পাকিস্তানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেটের গতি অস্বাভাবিকভাবে ধীর হয়ে গেছে, যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সরকার চীনের মতো ইন্টারনেটে ‘ফায়ারওয়াল’ তৈরি করতে চাইছে, যার ফলে অনলাইন জগতের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার এই অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের ধীরগতির পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। বরং জনগণের মধ্যে ভিপিএন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নেটওয়ার্কের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করতে সরকার কাজ করছে এবং সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, সরকার আসল কারণ আড়াল করতে চেষ্টা করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর নজর রাখা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শাহজাদ আহমদ দাবি করেছেন, পাকিস্তানে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট প্রযুক্তিগত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে পাকিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পাকিস্তান সফটওয়্যার হাউস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এতে দেশের আইটি সেক্টর প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আইটি কোম্পানিগুলো কার্যক্ষমতার ওপর সরাসরি আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে সমাজকর্মীরা একটি পিটিশন দাখিল করেছেন, যেখানে তারা ইন্টারনেট পরিষেবাকে সংবিধানের অধীন মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে দেশটির আইটি সেক্টরে যে সংকট আসন্ন, তা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪
পাকিস্তানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেটের গতি অস্বাভাবিকভাবে ধীর হয়ে গেছে, যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সরকার চীনের মতো ইন্টারনেটে ‘ফায়ারওয়াল’ তৈরি করতে চাইছে, যার ফলে অনলাইন জগতের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার এই অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের ধীরগতির পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। বরং জনগণের মধ্যে ভিপিএন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নেটওয়ার্কের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করতে সরকার কাজ করছে এবং সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, সরকার আসল কারণ আড়াল করতে চেষ্টা করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর নজর রাখা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শাহজাদ আহমদ দাবি করেছেন, পাকিস্তানে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট প্রযুক্তিগত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে পাকিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পাকিস্তান সফটওয়্যার হাউস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এতে দেশের আইটি সেক্টর প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আইটি কোম্পানিগুলো কার্যক্ষমতার ওপর সরাসরি আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে সমাজকর্মীরা একটি পিটিশন দাখিল করেছেন, যেখানে তারা ইন্টারনেট পরিষেবাকে সংবিধানের অধীন মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে দেশটির আইটি সেক্টরে যে সংকট আসন্ন, তা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।