ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইতিহাসে প্রথম নারী আর্চবিশপ পেয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড। ক্যান্টারবারির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে সারাহ মুলালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চার্চটির এক হাজার ৪০০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো নারী এ পদ পেলেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্চটির প্রথম নারীপ্রধান ও বিশ্বব্যাপী অ্যাংলিকান সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছেন তিনি। চার্চ অব ইংল্যান্ডের শেকড় রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত প্রসারিত। বছরের শুরুর দিকে একটি নির্যাতন কেলেঙ্কারির দায়ে পদত্যাগ করা জাস্টিন ওয়েলবির উত্তরসূরি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কমিটি মুল্যালির নাম প্রস্তাব করে। রাজা তৃতীয় চার্লস সেই মনোনয়ন অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
৬৩ বছর বয়সী মুলালি হচ্ছেন চার্চটির ১০৬তম আর্চবিশপ অব ক্যানটারবির পদাধিকারী। প্রথম আর্চবিশপ নিযুক্ত হয়েছিলেন খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষভাগে।সাবেক নার্স মুলালি এক বিবৃতিতে বলেন, এই নতুন ভূমিকা একটি ‘বৃহৎ দায়িত্ব’ হলেও তিনি ‘শান্তি ও ঈশ্বরের ওপর আস্থা’ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও প্রথম নারী আর্চবিশপের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘চার্চ অব ইংল্যান্ড আমাদের দেশের জন্য গভীর গুরুত্ব বহন করে।
এর গির্জা, ক্যাথেড্রাল, স্কুল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নতুন আর্চবিশপ জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
এর আগে, এক প্রতিবেদনের পর ওয়েলবি পদত্যাগ করেন। যেখানে দেখা যায় চার্চ অব ইংল্যান্ড ১৯৭০-এর দশকের একাধিক নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিল। আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে বিষয়টি জানার পরও ওয়েলবি জানাতে ব্যর্থ হন কর্তৃপক্ষকে। স্বতন্ত্র তদন্তে জানা যায়, আইনজীবী জন স্মাইথ ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে ইভানজেলিকাল সামার ক্যাম্প আয়োজন করতেন এবং সেখানে প্রায় ১৩০ জন কিশোর ও তরুণকে নির্যাতন করেছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
ইতিহাসে প্রথম নারী আর্চবিশপ পেয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড। ক্যান্টারবারির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে সারাহ মুলালিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চার্চটির এক হাজার ৪০০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো নারী এ পদ পেলেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্চটির প্রথম নারীপ্রধান ও বিশ্বব্যাপী অ্যাংলিকান সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছেন তিনি। চার্চ অব ইংল্যান্ডের শেকড় রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত প্রসারিত। বছরের শুরুর দিকে একটি নির্যাতন কেলেঙ্কারির দায়ে পদত্যাগ করা জাস্টিন ওয়েলবির উত্তরসূরি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কমিটি মুল্যালির নাম প্রস্তাব করে। রাজা তৃতীয় চার্লস সেই মনোনয়ন অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
৬৩ বছর বয়সী মুলালি হচ্ছেন চার্চটির ১০৬তম আর্চবিশপ অব ক্যানটারবির পদাধিকারী। প্রথম আর্চবিশপ নিযুক্ত হয়েছিলেন খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষভাগে।সাবেক নার্স মুলালি এক বিবৃতিতে বলেন, এই নতুন ভূমিকা একটি ‘বৃহৎ দায়িত্ব’ হলেও তিনি ‘শান্তি ও ঈশ্বরের ওপর আস্থা’ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও প্রথম নারী আর্চবিশপের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘চার্চ অব ইংল্যান্ড আমাদের দেশের জন্য গভীর গুরুত্ব বহন করে।
এর গির্জা, ক্যাথেড্রাল, স্কুল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নতুন আর্চবিশপ জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
এর আগে, এক প্রতিবেদনের পর ওয়েলবি পদত্যাগ করেন। যেখানে দেখা যায় চার্চ অব ইংল্যান্ড ১৯৭০-এর দশকের একাধিক নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিল। আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে বিষয়টি জানার পরও ওয়েলবি জানাতে ব্যর্থ হন কর্তৃপক্ষকে। স্বতন্ত্র তদন্তে জানা যায়, আইনজীবী জন স্মাইথ ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে ইভানজেলিকাল সামার ক্যাম্প আয়োজন করতেন এবং সেখানে প্রায় ১৩০ জন কিশোর ও তরুণকে নির্যাতন করেছিলেন।