নির্ভয়া কাণ্ডের শিকার আশা দেবী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় একজন শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যার ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে তার আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩১ বছর বয়সী এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
আশা দেবী ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়ে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, মমতা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে জনগণের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন এবং তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তার মতে, একজন নারী ও রাজ্যপ্রধান হিসেবে মমতার দায়িত্ব ছিল দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, কিন্তু তিনি তা করেননি। এজন্য তার এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে গুরুত্ব দেয়, ততক্ষণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের নৃশংসতা চলতেই থাকবে। আশা দেবী বলেন, “যেখানে কলকাতার মেডিকেল কলেজের মেয়েরা সুরক্ষিত নয়, সেখানে দেশের অন্য নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।”
এই ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যকে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্ত রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে মেইল, ফ্যাক্স বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যায়।
রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
নির্ভয়া কাণ্ডের শিকার আশা দেবী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় একজন শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যার ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে তার আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩১ বছর বয়সী এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
আশা দেবী ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়ে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, মমতা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে জনগণের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন এবং তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তার মতে, একজন নারী ও রাজ্যপ্রধান হিসেবে মমতার দায়িত্ব ছিল দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, কিন্তু তিনি তা করেননি। এজন্য তার এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে গুরুত্ব দেয়, ততক্ষণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের নৃশংসতা চলতেই থাকবে। আশা দেবী বলেন, “যেখানে কলকাতার মেডিকেল কলেজের মেয়েরা সুরক্ষিত নয়, সেখানে দেশের অন্য নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।”
এই ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যকে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্ত রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে মেইল, ফ্যাক্স বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যায়।