আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন। আগামী ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এই সফর হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এটিই হবে কাবুল প্রশাসনের কোনো শীর্ষ নেতার নয়াদিল্লি সফর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফর নিয়ে প্রস্তুতি চললেও চূড়ান্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তা মুত্তাকির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তার সফরের পথ খুলেছে।
কূটনীতির স্বার্থে জাতিসংঘ মাঝে মাঝে এই ধরনের ছাড় দেয়। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র জিয়া আহমেদ তাকাল জানিয়েছেন, সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাণিজ্য, শুকনো ফল রপ্তানি, স্বাস্থ্য খাত, কনস্যুলার সার্ভিস এবং বন্দর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভারত এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও আলোচনার দ্বার খোলা রেখেছে। গত কয়েক মাসে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী এবং জেপি সিংহ দুবাইয়ে তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর আফগানিস্তানকে সহায়তাও করেছে ভারত।
এর আগে মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুত্তাকি। তখন কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছিল তালেবান, যা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যেই প্রশংসা করেছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নয়াদিল্লি সফরের আগে মুত্তাকি রাশিয়া সফর করবেন। রাশিয়াই এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ যারা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালে কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করলেও এক বছর পর মানবিক সহায়তা সমন্বয়ের জন্য ভারত সেখানে প্রযুক্তিগত মিশন চালু করেছে।
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন। আগামী ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এই সফর হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এটিই হবে কাবুল প্রশাসনের কোনো শীর্ষ নেতার নয়াদিল্লি সফর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফর নিয়ে প্রস্তুতি চললেও চূড়ান্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তা মুত্তাকির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তার সফরের পথ খুলেছে।
কূটনীতির স্বার্থে জাতিসংঘ মাঝে মাঝে এই ধরনের ছাড় দেয়। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র জিয়া আহমেদ তাকাল জানিয়েছেন, সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাণিজ্য, শুকনো ফল রপ্তানি, স্বাস্থ্য খাত, কনস্যুলার সার্ভিস এবং বন্দর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভারত এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও আলোচনার দ্বার খোলা রেখেছে। গত কয়েক মাসে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী এবং জেপি সিংহ দুবাইয়ে তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর আফগানিস্তানকে সহায়তাও করেছে ভারত।
এর আগে মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুত্তাকি। তখন কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছিল তালেবান, যা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যেই প্রশংসা করেছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নয়াদিল্লি সফরের আগে মুত্তাকি রাশিয়া সফর করবেন। রাশিয়াই এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ যারা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালে কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করলেও এক বছর পর মানবিক সহায়তা সমন্বয়ের জন্য ভারত সেখানে প্রযুক্তিগত মিশন চালু করেছে।