অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি অংশ মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।
তবে কিছু বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সংগঠনটিকে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে বর্ণিত বিনিময় সূত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে সব ইসরায়েলি বন্দি (জীবিত কিংবা মৃত) ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।” একই সঙ্গে সংগঠনটি জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে তারা প্রস্তুত।
এ ছাড়া হামাস আরও জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সমর্থনে গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প তার প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাসকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ‘তিন বা চার দিনের’ আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আরব দেশগুলোসহ পশ্চিমা বিশ্ব শক্তিগুলো এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, রোববারের মধ্যে নিজের ঘোষিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুট্রাম্প। নয়ত হামাসের ওপর নরক নেমে আসবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এায়াড়া গাজার মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা কোন নিরাপদ স্থানে যাবে সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে ২০ দফার প্রস্তাব ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেখানে হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে হামাসকে সব অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখানের ইঙ্গিত দিয়েছেন হামাসের সশস্ত্র শাখার প্রধান ইজ আল-দ্বীন হাদ্দাদ । কিন্তু কাতারে হামাসের যেসব নেতা আছেন তারা চুক্তিটি শর্তসাপেক্ষে মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ট্রাম্প হামাসকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “হামাস বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নৃশংস ও সহিংস হুমকি হয়ে রয়েছে! তারা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেকের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। যার চরম পরিণতি হলো ইসরায়েলে ৭ই অক্টোবরের গণহত্যা। এই হামলায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এবং অসংখ্য তরুণ-তরুণী ও বালক-বালিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন একসাথে উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সভ্যতার ওপর ৭ই অক্টোবরের এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হামাস “সৈন্য” নিহত হয়েছে। বাকিদের বেশিরভাগই সামরিকভাবে অবরুদ্ধ এবং চারপাশ থেকে ফাঁদে আটকা পড়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এখন শুধু আমার “হ্যাঁ” বলার অপেক্ষা, আর মুহূর্তেই হামাসের বাকি যোদ্ধাদের জীবন নিভে যাবে। আর বাকি যারা, আমরা জানি আপনারা কোথায় আছেন এবং কে আপনারা, আপনাদের খুঁজে বের করা হবে এবং হত্যা করা হবে। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের আমি অনুরোধ করছি এই মৃত্যু উপত্যকা অবিলম্বে ত্যাগ করে গাজার নিরাপদ অঞ্চলে চলে যান। আপনাদের জন্য যারা অপেক্ষা করছেন তারা আপনাদের ভালো যত্ন নেবেন।”
হামাসকে শেষ সুযোগ দেওয়ার হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “সৌভাগ্যবশত হামাস একটি শেষ সুযোগ পেতে যাচ্ছে! মধ্যপ্রাচ্যের এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের শক্তিশালী, ক্ষমতাধর এবং অত্যন্ত ধনী জাতিগুলো, একসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, ইসরায়েলের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ৩০০০ বছরের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিতে হামাসের অবশিষ্ট সমস্ত যোদ্ধার জীবনও রক্ষা করা হবে! এই চুক্তির বিবরণ বিশ্বজুড়ে সবার জানা, এবং এটি সকলের জন্য একটি চমৎকার চুক্তি! আমরা যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ হবে।”
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “এখনই জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিন।
ওয়াশিংটন সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাসকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে! এই শেষ সুযোগের চুক্তি যদি না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ নরক নেমে আসবে যা কেউ আগে দেখেনি। যেকোনো মূল্যেই হোক, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবেই।”ট্রাম্পের ২০ দফার ‘কিছু অংশে’ সম্মত হামাস
রোববারের মধ্যে চুক্তি না মানলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর ওপর নরক নেমে আসবে, গাজাবাসীকে সরে যেতে বললেন ট্রাম্প
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি অংশ মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। তবে কিছু বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সংগঠনটিকে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে বর্ণিত বিনিময় সূত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে সব ইসরায়েলি বন্দি (জীবিত কিংবা মৃত) ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।” একই সঙ্গে সংগঠনটি জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে তারা প্রস্তুত।
এ ছাড়া হামাস আরও জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সমর্থনে গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প তার প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাসকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ‘তিন বা চার দিনের’ আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আরব দেশগুলোসহ পশ্চিমা বিশ্ব শক্তিগুলো এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, রোববারের মধ্যে নিজের ঘোষিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুট্রাম্প। নয়ত হামাসের ওপর নরক নেমে আসবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এায়াড়া গাজার মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা কোন নিরাপদ স্থানে যাবে সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে ২০ দফার প্রস্তাব ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেখানে হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে হামাসকে সব অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখানের ইঙ্গিত দিয়েছেন হামাসের সশস্ত্র শাখার প্রধান ইজ আল-দ্বীন হাদ্দাদ । কিন্তু কাতারে হামাসের যেসব নেতা আছেন তারা চুক্তিটি শর্তসাপেক্ষে মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ট্রাম্প হামাসকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “হামাস বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নৃশংস ও সহিংস হুমকি হয়ে রয়েছে! তারা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেকের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। যার চরম পরিণতি হলো ইসরায়েলে ৭ই অক্টোবরের গণহত্যা। এই হামলায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এবং অসংখ্য তরুণ-তরুণী ও বালক-বালিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন একসাথে উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সভ্যতার ওপর ৭ই অক্টোবরের এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হামাস “সৈন্য” নিহত হয়েছে। বাকিদের বেশিরভাগই সামরিকভাবে অবরুদ্ধ এবং চারপাশ থেকে ফাঁদে আটকা পড়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এখন শুধু আমার “হ্যাঁ” বলার অপেক্ষা, আর মুহূর্তেই হামাসের বাকি যোদ্ধাদের জীবন নিভে যাবে। আর বাকি যারা, আমরা জানি আপনারা কোথায় আছেন এবং কে আপনারা, আপনাদের খুঁজে বের করা হবে এবং হত্যা করা হবে। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের আমি অনুরোধ করছি এই মৃত্যু উপত্যকা অবিলম্বে ত্যাগ করে গাজার নিরাপদ অঞ্চলে চলে যান। আপনাদের জন্য যারা অপেক্ষা করছেন তারা আপনাদের ভালো যতœ নেবেন।”
হামাসকে শেষ সুযোগ দেওয়ার হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “সৌভাগ্যবশত হামাস একটি শেষ সুযোগ পেতে যাচ্ছে! মধ্যপ্রাচ্যের এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের শক্তিশালী, ক্ষমতাধর এবং অত্যন্ত ধনী জাতিগুলো, একসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, ইসরায়েলের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ৩০০০ বছরের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিতে হামাসের অবশিষ্ট সমস্ত যোদ্ধার জীবনও রক্ষা করা হবে! এই চুক্তির বিবরণ বিশ্বজুড়ে সবার জানা, এবং এটি সকলের জন্য একটি চমৎকার চুক্তি! আমরা যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ হবে।”
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “এখনই জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিন।
ওয়াশিংটন সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাসকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে! এই শেষ সুযোগের চুক্তি যদি না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ নরক নেমে আসবে যা কেউ আগে দেখেনি। যেকোনো মূল্যেই হোক, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবেই।”
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি অংশ মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস।
তবে কিছু বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সংগঠনটিকে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে বর্ণিত বিনিময় সূত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে সব ইসরায়েলি বন্দি (জীবিত কিংবা মৃত) ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।” একই সঙ্গে সংগঠনটি জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে তারা প্রস্তুত।
এ ছাড়া হামাস আরও জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সমর্থনে গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প তার প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাসকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ‘তিন বা চার দিনের’ আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আরব দেশগুলোসহ পশ্চিমা বিশ্ব শক্তিগুলো এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, রোববারের মধ্যে নিজের ঘোষিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুট্রাম্প। নয়ত হামাসের ওপর নরক নেমে আসবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এায়াড়া গাজার মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা কোন নিরাপদ স্থানে যাবে সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে ২০ দফার প্রস্তাব ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেখানে হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে হামাসকে সব অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখানের ইঙ্গিত দিয়েছেন হামাসের সশস্ত্র শাখার প্রধান ইজ আল-দ্বীন হাদ্দাদ । কিন্তু কাতারে হামাসের যেসব নেতা আছেন তারা চুক্তিটি শর্তসাপেক্ষে মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ট্রাম্প হামাসকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “হামাস বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নৃশংস ও সহিংস হুমকি হয়ে রয়েছে! তারা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেকের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। যার চরম পরিণতি হলো ইসরায়েলে ৭ই অক্টোবরের গণহত্যা। এই হামলায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এবং অসংখ্য তরুণ-তরুণী ও বালক-বালিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন একসাথে উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সভ্যতার ওপর ৭ই অক্টোবরের এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হামাস “সৈন্য” নিহত হয়েছে। বাকিদের বেশিরভাগই সামরিকভাবে অবরুদ্ধ এবং চারপাশ থেকে ফাঁদে আটকা পড়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এখন শুধু আমার “হ্যাঁ” বলার অপেক্ষা, আর মুহূর্তেই হামাসের বাকি যোদ্ধাদের জীবন নিভে যাবে। আর বাকি যারা, আমরা জানি আপনারা কোথায় আছেন এবং কে আপনারা, আপনাদের খুঁজে বের করা হবে এবং হত্যা করা হবে। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের আমি অনুরোধ করছি এই মৃত্যু উপত্যকা অবিলম্বে ত্যাগ করে গাজার নিরাপদ অঞ্চলে চলে যান। আপনাদের জন্য যারা অপেক্ষা করছেন তারা আপনাদের ভালো যত্ন নেবেন।”
হামাসকে শেষ সুযোগ দেওয়ার হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “সৌভাগ্যবশত হামাস একটি শেষ সুযোগ পেতে যাচ্ছে! মধ্যপ্রাচ্যের এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের শক্তিশালী, ক্ষমতাধর এবং অত্যন্ত ধনী জাতিগুলো, একসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, ইসরায়েলের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ৩০০০ বছরের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিতে হামাসের অবশিষ্ট সমস্ত যোদ্ধার জীবনও রক্ষা করা হবে! এই চুক্তির বিবরণ বিশ্বজুড়ে সবার জানা, এবং এটি সকলের জন্য একটি চমৎকার চুক্তি! আমরা যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ হবে।”
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “এখনই জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিন।
ওয়াশিংটন সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাসকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে! এই শেষ সুযোগের চুক্তি যদি না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ নরক নেমে আসবে যা কেউ আগে দেখেনি। যেকোনো মূল্যেই হোক, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবেই।”ট্রাম্পের ২০ দফার ‘কিছু অংশে’ সম্মত হামাস
রোববারের মধ্যে চুক্তি না মানলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর ওপর নরক নেমে আসবে, গাজাবাসীকে সরে যেতে বললেন ট্রাম্প
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি অংশ মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। তবে কিছু বিষয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সংগঠনটিকে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে বর্ণিত বিনিময় সূত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে সব ইসরায়েলি বন্দি (জীবিত কিংবা মৃত) ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।” একই সঙ্গে সংগঠনটি জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে তারা প্রস্তুত।
এ ছাড়া হামাস আরও জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সমর্থনে গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প তার প্রস্তাব দেওয়ার পর হামাসকে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ‘তিন বা চার দিনের’ আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আরব দেশগুলোসহ পশ্চিমা বিশ্ব শক্তিগুলো এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, রোববারের মধ্যে নিজের ঘোষিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুট্রাম্প। নয়ত হামাসের ওপর নরক নেমে আসবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এায়াড়া গাজার মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা কোন নিরাপদ স্থানে যাবে সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত সোমবার দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে ২০ দফার প্রস্তাব ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেখানে হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে হামাসকে সব অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখানের ইঙ্গিত দিয়েছেন হামাসের সশস্ত্র শাখার প্রধান ইজ আল-দ্বীন হাদ্দাদ । কিন্তু কাতারে হামাসের যেসব নেতা আছেন তারা চুক্তিটি শর্তসাপেক্ষে মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ট্রাম্প হামাসকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “হামাস বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নৃশংস ও সহিংস হুমকি হয়ে রয়েছে! তারা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেকের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। যার চরম পরিণতি হলো ইসরায়েলে ৭ই অক্টোবরের গণহত্যা। এই হামলায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এবং অসংখ্য তরুণ-তরুণী ও বালক-বালিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন একসাথে উদযাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সভ্যতার ওপর ৭ই অক্টোবরের এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হামাস “সৈন্য” নিহত হয়েছে। বাকিদের বেশিরভাগই সামরিকভাবে অবরুদ্ধ এবং চারপাশ থেকে ফাঁদে আটকা পড়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এখন শুধু আমার “হ্যাঁ” বলার অপেক্ষা, আর মুহূর্তেই হামাসের বাকি যোদ্ধাদের জীবন নিভে যাবে। আর বাকি যারা, আমরা জানি আপনারা কোথায় আছেন এবং কে আপনারা, আপনাদের খুঁজে বের করা হবে এবং হত্যা করা হবে। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের আমি অনুরোধ করছি এই মৃত্যু উপত্যকা অবিলম্বে ত্যাগ করে গাজার নিরাপদ অঞ্চলে চলে যান। আপনাদের জন্য যারা অপেক্ষা করছেন তারা আপনাদের ভালো যতœ নেবেন।”
হামাসকে শেষ সুযোগ দেওয়ার হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “সৌভাগ্যবশত হামাস একটি শেষ সুযোগ পেতে যাচ্ছে! মধ্যপ্রাচ্যের এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের শক্তিশালী, ক্ষমতাধর এবং অত্যন্ত ধনী জাতিগুলো, একসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, ইসরায়েলের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ৩০০০ বছরের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিতে হামাসের অবশিষ্ট সমস্ত যোদ্ধার জীবনও রক্ষা করা হবে! এই চুক্তির বিবরণ বিশ্বজুড়ে সবার জানা, এবং এটি সকলের জন্য একটি চমৎকার চুক্তি! আমরা যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ হবে।”
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “এখনই জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিন।
ওয়াশিংটন সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাসকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে! এই শেষ সুযোগের চুক্তি যদি না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ নরক নেমে আসবে যা কেউ আগে দেখেনি। যেকোনো মূল্যেই হোক, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবেই।”