ জুড়ে আলোড়নই তোলেনি বরং এটি আমার জন্য আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়।
আপনার চলচ্চিত্র নির্মাণে তানভীর মোকাম্মেলের প্রভাব দেখা যায়
থিয়েটার আরামবাগে আমি অসংখ্য নাটকের অভিনেতা এবং নেপথ্য কর্মী। তানভির মোকাম্মেলের কাছে হাতে কলমে কাজ শেখা। তার প্রায় সকল চলচ্চিত্রের আমি সহকারী নির্দেশক। তার সংস্পর্শই আমার নির্মাতা জীবনের উৎস ধারা।
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার মাইন্ড দ্য গ্যাপ সংস্থার আয়োজনে শুরু হয়েছে উন্মুক্ত স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় আসর। সারা দেশে এই প্রদর্শনী চলবে তিন মাস ব্যাপী। উদ্বোধনী দিনে অন্যান্য চলচ্চিত্রের মাঝে প্রদর্শিত হয় নির্মাতা রানা মাসুদ নির্মিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘নিবাস’। এই চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিজ্ঞাপন চিত্র সৃজন, আগামীর ভাবনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে দৈনিক সংবাদের সাথে একান্তে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি।
এই আসরে প্রদর্শিত আপনার ‘নিবাস’ নিয়ে বলেন!
আয়োজনে আমার চলচ্চিত্রের পাশাপাশি প্রদর্শিত হল নির্মাতা গোলাম রব্বানী এবং ইভান মনোয়ারের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। আমার চলচ্চিত্রটির নাম ‘নিবাস’ যার ইংরেজি টাইটেল ‘দ্য রেসিডেন্স’।
একদল মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ভূমিপুত্রদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে। আমার নিবাস চলচ্চিত্র একদিকে বাস্তুচ্যুত মানুষের মানবিক গল্প অপরদিকে ভূমি দস্যু রূপ দানবদের গল্প। এই চলচ্চিত্র সেকেন্ড সিলেট অ্যাগ্রিকালচার ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফিল্ম এবং নীলফামারী সাত রং ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পায়। বেস্ট ডিরেক্টর—বেস্ট স্ক্রিপ্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছি মরোক্কো—ওমানের মতো প্রেস্টিজিয়াস ফেস্টিভ্যালে। ফিল্মটি দর্শকদের দেখাতে পারছি এটা আনন্দের এবং তৃপ্তির।
আপনার অন্যা চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে বলেন!
আমার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে ‘আতর’ এবং ‘বিলনিয়ার যুদ্ধ’। আতর চলচ্চিত্রটি দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর একাধিক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। ‘আতর’ নির্মাণে দেখাতে চেয়েছি, নারীর উপর সংঘটিত ভায়োলেন্সের স্বপক্ষে যতই জাস্টিফাই করা হোক না কেন সেটা শেষ পর্যন্ত ক্রাইম। কারোর প্রতি সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য না।
‘বিলনিয়ার যুদ্ধ’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছে, মিত্রবাহিনী ছাড়াই বীর প্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর ফেনী মুক্ত করার প্রেক্ষাপট।
আপনার চলচ্চিত্রের শিক্ষকতা ও আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে বলুন বলেন!
আমি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে গত আট বছর ধরে ক্লাশ নিচ্ছি। ইনস্টিটিউটে ৭৭ তম ব্যাচ চলমান। আমার অনেক ছাত্র—ছাত্রীই ইতিমধ্যে মিডিয়ায় তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। সব সময়ের আমার পরিকল্পনায় থাকে সিম্পল লিভিং বাট হাই থিংকিং। মিডিয়া সব সময় চলমান এবং পরিবর্তনশীল। আমি মিডিয়ার সাথে চলছি। সিগনেচার পয়েন্টে চলচ্চিত্র নির্মাণ আমার লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসাবেও আপনি পরিচিত, বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গে বলুন!
বিজ্ঞাপন নির্মাণ অনেকে ব্যবসায়িক দিকটাকে বড় করে দেখে। ফলে আইডিয়া, কনসেপ্ট এবং ডিরেকশনে জৌলুসটাকে এবং কর্মাশিয়াল দিকটাকে প্রাধান্য দিতে হয়। দুটি এজেন্সির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে একটা বড় সময় কাজ করার সুবাদে সবসময় আমার একটা প্রচেষ্টা ছিল বিলিভ ট্রুথ মেক ট্রুথ।
যে কারণে বিল গেটসের আর্থিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হয়ে নির্মিত সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনে ‘ক্রিং ক্রিং বেবি জিংক/ডায়ারিয়া হলে শিশুকে দিন’ স্লোগান শুধু দেশ জুড়ে আলোড়নই তোলেনি বরং এটি আমার জন্য আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়।
আপনার চলচ্চিত্র নির্মাণে তানভীর মোকাম্মেলের প্রভাব দেখা যায়
থিয়েটার আরামবাগে আমি অসংখ্য নাটকের অভিনেতা এবং নেপথ্য কর্মী। তানভির মোকাম্মেলের কাছে হাতে কলমে কাজ শেখা। তার প্রায় সকল চলচ্চিত্রের আমি সহকারী নির্দেশক। তার সংস্পর্শই আমার নির্মাতা জীবনের উৎস ধারা।