কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বুধবার রাত থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, যা আপাতত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘নোটাম’ (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করে জানায়, পাকিস্তানে নিবন্ধিত, সেখান থেকে পরিচালিত অথবা ইজারা নেওয়া কোনো বাণিজ্যিক কিংবা সামরিক উড়োজাহাজ ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না।
এর আগে সোমবার পাকিস্তানও ভারতের উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার আগেই দুই দেশের উড়োজাহাজ একে অপরের আকাশপথ এড়িয়ে চলছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের বিমানগুলোকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশিয়ানিয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে চীন বা শ্রীলঙ্কার আকাশপথ ব্যবহার করতে হবে। এতে বাড়বে যাত্রাপথ, খরচ ও সময়। একই ধরনের সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোও, কারণ পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলায় ভারতের অন্তত ছয়জন নিহত হন। ভারত দাবি করেছে, এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ জড়িত, যাদের লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন বলে মনে করে দিল্লি। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের মতো গুরুতর পদক্ষেপও রয়েছে।
পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। একই সঙ্গে ভারতীয় হামলার আশঙ্কা করে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে ইসলামাবাদ।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দুই দেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের প্রস্তুতির খবরও জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে এবং নিজ নিজ দেশে বসবাসরত ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বুধবার রাত থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, যা আপাতত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘নোটাম’ (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করে জানায়, পাকিস্তানে নিবন্ধিত, সেখান থেকে পরিচালিত অথবা ইজারা নেওয়া কোনো বাণিজ্যিক কিংবা সামরিক উড়োজাহাজ ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না।
এর আগে সোমবার পাকিস্তানও ভারতের উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার আগেই দুই দেশের উড়োজাহাজ একে অপরের আকাশপথ এড়িয়ে চলছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের বিমানগুলোকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশিয়ানিয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে চীন বা শ্রীলঙ্কার আকাশপথ ব্যবহার করতে হবে। এতে বাড়বে যাত্রাপথ, খরচ ও সময়। একই ধরনের সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোও, কারণ পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলায় ভারতের অন্তত ছয়জন নিহত হন। ভারত দাবি করেছে, এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ জড়িত, যাদের লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন বলে মনে করে দিল্লি। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের মতো গুরুতর পদক্ষেপও রয়েছে।
পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। একই সঙ্গে ভারতীয় হামলার আশঙ্কা করে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে ইসলামাবাদ।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দুই দেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের প্রস্তুতির খবরও জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে এবং নিজ নিজ দেশে বসবাসরত ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।