বাংলাদেশ এখন শুধু একটি দেশ নয়, বরং একটি অনুপ্রেরণার নাম, বিশেষ করে পাকিস্তানে। দেশটির জনগণের মধ্যে বাংলাদেশি পতাকার চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সাহসিকতার সঙ্গে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনা পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা বাংলাদেশি আন্দোলনকে নিজেদের সংগ্রামের সাথে তুলনা করে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। এর ফলে পাকিস্তানে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বিক্রির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে, সাধারণত দেশটির জাতীয় পতাকার বিক্রির হিড়িক পড়ে। তবে এ বছর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের পতাকাও। বিষয়টি নজরে এসেছে মুহাম্মদ রেহান নামে এক পাকিস্তানি ইউটিউবারের ভিডিওতে। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পতাকার বিক্রি নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন যেখানে বেশ কয়েকজন পতাকা বিক্রেতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তাঘাটের দোকানগুলোতে পাকিস্তানের পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাও। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক চাহিদা থাকায় তারা বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন। একজন বিক্রেতা জানান, তিনি ইতোমধ্যে ১২-১৩শ বাংলাদেশি পতাকা বিক্রি করেছেন। পতাকাগুলোর দাম আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ পাকিস্তানি রুপি পর্যন্ত।
একজন বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেন তিনি বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, “মানুষ এটি পছন্দ করছে, তাই আমি রেখেছি।” ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ক্রেতা বাংলাদেশের পতাকা কিনছেন। কেন কিনছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে পরিবর্তন এসেছে, তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসে আমি পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উড়াব।”
আরেক বিক্রেতা জানান, তার কাছে থাকা সব বাংলাদেশি পতাকা দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “যারা ঐক্যবদ্ধ হতে জানে, তারা উন্নতি করতে পারে। বাংলাদেশের ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এ কারণে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।”
পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশকে একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে, বিশেষত দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন তাদের মনে একটি শক্তিশালী প্রভাব ফেলেছে। ফলে পাকিস্তানে লাল-সবুজের পতাকার চাহিদা অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশ এখন শুধু একটি দেশ নয়, বরং একটি অনুপ্রেরণার নাম, বিশেষ করে পাকিস্তানে। দেশটির জনগণের মধ্যে বাংলাদেশি পতাকার চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সাহসিকতার সঙ্গে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনা পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা বাংলাদেশি আন্দোলনকে নিজেদের সংগ্রামের সাথে তুলনা করে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। এর ফলে পাকিস্তানে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বিক্রির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে, সাধারণত দেশটির জাতীয় পতাকার বিক্রির হিড়িক পড়ে। তবে এ বছর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের পতাকাও। বিষয়টি নজরে এসেছে মুহাম্মদ রেহান নামে এক পাকিস্তানি ইউটিউবারের ভিডিওতে। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পতাকার বিক্রি নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন যেখানে বেশ কয়েকজন পতাকা বিক্রেতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তাঘাটের দোকানগুলোতে পাকিস্তানের পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাও। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক চাহিদা থাকায় তারা বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন। একজন বিক্রেতা জানান, তিনি ইতোমধ্যে ১২-১৩শ বাংলাদেশি পতাকা বিক্রি করেছেন। পতাকাগুলোর দাম আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ পাকিস্তানি রুপি পর্যন্ত।
একজন বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেন তিনি বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, “মানুষ এটি পছন্দ করছে, তাই আমি রেখেছি।” ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ক্রেতা বাংলাদেশের পতাকা কিনছেন। কেন কিনছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে পরিবর্তন এসেছে, তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসে আমি পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উড়াব।”
আরেক বিক্রেতা জানান, তার কাছে থাকা সব বাংলাদেশি পতাকা দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “যারা ঐক্যবদ্ধ হতে জানে, তারা উন্নতি করতে পারে। বাংলাদেশের ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এ কারণে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।”
পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশকে একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে, বিশেষত দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন তাদের মনে একটি শক্তিশালী প্রভাব ফেলেছে। ফলে পাকিস্তানে লাল-সবুজের পতাকার চাহিদা অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।