কেনিয়ায় নতুন কর আইন-বিরোধী বিক্ষোভ ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার নাইরোবিতে পার্লামেন্ট ভবনে বিক্ষোভকারীদের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বিতর্কিত নতুন কর আইনটি সম্প্রতি কেনিয়ার পার্লামেন্টে পাশ হয়, যা সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এআইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, যা দ্রুত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
বিক্ষোভকারীরা সকালে নাইরোবির কেন্দ্রস্থলে সমবেত হতে থাকে। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে, যখন নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, কিছু বিক্ষোভকারী ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং ফাঁকা গুলি চালায়। তবে, কিছু এলাকায় সরাসরি গুলিবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কমপক্ষে পাঁচজন গুলিতে নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।
বিরোধী দলগুলো এই সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করছে এবং বলছে যে নতুন কর আইন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ করবে। বিরোধী নেতা রাইলা ওডিঙ্গা বলেছেন, "সরকারের এই করের বোঝা সাধারণ মানুষ নিতে পারবে না। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।"
সরকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম রুটো বলেছেন, আইনটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য জরুরি। তিনি আরও বলেন, "নতুন কর আইন দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আমরা বিক্ষোভের নামে সহিংসতা বরদাশত করব না।"
কেনিয়ার সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে। জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন উভয়েই শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছে। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে কেনিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। নতুন কর আইনকে ঘিরে উদ্ভূত এই আন্দোলন আরও কতদিন চলবে বা এর পরিণতি কী হতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
কেনিয়ায় নতুন কর আইন-বিরোধী বিক্ষোভ ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার নাইরোবিতে পার্লামেন্ট ভবনে বিক্ষোভকারীদের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বিতর্কিত নতুন কর আইনটি সম্প্রতি কেনিয়ার পার্লামেন্টে পাশ হয়, যা সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এআইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, যা দ্রুত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
বিক্ষোভকারীরা সকালে নাইরোবির কেন্দ্রস্থলে সমবেত হতে থাকে। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে, যখন নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, কিছু বিক্ষোভকারী ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং ফাঁকা গুলি চালায়। তবে, কিছু এলাকায় সরাসরি গুলিবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কমপক্ষে পাঁচজন গুলিতে নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।
বিরোধী দলগুলো এই সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করছে এবং বলছে যে নতুন কর আইন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ করবে। বিরোধী নেতা রাইলা ওডিঙ্গা বলেছেন, "সরকারের এই করের বোঝা সাধারণ মানুষ নিতে পারবে না। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।"
সরকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম রুটো বলেছেন, আইনটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য জরুরি। তিনি আরও বলেন, "নতুন কর আইন দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আমরা বিক্ষোভের নামে সহিংসতা বরদাশত করব না।"
কেনিয়ার সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে। জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন উভয়েই শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছে। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে কেনিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। নতুন কর আইনকে ঘিরে উদ্ভূত এই আন্দোলন আরও কতদিন চলবে বা এর পরিণতি কী হতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।