প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর টিকটককে ছাড় দিতে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপটির সেবা চালু হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার নামে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটি আমেরিকান ব্যবহারকারীদের জসেবা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল ‘প্রটেকটিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি বিলে সই করলে যুক্তরাষ্ট্রে হুমকির মুখে পড়ে টিকটক।
টিকটক নিয়ে শুক্রবার দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের করা আইনকে সমর্থন দিলে দেশটিতে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
আইনটি বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও সময় দেওয়ার জন্য রোববার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। এরপরই টিকটক জানায়, তাদের ‘পরিষেবা পুনরুদ্ধার’ করা হচ্ছে।
বিবিসি লিখেছে, এর পরপরই অ্যাপটি আবার কাজ শুরু করে এবং এর লাখ লাখ ব্যবহারকারীর কাছে একটি পপআপ বার্তায় ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানানো হয়। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি নতুন প্রেসিডেন্টকে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রে রাখার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছে টকটক।
সোমবার ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে টিকটকের সিইও শো জি চিউ উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জো বাইডেনের করা আইনটিতে বলা হয়, চীনা মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স টিকটকে তাদের অংশীদারত্ব ছয় মাসের মধ্যে কোনো আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেবে, নয়ত যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক ওই আইন আটকাতে ৭ মে আদালতে যায়, তাদের আবেদনে বলা হয়, এ ধরনের আইন বাকস্বাধীনতার অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এরপর ২ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকটকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, চীনা এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি অবৈধভাবে শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার চেষ্টা করলে তাতে সাড়া দিচ্ছে না।
৬ ডিসেম্বর ফেডারেল আপিল আদালত টিকটকের মামলা খারিজ করে দেয়। ফলে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বাইটড্যান্সের শেয়ার বিক্রি না করলে টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরো জোরালো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টকে তার শপথ না হওয়া পর্যন্ত টিকটক নিষিদ্ধের আইনটি পেছানোর অনুরোধ করেন। তার আইনজীবী বলেন, প্রেসিডেন্ট ‘রাজনৈতিক উপায়ে’ এ সমস্যা সমাধানের একটি সুযোগ চান।
এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে টিকটক। টিকটক এবং কন্টেন্ট নির্মাতাদের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে যুক্তরাষ্ট্রে এ প্ল্যাটফর্মের ১৭ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘিত হবে।
কিন্তু শুক্রবার দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের করা আইনকে সমর্থন দিলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
বিষয়টি সমাধানের পথ খুঁজতে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর তাকে ধন্যবাদ জানান টিকটকের প্রধান নির্বাহী শো জি চিউ। সোমবার ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর টিকটককে ছাড় দিতে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপটির সেবা চালু হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার নামে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটি আমেরিকান ব্যবহারকারীদের জসেবা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল ‘প্রটেকটিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপলিকেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি বিলে সই করলে যুক্তরাষ্ট্রে হুমকির মুখে পড়ে টিকটক।
টিকটক নিয়ে শুক্রবার দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের করা আইনকে সমর্থন দিলে দেশটিতে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
আইনটি বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও সময় দেওয়ার জন্য রোববার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। এরপরই টিকটক জানায়, তাদের ‘পরিষেবা পুনরুদ্ধার’ করা হচ্ছে।
বিবিসি লিখেছে, এর পরপরই অ্যাপটি আবার কাজ শুরু করে এবং এর লাখ লাখ ব্যবহারকারীর কাছে একটি পপআপ বার্তায় ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানানো হয়। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি নতুন প্রেসিডেন্টকে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রে রাখার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছে টকটক।
সোমবার ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে টিকটকের সিইও শো জি চিউ উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জো বাইডেনের করা আইনটিতে বলা হয়, চীনা মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স টিকটকে তাদের অংশীদারত্ব ছয় মাসের মধ্যে কোনো আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেবে, নয়ত যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক ওই আইন আটকাতে ৭ মে আদালতে যায়, তাদের আবেদনে বলা হয়, এ ধরনের আইন বাকস্বাধীনতার অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এরপর ২ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকটকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, চীনা এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি অবৈধভাবে শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার চেষ্টা করলে তাতে সাড়া দিচ্ছে না।
৬ ডিসেম্বর ফেডারেল আপিল আদালত টিকটকের মামলা খারিজ করে দেয়। ফলে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বাইটড্যান্সের শেয়ার বিক্রি না করলে টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরো জোরালো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টকে তার শপথ না হওয়া পর্যন্ত টিকটক নিষিদ্ধের আইনটি পেছানোর অনুরোধ করেন। তার আইনজীবী বলেন, প্রেসিডেন্ট ‘রাজনৈতিক উপায়ে’ এ সমস্যা সমাধানের একটি সুযোগ চান।
এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে টিকটক। টিকটক এবং কন্টেন্ট নির্মাতাদের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে যুক্তরাষ্ট্রে এ প্ল্যাটফর্মের ১৭ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘিত হবে।
কিন্তু শুক্রবার দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেনের করা আইনকে সমর্থন দিলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
বিষয়টি সমাধানের পথ খুঁজতে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর তাকে ধন্যবাদ জানান টিকটকের প্রধান নির্বাহী শো জি চিউ। সোমবার ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।