গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইসরায়েলের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সংগঠনটি জানায়, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যার আওতায় গাজায় যুদ্ধের অবসান, বন্দি বিনিময় এবং পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হামাস নেতা খলিল আল-হায়া বলেন, “আমরা আর কোনো অন্তর্বর্তী চুক্তি চাই না। আমাদের লক্ষ্য একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী চুক্তি।” তিনি আরও জানান, হামাসের আলোচনাকারী দলের নেতৃত্বও তিনি দিচ্ছেন।
হামাসের অবস্থান নিয়ে রয়টার্স বলছে, এই প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে না নিলে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইসরায়েল সম্প্রতি ৪৫ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি ও অপ্রত্যক্ষ আলোচনা শুরুর পথ তৈরি হতো। তবে প্রস্তাবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকায় তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। হামাস বারবার বলেছে, অস্ত্র সমর্পণ তাদের জন্য ‘লাল দাগ’— এটি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
খলিল আল-হায়া বলেন, “নেতানিয়াহুর সরকার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আংশিক চুক্তিগুলোকে ব্যবহার করছে। আমরা সেই খেলায় অংশ হতে চাই না।”
মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ রাউন্ডেও কোনো সমঝোতা হয়নি। ফিলিস্তিনি ও মিশরীয় সূত্রগুলোর বরাতে রয়টার্স জানায়, এই আলোচনা থেকেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
হামাসের অবস্থানকে ‘চিরস্থায়ী সহিংসতায় আগ্রহী’ হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট। তিনি বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি দাও, না হলে নরকের মুখোমুখি হও।”
জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে হামাস এখন পর্যন্ত ৩৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে বাকি ৫৯ জনের মুক্তি ও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আগে ইসরায়েল তাদের অভিযান বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো জিম্মি মুক্তি দেবে না এবং অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না।
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইসরায়েলের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সংগঠনটি জানায়, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যার আওতায় গাজায় যুদ্ধের অবসান, বন্দি বিনিময় এবং পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হামাস নেতা খলিল আল-হায়া বলেন, “আমরা আর কোনো অন্তর্বর্তী চুক্তি চাই না। আমাদের লক্ষ্য একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী চুক্তি।” তিনি আরও জানান, হামাসের আলোচনাকারী দলের নেতৃত্বও তিনি দিচ্ছেন।
হামাসের অবস্থান নিয়ে রয়টার্স বলছে, এই প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে না নিলে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইসরায়েল সম্প্রতি ৪৫ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি ও অপ্রত্যক্ষ আলোচনা শুরুর পথ তৈরি হতো। তবে প্রস্তাবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকায় তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। হামাস বারবার বলেছে, অস্ত্র সমর্পণ তাদের জন্য ‘লাল দাগ’— এটি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
খলিল আল-হায়া বলেন, “নেতানিয়াহুর সরকার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আংশিক চুক্তিগুলোকে ব্যবহার করছে। আমরা সেই খেলায় অংশ হতে চাই না।”
মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ রাউন্ডেও কোনো সমঝোতা হয়নি। ফিলিস্তিনি ও মিশরীয় সূত্রগুলোর বরাতে রয়টার্স জানায়, এই আলোচনা থেকেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
হামাসের অবস্থানকে ‘চিরস্থায়ী সহিংসতায় আগ্রহী’ হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট। তিনি বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি দাও, না হলে নরকের মুখোমুখি হও।”
জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে হামাস এখন পর্যন্ত ৩৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে বাকি ৫৯ জনের মুক্তি ও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আগে ইসরায়েল তাদের অভিযান বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে হামাস স্পষ্ট জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো জিম্মি মুক্তি দেবে না এবং অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না।